যথাযথ মানুষ

মানুষের কাছে তার ব্যবহৃত আলাপই প্রধান তবু

সব দৃশ্যাবলি, পরিবর্তনের পরে নতুন দৃশ্য আর শিহরণ জন্ম নেয়

                                                                মানুষের মনে,

ফের একেকটি মানুষ হয়ে ওঠে একেকটি পৃথিবী,

আমি সেই পৃথিবীর পার্শ্বে বসে যেন এক শোকসভা

                তুলে নিয়ে যাব দুই চোখের ভিতর চিরকাল,

এইভাবে বন্ধুর সহিত বসে সমম্বরে খুলে দিই শহরের

                                                সুড়ঙ্গভূমির অভিসার,

স্বপ্ন থেকে পাতালে যাওয়ার একমাত্র পথ হৃদয়ের সামনে বসে

                বলে যাই তবুও দোহাই, আর এই লক্কড় সংসর্গ দিয়ে

গানের গভীর ভান কোরো না এখানে;

দেখেছি মানুষ ও পশুর চারণভূমি কোন ঘাসে বেড়ে ওঠে,

                সজারুর সহানুভূতিতে কার শরীরের আরাম উদ্বুদ্ধ হয়;

দেখেছি বিজয় আর বিনয়ের বাঁকে বাঁকে কোন স্বপ্ন দাঁড় বায়

                                                                বিষের বাক্যের।

যাকে চিনি, তাকে কয়েকটি শব্দের সাথে চিনি,

                তার সুড়ঙ্গের সাথে নেই আপন পরিচয়,

একটি মানুষ তার বুকের ভিতর তাই পোষে সেই অজস্র মানুষ,

একটি মানুষ তার বন্ধুর বিপদে খোঁজে শ্রেষ্ঠ সাহায্যকে,

একজন রাত জেগে, জীবনযাপন থেকে যাবতীয় দুঃখাবলি

                ধীরে ধীরে করে রাখে বালিশে চয়ন।

একজন তার আপন সংসার ভুলে মাতা ও পিতার হেয় হীন হত্যা

                                                ঘৃণার দৃশ্যে দেখে আর

একজন নিজস্ব স্ত্রীকে পুঁতে আপন সংসার শেষে যায় চলে

                                                একা একা নিজের ভুবনে,

একজন সেখানেই এককে মিলায় দৃশ্যে দুঃখ ও সংগ্রাম

                                                যেন ঝরনা চলে যায়

পাহাড়—উপল থেকে নদী...বলি

                হে কাল, হে স্মৃতি, সেই যথাযথ মানুষ কোথায়?

রবিবাসরীয় ইত্তেফাক, ১৮ জানুয়ারি ১৯৭০