আমাদের একজন মহাসাগর আছেন

ফরিদুর রেজা সাগর এখন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন। আনিসুল হক তাঁকে দেখেন বড় ভাইয়ের মতো করে। কেমন সেই সম্পর্ক? এ লেখায় ফরিদুর রেজা সাগরকে কেন মহাসাগর বলেছেন তিনি?

ফরিদুর রেজা সাগরের ছবি অবলম্বনে

আমাদের আছে বঙ্গোপসাগর। সেটা উপসাগর। বে অব বেঙ্গল। কিন্তু আমাদের একটা মহাসাগরও আছে। ওশান। যেমন পৃথিবীতে আছে প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, তেমনি। আমাদের সেই মহাসাগরের নাম ফরিদুর রেজা সাগর।

সাগর ভাই আমার চেয়ে ১০ বছরের বড়। সে তো জন্মতারিখের হিসাবে। আমার জন্ম ১৯৬৫, সাগর ভাইয়ের ’৫৫। কিন্তু মানুষ হিসেবে তিনি অনেক বড়।

ছোটবেলায় সাগর ভাই কচি-কাঁচার মেলা করতেন। রংপুরে থাকতে আমিও কচি-কাঁচার মেলা করেছি। কিন্তু তখন তো আর সাগর ভাইকে চিনতাম না। বরং তাঁর ছোট ভাই প্রবালকে চিনতাম। ফরহাদুর রেজা প্রবাল। রংপুরে বসে টেলিভিশনে দেখতাম, প্রবাল ভাই টেলিভিশনে বিতর্ক করছেন। বোধ হয় ‘ছায়াছন্দ’ নামের টেলিভিশন অনুষ্ঠানও তিনি উপস্থাপনা করতেন। ‘ছায়াছন্দ’–তে বাংলাদেশের সিনেমার গান দেখানো হতো, আর সেই অনুষ্ঠান প্রবল জনপ্রিয় ছিল। প্রবাল ভাই পড়তেন বুয়েটে, আর্কিটেকচারে। আমার মেজ ভাইও বুয়েটে পড়তেন, ছুটিতে বাড়ি এলে তিনি প্রবাল ভাই যে বুয়েটে পড়েন, সেই গল্প করে গর্ব প্রকাশ করতেন।

সাগর ভাই ছোটবেলায় ‘প্রেসিডেন্ট’ নামের একটা সিনেমায় শিশু অভিনেতা হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। সে খবরও পরে জেনেছি।
আমি সাগর ভাইকে কীভাবে চিনলাম, সেই গল্প এখন বরং বলি।

আমি তখন কাজ করি ‘পূর্বাভাস’ পত্রিকায়। সাপ্তাহিক পত্রিকা। সেই পত্রিকায় যেদিন পেস্টিং হতো, সেই রাতে খাবার আসত খাবার-দাবার থেকে। এর বিনিময়ে খাবার-দাবারের একটা বিজ্ঞাপন ফ্রি প্রকাশিত হতো। আরেকটা বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হতো; সেটা হলো ইমপ্রেস ভিডিও। ইমপ্রেস বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিও করত। বিয়ে, জন্মদিন—এসবেরও। পেস্টিং কথাটা বোধ হয় এখনকার পাঠক বুঝবেন না। আগেকার দিনে কম্পিউটার থেকে ট্রেসিং পেপার বের হতো। সেটা কেটে কেটে প্লাস্টিকের পেপারের ওপর স্কচটেপ দিয়ে পেস্ট করতে হতো। আর ফটো কম্পোজ নামের পদ্ধতিতে সাদা কাগজে প্রিন্ট বের হতো। সেটাও কেটে কেটে পত্রিকার পাতা সাজানো হতো। এই দিনে সবাই খুবই ব্যস্ত থাকতেন। আমরা রাতে পত্রিকা অফিসেই থাকতাম। ওই রাতে খাবার-দাবার হোটেল থেকে খিচুড়ি আসত।

ফরিদুর রেজা সাগর
ছবি: অন্য আলো

খাবার-দাবারের মালিক ছিলেন, এখনো আছেন, ফরিদুর রেজা সাগর। রেস্টুরেন্টটা স্টেডিয়ামপাড়ায়। খাবার–দাবার পিঠাঘর কথাটা প্রচারিত হতো। হাঁসের খিচুড়ির জন্যও রেস্তোরাঁটার খ্যাতি ছিল।

আমি ‘পূর্বাভাস’–এ কলাম লিখি। একদিন সাগর ভাই আমাকে ফোন করলেন। বললেন, ‘আনিস, তোমার লেখার হাত ভালো। তুমি উপন্যাস লিখতে শুরু করো। উপন্যাস লিখলে তুমি জনপ্রিয় হবে। আমার নামে একটা বই উৎসর্গ কোরো।’
আমি সাগর ভাইয়ের নামে দুটো বই উৎসর্গ করেছি।

কেমন করে আমি সাগর ভাইয়ের ভালোবাসা আকর্ষণ করতে শুরু করলাম, জানি না। আমি তাঁর ‘গুডবুকে’ চিরকালের জন্যে অন্তুর্ভুক্ত হয়ে গেছি বলেই বিশ্বাস করি। আশ্চর্য ঘটনা হলো, সবাই তা-ই ভাবেন। ভাবেন যে সাগর ভাই তাঁকেই বেশি ভালোবাসেন। সাগর ভাইয়ের ভালোবাসার ক্ষমতা মহাসাগরের মতো বিশাল।

ইমপ্রেস ভিডিও আরেকটা কাজ করবে। টেলিভিশনের খবরে যদি কাউকে দেখানো হয়, ধরা যাক, একজন একটা পুরস্কার নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে, এই মুহূর্তের ভিডিও তিনি চান, ইমপ্রেস টেলিভিশনকে বললে তাঁরা সেই প্রচারিত খবর থেকে কাঙ্ক্ষিত অংশটুকুর ভিডিও গ্রাহককে কপি করে দেবে।

আমাকে সাগর ভাই ফোন করলেন, ‘একটা লোগো বানিয়ে দাও। আর বিজ্ঞাপন বানিয়ে দাও একটা।’

সাগর ভাইয়ের বাংলামোটরের ফ্লাটে গেছি, ইস্কাটনের ফ্লাটে গেছি এবং গেছি বনানীর নিজস্ব বাড়িটাতে। সেই বাড়িটা দেখাতে দেখাতে সাগর ভাই আমাকে আর মেরিনাকে সাশ্রুনয়নে বলেছিলেন, শোনো, আব্বা চলে যাওয়ার পর আমরা ভাইবোনেরা পানিতে ভাসতে লাগলাম। ঢাকা শহরে আমাদের থাকবার মতো একটা জায়গা ছিল না। আজকে আমি যে বড় বাড়ি বানিয়েছি, সেদিনের কষ্টটা দূর করার জন্য।

আমি অশোক কর্মকারকে দিয়ে লোগো আর বিজ্ঞাপনের ডিজাইন করে দিলাম।
ইমপ্রেস গ্রুপের ব্যবসা বড় হতে লাগল। তারা গার্মেন্টস ব্যবসায় ভালো করতে লাগল। ‘আজকের কাগজ’ গ্রুপের প্রকাশক হিসেবে ইমপ্রেসের পরিচালকদের নাম ছাপা হতো।

১৯৯৯ সালের দিকে একদিন সাগর ভাই আমাকে ফোন দিলেন, ‘সিদ্ধেশ্বরীতে মনোয়ারা হাসপাতালের উল্টা দিকে অফিস ভাড়া নিয়েছি। চলে আসো।’ চলে গেলাম। কয়েকটা ফ্লোর ভাড়া নিয়েছেন সাগর ভাইয়েরা। তখনো আসবাব আসেনি। পুরো বাড়ি ফাঁকা। এখান থেকে একটা টেলিভিশন চ্যানেল চালানো হবে। নাম চ্যানেল আই।
আমাকে বললেন, ‘তোমাকে নাটক দিতে হবে।’ বলে তিনি আমার হাতে ৩৫ হাজার টাকার চেক ধরিয়ে দিলেন।

তার বিনিময়ে কোন নাটক দিয়েছিলাম, মনে নেই।
তত দিনে ইটিভিতে আমার ‘নাল পিরান’ প্রচারিত হয়ে গেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বানিয়েছেন ‘প্রত্যাবর্তন’, ‘প্রতি চুনিয়া’, ‘করিমন বেওয়া’।

আমরা একটা ধারাবাহিক নাটক বানাব। নাম ‘৫১বর্তী’। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালক। সারওয়ার ভাই প্রযোজক। সাগর ভাইয়ের কাছে গেলাম, সাগর ভাই, নাটকটা কে প্রচার করবে? ইটিভি তত দিনে বোধ হয় বিএনপি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। সাগর ভাই বললেন, ‘বানাও। কেউ প্রচার না করলে আমি তো আছিই।’
‘৫১বর্তী’ চ্যানেল আইতে প্রচারিত হতে শুরু করল। প্রথম দিনের কথা আমার আজও মনে আছে। প্রথম পর্ব প্রচারের পর ফোনের পর ফোন। ফোন আর রাখতে পারি না। ‘৫১বর্তী’ হিট হয়ে গেল।

এরপর সরয়ার ফারুকী বললেন, সিনেমা বানাবেন। ‘চড়ুইভাতি’র সিকুয়েল। ‘ব্যাচেলর’। প্রযোজক দরকার। আমি আর সরয়ার ফারুকী গেলাম চ্যানেল আইতে। সিনেমার জন্য প্রযোজক দরকার। সাগর ভাই বললেন, ‘ঠিক আছে। কত টাকা লাগবে, বাজেট করো।’
‘ব্যাচেলর’ও বহুল আলোচিত হলো।

সাগর ভাই আমার সব বিপদে-আপদে প্রধান ভরসা।
যেকোনো বিপদে এবং সম্পদে ফরিদুর রেজা সাগর প্রধান ভরসার নাম। এটা যেমন আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, তেমিন কারও চিকিৎসার জন্য টাকা লাগবে, কিংবা ‘প্রথম আলো’র জন্য কোনো সাহায্য দরকার, সাগর ভাইকে ফোন করলেই হলো। আমার যেকোনো বিপদে প্রথম ফোনটা আসে সাগর ভাইয়ের কাছ থেকে, ‘আনিস, একদম ভয় পাবে না। আমরা তোমার পাশে আছি।’

একবার আমার মাথায় একটা পোকা ঢুকল। একটা ফ্ল্যাট কিনতে হবে। ৫০ লাখ টাকা আমার কম পড়েছে। আমি সাগর ভাইকে বললাম, ‘ধার দেন ৫০ লাখ টাকা। শোধ করে দেব। নাহলে লিখে শোধ করব।’

তিনি বললেন, ‘তুমি ফ্ল্যাট কেনো। তোমার বড় ভাই কেন আছে?’
আমার জন্য এই সাহসই বড়। কোনো বিপদ-আপদে সাগর ভাই তো আছেনই। তবে টাকাটা আমি সাগর ভাইয়ের কাছ থেকে নিইনি। হাউজ বিল্ডিংয়ের লোন নিয়েছিলাম। ফ্ল্যাট কেনা হয়ে গেলে সাগর ভাই হঠাৎ দুপুরবেলায় বাসায় এসে হাজির। ফ্ল্যাটটা কেমন হলো, দেখতে এসেছেন।

আনিসুল হক, ফরিদুর রেজা সাগর ও আমীরুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

রাবেয়া খাতুন সাগর ভাইয়ের আম্মা। আমরা ডাকি খালাম্মা। রাবেয়া খালাম্মাও আমাকে খুবই আদর করতেন। যেকোনো অনুষ্ঠানে ইশারা করে ডাকতেন। পাশে বসাতেন।
সাগর ভাইয়ের বাংলামোটরের ফ্ল্যাটে গেছি, ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে গেছি এবং গেছি বনানীর নিজস্ব বাড়িতে। সেই বাড়ি দেখাতে দেখাতে সাগর ভাই আমাকে আর মেরিনাকে সজল নয়নে বলেছিলেন, ‘শোনো, আব্বা চলে যাওয়ার পর আমরা ভাইবোনেরা পানিতে ভাসতে লাগলাম। ঢাকা শহরে আমাদের থাকবার মতো একটা জায়গা ছিল না। আজকে আমি যে বড় বাড়ি বানিয়েছি, সেদিনের কষ্টটা দূর করার জন্য।’

সাগর ভাইয়ের গল্প থেকে আমি নাটক লিখে দিয়েছি। সাগর ভাই মুখে মুখে গল্প বানাতে পারেন। একদিন বললেন, ‘আনিস, এই গল্পটা কেমন! একটা ছেলে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা দিতে। স্কুটারে চড়ে। পরীক্ষার হলের কাছে এসে দেখল, সে অ্যাডমিট কার্ড আনে নাই। সে কাঁদতে লাগল। এখন কী হবে? স্কুটার থেকে নেমে দেখতে পেল, তার মামা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে এসেছেন। তাঁর হাতে অ্যাডমিট কার্ড।’ এই গল্প তিনি মুহূর্তে বানিয়ে ফেললেন।

শিশু-কিশোরদের জন্য একমনে লিখে চলেছেন সাগর ভাই। ছোটদের জন্য গভীর ভালোবাসা আর সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ ছাড়া এত ব্যস্ততার মধ্যেও তাঁর ‘ছোটকাকু’ সিরিজ লিখে চলা সম্ভব ছিল না।

তবে তাঁর একটা বইয়ের সিরিজ মহাকালের কাছে চিরস্থায়ী জায়গা পেয়ে গেছে। ‘বাংলা টেলিভিশনের ৫০ বছর’, ‘এক জীবনে টেলিভিশন’, ‘টেলিভিশন আরেক জীবনে’—এ দেশে টেলিভিশনের ইতিহাস নিয়ে কিছু লিখতে গেলেই এসব বই ঘাঁটতেই হয়।

সাগর ভাইকে নিয়ে আমার যে কত স্মৃতি! এত বেশি স্মৃতি যে কোনটা রেখে কোনটা বলব! হুমায়ূন আহমেদের ক্যানসার, এই তথ্য তিনিই আমাকে জানিয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, এটাও তাঁর কাছ থেকে আমি জেনেছি। আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হাসান আরিফ কয়েক দিন আগে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি যে অসুস্থ, এটাও সাগর ভাইয়ের কাছ থেকেই আমি প্রথম জানি।

একটা কথা তিনি আমাকে প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। তবুও করে রাখি। সাগর ভাই আমার কোনো অপরাধই মনে রাখবেন না। এবারও ক্ষমা করে দেবেন।

একটা বাদামি খামে তিনি আমাকে অনেকগুলো এক হাজার টাকার নোট পাঠিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘রেখে দাও। তোমার কাছে চিকিৎসার সাহায্য চাইতে নিশ্চয়ই মানুষ আসে, এখান থেকে কিছু কিছু করে দিয়ো।’ আমি বললাম, ‘আমি কি তাঁদের বলব, টাকাটা সাগর ভাই দিয়েছেন?’ তিনি বললেন, না। ‘আমি কি একটা হিসাব আপনাকে নিয়মিত দেব, কাকে কত দিলাম।’ তিনি বলেছেন, না।

শুনে মেরিনা বললেন, ‘তোমাকে মানুষ কত বিশ্বাস করে দেখো। মানুষের এই বিশ্বাসের মর্যাদা তুমি রেখো।’

[সাগর ভাই তো আমার ভাই। আমি বলি, ঢাকা শহরে আমার কয়েকজন ভাই আছেন, যাঁদের কারণে আমি কখনো নিজেকে দুর্বল মনে করি না। সাগর ভাই আমার তেমনি একজন ভাই। কিন্তু সিডরের সময় এক অচেনা লোক গোলাপি রঙের অফিস ফাইলে চার লাখ টাকা ভরে আমার হাতে দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা আপনার হাতে দিলাম এই ভরসায় যে এটা ঠিক মানুষের কাছে পৌঁছাবে।’ আমি বললাম, ‘প্রথম আলোর ত্রাণ তহবিলে জমা দিই। রিসিট নিয়ে যান।‘ তিনি বললেন, ‘রিসিট লাগবে না। আপনার হাতে পৌঁছানোই আমার জন্য যথেষ্ট রিসিট।’ মানুষের এই বিশ্বাসের প্রতিদান দেওয়ার যোগ্য যেন আমি সর্বদা থাকি]

সাগর ভাইয়ের কাছ থেকে এর অসুখ, ওর বিসুখ, ওর সাফল্যের খবর পাই। শুধু তাঁর নিজের অসুস্থতার খবর তিনি আমাকে দেননি। নিউইয়র্কে গিয়ে ফোন নম্বর খুঁজে বের করে ফোন দিলাম, ‘সাগর ভাই, ভালো আছেন তো?’ তিনিও নিউইয়র্ক থেকে ফিরে এসে আমার খবর নিলেন।

এখন আবার সাগর ভাই নিউইয়র্কে গেছেন।
সাগর ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে কত লোক উপকৃত হয়েছেন! কতজনের সুচিকিৎসা হয়েছে! তাঁরা ভালো আছেন।

হাজার হাজার মানুষের দোয়া আছে সাগর ভাইয়ের জন্য। সাগর ভাই নিশ্চয়ই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর দীর্ঘ জীবন পাবেন। আলো ছড়াবেন। স্নেহ ছড়াবেন। লেখক-শিল্পী-সংস্কৃতিজনের মাথার ওপর বটগাছের ছায়া দিতে থাকবেন।

সাগর ভাই শুধু সাগর নন। তিনি যে মহাসাগর। আমরা বিদ্যাসাগরকে দেখিনি, আমরা ফরিদুর রেজা সাগরকে দেখেছি।