কেউ কি পড়বে: জান্নাতুল ফেরদৌস
দুদিন ধরে বেশ শুকনো কাশি হচ্ছে। নতুন কিছু নয়। প্রায়ই এমন হয়। স্বপ্নে দেখছি অক্সিজেন বক্স সামনে নিয়ে বসে আছি আর কাতরাচ্ছি।
ঘুম থেকে উঠে দেখলাম, সত্যি সত্যিই নিশ্বাস নিতে পারছি না। ভাবলাম, সাইনাসের সমস্যাটা বোধ হয় বেড়েছে।
কয়েক দিন পর অবস্থা আরও ভয়াবহ হলো, কেঁপে কেঁপে জ্বর, শ্বাসকষ্ট।
বাবা ফার্মেসিতে গেল আরও কিছু ওষুধ আনতে।
এবার বাবার ওপর সত্যিই খুব রাগ লাগছে। এ তো ওষুধ খাইয়েই মেরে ফেলবে!
আমার আর সহ্য হয় না এই কষ্ট। জাহান, জাহিদ এখন আর এই ঘরে আসে না। শুধু মা নামাজের সময়টায় আসে, নামাজ পরে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যায়।
আমার মনে হতে লাগল, বেশ বড় একটা রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে এবং সেটা বাসার সবায়ই জানে। জেনেও না জানার একপ্রকার ভান ধরে আছে।
আমার ছোটবেলা থেকেই অনেক রোগ। হয়তো বাবা জানে এইবারের রোগটা থেকে আমাকে আর বাঁচানো সম্ভব নয়। হয়তো এ জন্যই তিনি আমাকে বাসায় লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি হয়তো চান না আমি হাসপাতালের করিডোরে মারা যাই আর তিনি আমার লাশটা শেষবারের মতো ছুঁতে না পারেন।
আমার বুঝে উঠতে আর বাকি নেই, আমার সময় প্রায় শেষ।
ইশশ! ডায়েরিটা কি লিখে শেষ করতে পারব?
সামনের বই মেলায় তো এই ডায়েরিটাই একটা পূর্ণাঙ্গ বইয়ে রূপান্তরিত হবে। আচ্ছা, আমি মারা যাবার পর ডায়েরিটা কি তারা ধরবে? নাকি আমার মতো ফেলে দেবে...!
[নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্যআলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্যআলো ডটকমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...। কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন: [email protected] [email protected]]