হাওয়া গুমসুম, ফোটো না কুসুম

কে তুমি বন্য, আচ্ছন্ন হয়ে এতটা, বেরিয়েছ এ নির্মম আঁধারে—

এসব সময়, বড় ভালো নয়, মেঘও থমথম, দেখো রোধের ওপারে।

হাওয়া গুমসুম, বাহারি কুসুম, ভুলে স্ফুটন, এবার গর্ভে ফিরে যাও

ভাঙে মায়ারথ, এ অলীক শরৎ, নয় উপযোগী, আগামী বর্ষাও।

ফুলেরাও আর, নয় কবিতার, শুয়ে থাকে আজ, লাশেদের পাশে

কবিতাও তাই, যারপরনাই, জন্মেরও অধিক মৃত্যু ভালোবাসে।

হাওয়া আনচান, পাতারা গাছের, আকম্পিত ক্রমে, অস্থিরতায়—

ঢেউয়ের পীড়নে, কী হাল মোহনায়, অদূরে একা, লীন নদীটার?

তুমি কি শেফালি, পান্থপাদপ নাকি? ধরেছ এমন, ফোটার স্বভাব—

ভুলেছ বালাই, যেন শরতি বারিশ, অবিরাম ঝরিছ টুপটাপ?

হতে পারে ভুল, হীন শ্রবণের, সিম্ফনি কোনো কাশবনের কাছাকাছি,

চিনেছি তোমাকে, শকুনের ঝাঁকে, নির্ভয়ে ওড়া, এক রানি মৌমাছি।