সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: সত্যিকারের উত্তরাধুনিক

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম—কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, অধ্যাপক, চিত্রসমালোচক—তাঁর অনেক পরিচয়। মানুষ হিসেবেও তিনি অনন্য। এ লেখায় ধরা আছে অনুপম এক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মুখ।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের ছবি অবলম্বনে গ্রাফিকস

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম একজন বিস্ময়কর মানুষ।
‘সংবাদ’–এর বৃহস্পতিবারের সাহিত্য পাতা যখন আবুল হাসনাতের সম্পাদনায় বিশেষভাবে বিখ্যাত ছিল, তখন আমরা, আমাদের ছাত্রাবস্থায় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের কলাম পড়তাম সংবাদ সাময়িকীতে, ‘অলস দিনের হাওয়া’। প্রধানত বিদেশি সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের নিয়ে আলোচনা করতেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যার।
আমরা তখন ছাত্র। মুগ্ধতা, সমীহ, শ্রদ্ধা নিয়ে তাঁর কলাম পড়তাম। সমীহ জাগানোর জন্য এই তথ্যও কাজে লাগত যে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক। মেরিনা ইয়াসমীন ছিলেন তাঁর সরাসরি ছাত্রী। মেরিনার কাছ থেকে জানতে পারলাম, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম—মানে এসএমআই স্যার ইংরেজি বিভাগে প্রবল জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি যখন বৃত্তি নিয়ে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন, তখন ছাত্রছাত্রীরা ভীষণ কান্নাকাটি করেছিলেন। সংবর্ধনার অনুষ্ঠানটিতে অভিনন্দন জানানোর উচ্ছ্বাসের জায়গা দখল করেছিল শিক্ষার্থীদের অশ্রুপাত।

মেরিনার শিক্ষক হিসেবে আমি স্যারকে ডাকতাম ‘টিচার ইন ল’ বলে। আর বলতাম, ‘স্যার, আমি আপনার স্টুডেন্ট ইন ল।’ (সত্যের খাতিরে বলতে হবে, এই রসিকতা আমি চয়ন করেছি খোন্দকার আশরাফ হোসেন স্যারের কাছে। তিনিই প্রথম আমাকে বলেন, ‘আমি তো আপনার টিচার ইন ল।’ কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ‘একবিংশ’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা করতেন। বইমেলায় স্টলে স্টলে হাঁটতেন। সময় প্রকাশনীতে এসে আমার লেখা ‘ফাঁদ’ বইটা হাতে নিয়ে ব্লার্বের লেখা পড়তে পড়তে বললেন, কাফকায়েস্ক। অকাল প্রয়াত খোন্দকার আশরাফ হোসেনকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।)

১৯৯৬ সাল। সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের একটামাত্র গল্পের বই বেরোল। নাম ‘শ্রেষ্ঠ গল্প’। একই বছরে আরেকটা বইও আসবে। ‘থাকা না থাকার গল্প’। সেটাও বেরোল আর বাংলা একাডেমি ঘোষণা দিল, এবার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তখন পুরস্কার দেওয়া হতো মেলার শেষ দিনে।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের সবচেয়ে জ্যান্ত গুণ হলো রসবোধ। রবীন্দ্রনাথের মতোই তিনি একটা কথাও বলতে পারেন না, যেটায় হাস্যরস কিংবা বুদ্ধির ঝলক নেই। স্যার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাবেন, বইমেলায় তাঁর দেখা পেলাম, তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ‘শোনো, আমার বাংলা একাডেমি পুরস্কারের খবর প্রচারিত হওয়ার পর আমার বই ১৬ কপি বিক্রি হয়েছে; এটাই বড় পুরস্কার।’

পুরোটাই রসিকতা। স্যার ভালো রকমের জনপ্রিয়। কিন্তু ওই যে বললাম, রসিকতা না করে একটা কথাও বলতে পারেন না। ‘প্রথম আলো’র আলপিনের জন্য রম্য রচনা চাইলাম। তিনি লিখলেন। ছাপার আগেই সেই লেখা নিয়ে প্রথম আলো অফিসে কাড়াকাড়ি পড়ে গেল। তখন একটা সিনেমা হিট করেছিল, ‘স্বামী কেন আসামী’। সৈয়দ মনজুর স্যার আরও দুটো সিনেমার নাম প্রস্তাব করলে দিলেন, একটার নাম ‘ফুপা কেন কুফা’। আরেকটার নাম মনে নেই, ‘খালু কেন আলু’ টাইপ কিছু একটা। ব্রাত্য রাইসুর সঙ্গে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম যৌথভাবে উপন্যাস লিখতে শুরু করলেন ‘বাংলাবাজার পত্রিকা’য়। উপন্যাসের নাম ‘যোগাযোগের গভীর সমস্যা নিয়ে কয়েকজন একা একা লোক’। সৈয়দ মনজুর তাঁর অংশে একবার লিখলেন, একটা লোকের নাম সরফরাজ খাঁ। লোকে তাকে ডাকে সর্পরাজ খাঁ বলে।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যার অধ্যাপক, ভারী বিষয় নিয়ে সহজ ভাষায় চমৎকার প্রবন্ধ লেখেন, চিত্রকলার আলোচনা লেখেন, গল্প লেখেন, উপন্যাস লেখেন, আবার তরুণদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারেন। এ জন্যই বলছিলাম, তিনি একজন বিস্ময়কর মানুষ।

তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায় থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি রাজি হননি। তিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে চান না।
আমি যখন ‘ফাঁদ’ লিখি, আমার মনে হয়েছিল, এই বই কে পড়তে পারেন। দুজনের নাম আমার হঠাৎই মনে হয়েছিল। এক. অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আর দুই. অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। আমি দুজনকেই ‘ফাঁদ’–এর কপি উপহার দিয়েছিলাম। দুজনই ‘ফাঁদ’ নিয়ে আলোচনা লিখে দিয়েছিলেন।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের লেখা ‘ফাঁদ’ বইয়ের আলোচনা হাতে পেয়ে আমি যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম। স্যার লিখেছিলেন, ‘“ফাঁদ” আমি এক বৈঠকে পড়েছি। ইদানীংকালে শহীদুল জহিরের “সে রাতে পূর্ণিমা ছিল” ছাড়া আর কোনো উপন্যাস আমি এক বৈঠকে পড়িনি।’ তিনি লিখেছিলেন, প্রথম ম্যাচে নেমে শতরান করা ব্যাটসম্যানের মতোই আনিসুল হকের অভিষেক হলো কথাসাহিত্যে। স্যারের এই আশীর্বাদ আমাকে বিপুলভাবে অনুপ্রাণিত করল। লেখাটা আমি ‘সংবাদ’–এ দিয়ে এলাম। সেটা সংবাদ সাময়িকীতে প্রকাশিত হলো।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
ছবি: অন্য আলো

পরে স্যার আমার ‘মা’ বই নিয়েও আলোচনা লিখে দিয়েছেন। আমার একাধিক অনুষ্ঠানে স্যার দয়া করে হাজির থেকেছেন। যেমন: হারপার কলিন্স ‘আয়েশামঙ্গল’–এর অনুবাদ ‘ব্যালাড অব আয়েশা’ বের করল। আমরা বাতিঘরে অনুষ্ঠান করলাম। স্যার সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন। শুধু উপস্থিত থাকলেন, তা–ই নয়, স্যার একটা আলোচনা লিখে দিলেন। সেটা প্রথম আলোর ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত হলো। অর্থাৎ তরুণ লেখকদের জন্য সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এক ভরসার নাম। তিনি আমাদের প্রধান প্রেরণাদাতা। তিনি সুমন্ত আসলাম কিংবা আবু সুফিয়ানের মতো তরুণতর লেখকদেরও উৎসাহ দিয়েছেন, তাঁদের বইয়ের আলোচনা লিখে দিয়েছেন।

স্যারের সঙ্গে একবার কলকাতায় গিয়েছিলাম। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ওরা একটা বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল, সম্ভবত নাম ছিল ‘সামনে চলো’। বাংলাদেশে প্রথম আলো ছিল তাদের সহযোগী। কলকাতায় আমরা একসঙ্গে মঞ্চে উঠলাম। সেখানে আমাদের সঞ্চালক ছিলেন একজন লেখক, যিনি জন্মেছিলেন দার্জিলিং এলাকায়। সেই ভদ্রমহিলা আবার জয়পুর লিট ফেস্টের উদ্যোক্তাদের একজন। সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সুবিধার জন্য তিনি হোমওয়ার্ক করে এসেছিলেন। তিনি ‘মা’ বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ ‘ফ্রিডম’স মাদার’ পড়ে এসেছিলেন। স্যার তাঁকে বললেন, ‘আপনারা তো আনিসকে ইনভাইট করতে পারেন।’ তাতে আমার সুবিধা হলো, পরের বছরেই জয়পুর ফেস্ট থেকে আমি আমন্ত্রিত হলাম।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের সবচেয়ে জ্যান্ত গুণ হলো রসবোধ। রবীন্দ্রনাথের মতোই তিনি একটা কথাও বলতে পারেন না, যেটায় হাস্যরস কিংবা বুদ্ধির ঝলক নেই। স্যার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাবেন, বইমেলায় তাঁর দেখা পেলাম, তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলাম, তিনি বললেন, ‘শোনো, আমার বাংলা একাডেমি পুরস্কারের খবর প্রচারিত হওয়ার পর আমার বই ১৬ কপি বিক্রি হয়েছে; এটাই বড় পুরস্কার।’

কলকাতায় আমরা ছিলাম আইসিটি সোনার হোটেলে। সেখানে আইপিএলের টিমও উঠেছিল। লবিতে দেখি সাকিব আল হাসানের ছবি। আমি বললাম, ‘সাকিব আছে নাকি? তাহলে ওকে খবর দিই।’ স্যার বললেন, ‘দাও।’ আগ্রহভরে রিসেপশনে গেলাম। ওরা জানাল, সাকিবদের টিম আধঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে চলে গেছে।

স্যারকে বললাম, ‘স্যার, ফ্যাব–ইন্ডিয়াতে যেতে হবে। পাঞ্জাবি কিনতে হবে।’ স্যার বললেন, ‘চলো, আমি চিনি কোথায় ফ্যাব–ইন্ডিয়া।’ স্যার আমাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন। আমি পাঞ্জাবি কিনলাম। মেরিনা বললেন, ‘লাল পাড়ের তসর শাড়ি এনো।’ আমি স্যারকে সঙ্গে নিয়ে শাড়ির দোকানে গেলাম। অর্ডারমাফিক শাড়ি কিনলাম। দেশে এসে মেরিনার হাতে শাড়ি তুলে দিলাম। মেরিনা বললেন, ‘এই শাড়ির পাড় তো লাল না? এটা কী এনেছ? এটার রং মেরুন।’

আমি বললাম, লাল পাড়ই এনেছি।
আনতে বললাম লাল, আনলা মেরুন।
আমি স্যারকে ফোন দিলাম। তাঁর ছাত্রীকে ধরিয়ে দিলাম। স্যার বলেন, আপনার ছাত্রীর জন্য কী রঙের পাড় কিনেছি।
স্যার জানালেন, লাল পাড়।

স্যারের কথায় মেরিনা নিবৃত্ত হলেন। আমি বললাম, ফিফটি শেডস অব গ্রের মতো পঞ্চাশ রকমের লাল আছে, তা তো জানি না। দোকানের আলোয় এটাকে তো লালই মনে হয়েছিল।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
ছবি: অন্য আলো

‘মা’ উপন্যাস বেরোনোর আগে আমি স্যারকে ফোন দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ‘স্যার, শহীদ আজাদের ফটো, তাঁর চিঠি, তাঁর মায়ের চিঠি আমার কাছে আছে। বইয়ে কি এসব দেব?’

স্যার বলেছিলেন, ‘না। একদম না। কারণ, তুমি উপন্যাস লিখছ। পাঠককে কল্পনা করতে দাও। ছবি দিলে এটা সাংবাদিকতা হয়ে যাবে। একেবারে সাদা কাগজে ছবি ছাড়া বই বের করবে।’

আমি মনে করি, স্যারের সেই পরামর্শ আমার জীবনে পাওয়া একটা সেরা পরামর্শ।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মতো বড় মাপের লেখক, অধ্যাপক, পণ্ডিত মানুষ যে তরুণদের সঙ্গে চলেন, ফেরেন, তাঁদের গাইড করেন, এটা আমাদের একটা বড় পাওয়া। স্যার এত জানেন, এত তাঁর পড়াশোনার পরিধি, কিন্তু এ নিয়ে তাঁর কোনো অভিমান নেই। লালন বলেছেন, পণ্ডিত কানা অহংকারে। স্যার পণ্ডিত, কিন্তু এই নিয়ে তাঁর কোনো অহংকার নেই, এটা তাকে চক্ষুষ্মাণ করেছে। সাহিত্যের সর্বশেষ ট্রেন্ডের বিষয়ে তিনি অবহিত থাকেন। তরুণেরা কী ভাবছেন, তিনি সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। এ কারণেই তিনি শিল্পী।

‘আয়েশামঙ্গল’–এর অনুবাদ ‘ব্যালাড অব আয়েশা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাঁ থেকে আনিসুল হক, শামসুজ্জামান খান, সায়ান, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান নূর ও কামাল চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

আমি একবার স্যারকে বলেছিলাম, স্যার, একটা মত আছে, শিল্পবিপ্লব ও পুঁজিবাদের আগে ব্যক্তিমানুষ গড়ে ওঠেনি, তাই উপন্যাস লেখা হয়নি। এটা কি ঠিক? তাহলে স্যার একজন চাষীর কি এলিয়েনেশন বা বিচ্ছিন্নতাবোধের অনুভূতি হতে পারে না?

তিনি বললেন, ‘কী বলো, একজন চাষি, গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। আকাশে চাঁদ, তার চুল বেয়ে চাঁদের আলো ঝরছে। সে ভাবল, আমি একা, এই পৃথিবীতে আমি একা! তাঁর এই চেতনা থাকতে পারে না? এই বোধ তাঁর জন্মাতে পারে না।’

শিল্পবিপ্লবের আগে উপন্যাস ছিল না, এর কারণ, আমি মনে করি, ছাপাখানা ছিল না বলে উপন্যাস লেখা হয়নি। হাতে লেখা পুঁথিতে কাব্য লেখা যায়, তা মুখে মুখে ছড়াতে পারে। কিন্তু উপন্যাস লিখতে হলে কাগজ–কলম দরকার, আর তা পাঠকের হাতে পৌঁছানোর জন্য ছাপাখানা দরকার।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাগ্নে। কাজেই রসবোধ তিনি উত্তরাধিকারসূত্রেই পেয়েছেন। তবে আরেকজন সৈয়দের সঙ্গে তাঁর মিল আছে। সৈয়দ শামসুল হক। সৈয়দ মনজুর স্যার কিন্তু খুবই স্টাইলিশ। তরবারির মতো ঋজু শরীর। বাদামি কডের প্যান্টের সঙ্গে কালো ফুলহাতা শার্ট। হাতা গোটানো। মঞ্চে কথা বলেন আনিসুজ্জামান স্যারের মতো, নাতিদীর্ঘ, কিন্তু অর্থপূর্ণ।

স্যারকে আরও একটা কারণে আমি বিশেষ রকমের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তা হলো, পশ্চিমা দেশগুলোয় লেখালেখির ক্লাসে সারাক্ষণ উপদেশ দেওয়া হয়, গল্প বোলো না, ছবি আঁকো। সৈয়দ মনজুর বললেন, পূর্বের ঐতিহ্য হলো গল্প বলা। আমাদের কথকেরা চিরকাল গল্প বলে এসেছেন। আমরা গল্প বলব।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আমাদের পোস্টমডার্ন গল্পের কথক। তাঁকে সালাম।