চোখ
এত শুভ্রতা দিয়ে কী করবে তুমি
থাকবে না তো কিছুই
শরীরের আনন্দ-জল
শিলাবৃষ্টির শিলা কিংবা লবণ
অথবা চিনি, যা-ই বলো না কেন
থাকবে না কিছুই
হয়ে যাবে তোমার চোখ
আত্মমৈথুন
আত্মখননের পর বৃষ্টি এল
ধূসর ইতিহাস পেরিয়ে
শুষ্ক হয়ে উঠল যুগল শরীর
মিলনের বিপরীতে দাঁড়িয়ে
দিগন্তে মিশে যাচ্ছে
কচুরিপানার স্রোতে
যতই সোজা হয়ে দাঁড়াও
বুঝবে না কখনো
ব্যাকরণে ভুল ছিল
বুনোফুল
আসলে কিছুই নয়! তবে?
আগুন–মুখর নদী! আগুনও নয়
পলাশ ফোটার কালে ফাগুনের রূপ
বন্ধ চোখে, কোলাহলে, লজ্জায় নিশ্চুপ
কী এমন ক্ষতি, যদি খুলে ফেলো
আকাশের মতো দুটি চোখ!
যোজন দূরের তারা যদি মিশে যায় এসে
জংলি সুবাসের ওই স্রোতে ভেসে ভেসে
কোন ফুল তুমি, বুনো জেসমিন?
সুবাসে পাগল আমি, বন ও হরিণ
শরতে, ছাতিমের গন্ধে
অন্য পাশে ফিরব না
এই পাশ থেকে থেকে
সাপ হয়ে যাব ঠিকঠিক
পূর্ণিমা বাগানে
ছাতিমের গন্ধে
উড়তে থাকবে
আমার সকল বেলা
আমরা সকল পাশফেরা ভুলে
খেলতে থাকব মেঘ মেঘ খেলা
ডুবে যাচ্ছি কাফকায়
শোনা কথায় অট্টালিকা ছুঁয়েছ!
অথচ আমি ছিলাম জলে স্থলে
আর তোমার ছায়াপথে
আমাদের সংলাপগুলো যেন
পাথরের ঘুম, অপরিমাপ্য জঞ্জাল
সংসারের ভূগোল তাই শূন্যতায় ভরে যায়
হারিয়ে যায়
হৃদয়পুরের ব্যর্থ মানচিত্র
মুমূর্ষু শরৎ এসে গেল
ভালো হয়েছে খুব
বর্ষা আসেনি একটুও
সাম্প্রতিক কারুকৃতি নিয়ে তাই
তুমি বসে আছ ভুবনজলে
সঙ্গম
কথা বলার আগেই পদাবলি ঘেঁটে ঘেঁটে
নারী ও পুরুষ কেন হয়ে যায় শিরোনামহীন
অমৃত প্রাণের ক্ষুধা চুপচাপ শুয়ে থাকে
নারী তোমার জন্য
পুরুষ তোমার জন্য
আলোকের খেলা নিয়ে বিচিত্র বিশ্বের মতো
বিস্মিত পালকে আলো
উড়ে যায় দূরে যায়