এই শূন্যতাকে তুমি একটা সমুদ্র ভেবে নাও। আর তার অতল অন্তরে ডুব দাও।
চলে যাও যতটুকু গহিনে পারো।
যাও
গান শোনো, হাম্পব্যাক তিমিদের গান।
সময়কে তালের মতো ছন্দে বেঁধে তারা
কী সুন্দর ধ্বনি করে অন্য তিমিদের স্বপ্ন দেখায়।
মধু ছড়ির ঝরনাটা বিবাহযোগ্যা হওয়ার আগে নদীতে ডুবে গিয়েছিল।
কখনো কখনো নীলাভ জ্যোৎস্নার ছায়ায় নদীটির ঢেউয়ে ঢেউয়ে
তার সুর-শবদেহ ভেসে ওঠে।
তুমি দেখে নিতে পারো।
বাতাসেরও গান থাকে। পাতারা যখন-তখন ঝুমঝুমি বাজায়। বৃষ্টির সমূহ
সম্ভাবনার ভেতর না ফোটা বকুল—কী ব্যাকুল সুরে গান গায়।
কীভাবে চিনবে তুমি সুরের সপ্তক!
যাও
বুনো কোনো সূর্যোদয়ের পাশে পাখিদের সমবেত কোরাসের দিকে।
অন্তত একটা গান শিখে নাও।
আমার বিষণ্নতার পাশে একটু সুর ধরো, একটা গান গেয়ে ওঠো।