যেন কোনো দিনও দেখা হবে না জেনেও
এত দিন যে আঁধার
নিকটে গড়েছে ধূসর আকাশ
সে অমাবস্যায়
এই শরতের শেষে
আমারে আবারও একবার
ডেকে যদি তোলো
হারিয়ে যেতে গিয়ে মেঘেদের ভিড়ে
হারায়ে যাই যদি সুজেয় অনড় অতীতে
ফের ডেকে জমা কোরো
ধীরে এই কাশের ছড়ে এনে
এই শরতের শেষে এসে
আমারে আবারও একবার
ডেকে তবু তোলো
সব যেন ম্লান হয়ে গেছে
তবু কত বিগত প্রেম মিশে আজও
শত কাঁচা কাশের ছড়ের মায়াবী ঝাঁপি
যেন ফিরে ডাকে
নিঃসঙ্গ কোমল ভোরের মতন—
‘কোথায় রয়েছ তুমি?’
কোনো এক আহত প্রেমিক আজও আমি
মেঘেদের সাদার মতন
নিরেট সজাগ জ্যোৎস্নার দহন পেতে বুকে
শূন্যতা আর আলোর মৃত্যুর
দ্বন্দ্বের গন্ধ পুষি যেন
ছাতিমের তীব্র আঘ্রাণের মতন
এই শরতের শেষে তবু
আমারে আবারও একবার
আশ্বিনী-শ্রাবণী বৃষ্টি হয়ে
পৃথিবীর মাটির গন্ধে
ভরে যদি তোলো
আমি কি আমনের কলরোলে
রাত্রি–দিনের অরূপ আভায়
এই লৌকিক পৃথিবীর আহ্লাদে
মিশে যাব না?
এত দিনেও বহু পুরাতন হলে দিন
একে একে সকল শরৎ এসে যেন
হাতে করে পার হয় রেলব্রিজ—
সেই পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
এক অনাদি যুগের বেদনার
ম্লান শারদ–সূর্য সাক্ষী নিয়ে
এই দিনে—
এই শরতের দিনে—
কোথাও যেন তবু রয়ে গেছে কেউ
তোমারই মতন
আমারে
আবারও ডাকবার