সংশয়বাদী অঙ্কুরোদ্গম
শিল্পোত্তীর্ণ কাব্যের ব্যঞ্জনা আয়ত্ত করেছি—এই প্রশ্রয়কে আশ্রয় করে একদিন একটি কালোত্তীর্ণ কবিতা লিখব বলে বহুকাল কবিতা লিখিনি, লিখি না। এদিকে কাল উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে, অথচ কালোত্তীর্ণ কবিতাটি রচিত হচ্ছে না—এমত সংশয় থেকে আরও একটি না লিখলেও চলত বা খুব একটা কালোত্তীর্ণ নয়, এমন কবিতা রচনা করা অনুচিত হবে কি না, এই নিয়ে যখন অন্তর্নিহিত দোলাচল প্রায় দৃশ্যমান হয়, তখন গাঢ় টিপের মতো সকল সুষমা নিয়ে জ্বলে ওঠে সুতীব্র চাঁদ।
জান চলাচল বন্ধ
মৃত নগরীর যানবাহনের মতো
জান চলাচল থামবে একদা ভোরে
তুলে নিয়ে কিছু জানবাহনের স্মৃতি—
বাজান, তোমার বাঁশিটা বাজান, জোরে
টইটম্বুর
গোটা দেশ আজ বধিরে বধিরে কানায় কানায় পূর্ণ
জানাজায় যে করুণ সুর বাজে, জানা যায় তা পশুর নয়
অনুপ্রাসঙ্গিক
বিরান বিলের ধারে সুনসান নেই আবাবিল
এখনো জলের জালে বাঁধা পড়ে একলা হিজল
তবুও লাশের পাশে জেগে থাকে মগ্ন পলাশ
বিজনে বীজন করি, প্রিয়া, আর বীজের বপন
সংবিধানের আগে লেখা হোক ধানের বিধান
প্রভূত ত্রাণের রাশি, প্রভু, তবু নাই পরিত্রাণ
অস্থিরচিত্র
ব্যথায় অস্থির। ভেঙে যাওয়া অস্থির স্থিরচিত্র নেওয়া হচ্ছে এক্স-রে দিয়ে।
বহুকাল ভেবেছি, রঞ্জনরশ্মির ইংরেজি এক্স-রে হলো কেন? এক্স-রে আবিষ্কারক নিশ্চয়ই জানতেন, জগতের সকল এক্সরে জিজ্ঞেস করলেই বলবে, ওকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি! কোন ফরম্যাটে চান—স্থিরচিত্র নাকি চলমান অস্থির চিত্র?