ইচ্ছাপূরণের গল্পে ঢুকতে কোনো প্রবেশপত্র লাগে না;
শিক্ষয়িত্রী শরৎকালের স্নিগ্ধতা পড়ে শোনাচ্ছেন বাচ্চাদের
কল্পনাঋদ্ধ দৃশ্যকল্প পেরিয়ে,
আজও কাশবন চিরে ছুটে যাচ্ছে অপু আর দুর্গা
হঠাৎ আবিষ্কারের ঢঙে জেগে উঠল
বৈশিষ্ট্যবিবর্জিত শস্যখামার।
প্রকৃতিকে মেনশন করে দাঁড়িয়ে আছে
মালিকের শরৎগন্ধী ছেলেমেয়েরা।
শিশুদের চোখ সন্দেহের আওতায় পড়ে না।
তারা ক্লাস শেষে
দিদিমণির অচেনা শরৎকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরে
পথে চৌকস চকলেট কারখানার দাবি নিয়ে
রোজ দাঁড়িয়ে থাকেন জটিল এক বুড়ো
তিনি শরতের বিনিময়ে চকলেট দিতে চান
বর্ণচোরা অপ্রিয় প্রস্তাব শুনে বাচ্চাদের আত্মা কেঁপে ওঠে।
বৃদ্ধের সারা মুখজুড়ে বসন্তের সোনালি বুদ্বুদ
স্তব্ধ বাতাসে নুয়ে আছে পতাকা, ঠিক তখনই
নীল আকাশ ভেঙে শুরু হয় ঋতুযুদ্ধের অখণ্ড প্রস্তুতি।