মাধ্যাকর্ষণের সহজ ভূমিকায়
যদি আলকুশির মতো ফুটে থাকি বনে লাশ হয়ে
কম ঝক্কির হবে তাও
সিলিংয়ে, জনপদে, পরিবারে অলক্ষে
কিন্তু বদ্ধ রুমে একান্তে ফুটে থাকার চেয়ে।
ভাঙা দরজারও প্রাসঙ্গিক হয় হুড়হুড়
আকস্মিক আমার ঠিকরানো চোখে চোখ রেখে
কার্ডিওমেগালি আক্রান্ত মায়ের প্রাণের
দফা হতে পারে;
বদমেজাজি বাপেরও। হতে পারে তা আমার কোমলপ্রাণ তরুণ ভাইয়ের।
যেন বা হরে–দরে ফিরে আসা লাশোত্তর জীবনে
এড়াতে না পারা জ্যামিং
ঘিরে ধরা ঔৎসুক্যের ঠেলায়
পুনর্বার স্বস্তি খোয়াব।
থানা-পুলিশ
রিগর মর্টিজের আগে বাঁচোয়াহীন জেরা
উদ্দিষ্ট সরলতাকেই
সন্ধানী সামাজিক চোখের তাকিয়ে থাকা
কাটাতে পারব না—
উৎকণ্ঠা চাপ আত্মীয় ভরপুর
ঢলে পড়ল কি না পড়ল আঁশটে দুপুর
তারও আগে কার্য ও কারণের নানান রসদ
হাতির পদক্ষেপের মতো দপদপ
আমার থেমে থাকা বুকে থামবে না।
বহুধা আইনি জটিলতা গলে
পেরিয়ে প্রশ্নকাতরতা যদি
কিছুটা ওপর থেকে
(পুলিশি তদন্ত শুরু হলো সবে)
দেখি বনে ঝুলে থাকা একই আমাকে
পাতার মধ্যবর্তী ফাঁকে
অন্ধকারের আগে চতুষ্পদী
টেনেহিঁচড়ে কি খাবে আমাকে!
দাঁতের গরলে সঁপেও নিজেকে, প্রশ্ন মনে
ভালুক–চিতা না হয়ে তারা যদি হয় শিয়াল–কুকুর
ততটাও কি সহ্য হবে?