সোসাইটির মিটিং মেতে উঠেছে—
হেমন্তের অপ্রত্যাশিত বিদ্যুৎ বিলের ইন্দ্রজাল গল্পে।
ঋতুশূন্য আমিত্ব আচমকা আটকালো
বর্ধিত বিল পুনঃ তদন্তের আহ্বান স্বাক্ষরে।
কার্তিকের ভেজা ভোর, ঝিমধরা ঠান্ডা কাটিয়ে
আমপারা মুখস্থ ঘুমচোখ, ঝুঁকে পড়ে—
বাতাই মাছের চকচকে রৌদ্র সাঁতারে।
গাছড়া আইল বেয়ে সোনার মাঠ, বাতাসের নামতায়
হারায়—দূরের গ্রাম, ধূসর হরিৎ।
দুপুর ভাতঘুম ভেঙে, বিষণ্ন হেমন্তের রাস্তায়
অন্ধ ফকির তোলে—গাজীর গান।
ছাতিমের ঘ্রাণ বাগের ঝোপঝাড় ডিঙায়
নেমে আসে সন্ধ্যারাতের আলোশূন্যতা।
ছক বেঁধে বাড়ি বাড়ি জ্বলে ওঠে—
রাজঅশোক ফুলের দোলনায়, কুপির আলো।
সমস্ত ক্লান্তি ছুটি দিয়ে, অজুর পানি মুছতে থাকা
স্যাঁতসেঁতে মায়ের আঁচল ডেকে ওঠে,
‘বাজান—
ত্যালের বোতলটো হিগগির লিয়া আয়,
গায় মাহায়ে দেই-মায়।’