মৃত সূর্যের দিন

অলংকরণ: আরাফাত করিম

সকাল হয়েছে অথচ কোথাও সূর্য নেই, এমন দৃশ্যের কথা কখনো ভেবেছে কেউ? রাতের অন্ধকার পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ভোরের শরীরকেও প্রায় অদৃশ্য করে তুলেছে। প্রতিদিন সকাল সাতটায় ঘুম ভাঙে কমলের। কিছুক্ষণ অলস ভঙ্গিতে বিছানায় গড়াগড়ি দিয়ে তবেই সে সোজা হয়ে বসে। শিরদাঁড়া টান টান করে ঘাড়টা একটু পেছনে হেলিয়ে নিজেকে চাঙা করার চেষ্টা করে। মাঝেমধ্যে তার মনে হয় বাঁকা শিরদাঁড়া এ জীবনে কখনো সোজা হবে না। মাথা নোয়াতে নোয়াতে শিরদাঁড়াটাই বেঁকে গেছে। প্রতিদিনই ভাবে, একবার শিরদাঁড়া টান টান করে দাঁড়িয়ে সব অপমান, অবজ্ঞা আর অপবাদ একে একে ছুড়ে দেবে তার দিকে বন্দুক তাক করে রাখা আশপাশের মানুষগুলোর দিকে। কিন্তু হয়ে ওঠে না। উত্তেজনায় কিছুক্ষণ অস্থির ভঙ্গিতে পায়চারি করে। উত্তেজনা বেড়ে গেলে তার হাত-পা থরথর করে কাঁপতে থাকে। কিছুক্ষণ পর সব স্বাভাবিক। উদিত ইচ্ছাটাও ততক্ষণে হাওয়া। ঘুম ভাঙার পর প্রায় দশ-পনেরো মিনিট ধরে প্রতিদিনের অভ্যস্ত কাজগুলো যন্ত্রের মতো করতে থাকে। এ সময় একবারও সে চোখ খোলে না। কিন্তু তাতে কাজের কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। নিখুঁতভাবে সব কাজ সম্পন্ন করে। দাঁত ব্রাশ করে মুখে পানি ছিটিয়ে তবেই সে ধীরে ধীরে চোখ খুলে সকালের রূপ দেখে। তারপরও মাঝে মাঝে চোখ খোলার পর কিছুটা জ্বালাপোড়া ভাব চোখের কোনায় লেগে থাকে। হয়তো শরীরের জন্য আরও বেশি ঘুম দরকার। কিন্তু জীবন-জীবিকার তীব্র প্রয়োজনের কাছে ঘুম নেহাত তুচ্ছ হয়ে উঠেছে। সকাল আটটায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিস শেষে ফিরতে প্রায় এগারোটা বেজে যায়। বাসায় এসেও প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝে অনলাইন মিটিং থাকে। বিছানায় গিয়ে পড়তে পড়তে বারোটা-একটা। অফিসে যাওয়ার পথে মাঝে মাঝে পাবলিক বাসে বসে বসে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেয়। কিন্তু সেই সৌভাগ্য খুব কমই হয়। কারণ, প্রায়ই গাড়ির হাতল ধরে ঝুলে ঝুলে তাকে অফিসে যেতে হয়। গত রাতেও ঘণ্টাখানেক অনলাইন মিটিং ছিল। প্রায় একটার দিকে বিছানায় যেতে হয়েছে। স্ত্রী নয়না ও তিন বছর বয়সী ছেলে চয়ন কখন ঘুমিয়ে পড়েছে, জানে না সে। অবশ্য জানা সম্ভবও নয়। নয়না প্রচণ্ড ঘুমকাতুরে। দিন ও রাতের অধিকাংশ সময় সে ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। কমলের মাঝে মাঝে মনে হয় নয়না যখন জেগে থাকে, তখনো সে অর্ধেক ঘুমিয়ে থাকে। খেতে বসে কখনো কখনো এমন হয় খাওয়ার মাঝখানেই সে টেবিলে হেলান দিয়ে নাকডাকা শুরু করে। স্ত্রীর এ স্বভাবের জন্য কিছুটা সুবিধাই হয়েছে কমলের। কারণ, কমলের এত ব্যস্ততা নিয়েও নয়নার কোনো অভিযোগ নেই। কমল কখন বাসায় আসে, কখন বের হয়, কিছুই জানে না সে। পুত্রের সঙ্গেও কদাচ দেখা হয় তার। কমল যখন বাসা থেকে বের হয়, তখন চয়ন ঘুমিয়ে থাকে। যখন বাসায় ফেরে তখনো পুত্র গভীর ঘুমে মগ্ন। ছুটির দিনেও তাকে ওভারটাইম কাজ করতে হয়। কখনো যদি সৌভাগ্যক্রমে ছুটি জুটে যায়, তখন সে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যায়। চয়ন তার কাছে ঘেঁষতেই চায় না। কমল আদর করে কোলে নিতে চাইলে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে মায়ের দিকে ছুটে যায়। কমল বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। কমল বাসায় থাকলে নয়নাও কী করবে ভেবে পায় না। ঘুমের কিছুটা ব্যাঘাত ঘটায় নয়নাও বোধ হয় কমলের ছুটিতে খুব একটা খুশি হতে পারে না। এ জন্য কমলের মনে হয়, ছুটি না হওয়াই ভালো।

প্রতিদিনই ভাবে, একবার শিরদাঁড়া টান টান করে দাঁড়িয়ে সব অপমান, অবজ্ঞা আর অপবাদ একে একে ছুড়ে দেবে তার দিকে বন্দুক তাক করে রাখা আশপাশের মানুষগুলোর দিকে। কিন্তু হয়ে ওঠে না। উত্তেজনায় কিছুক্ষণ অস্থির ভঙ্গিতে পায়চারি করে। উত্তেজনা বেড়ে গেলে তার হাত-পা থরথর করে কাঁপতে থাকে।

আজ ঘুম থেকে উঠে চোখ বন্ধ অবস্থায়ই কমল নিত্যনৈমিত্তিক কাজগুলো করে যায়। দাঁত ব্রাশ করে চোখে পানি ছিটিয়ে তাকাতেই চমকে ওঠে। একি! এখনো চারদিকে অন্ধকার! তবে কি সকাল হয়নি এখনো? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা নয়। প্রতিদিন ঠিক সাতটায় তার ঘুম ভাঙে। রাত একটা, দুইটা কিংবা তিনটা যখনই ঘুমাতে যাক না কেন। কখনো ঘড়িতে কিংবা, মোবাইলে অ্যালার্ম দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। আজ কি তবে তার মাথা বিগড়ে গেছে নাকি সূর্যের? এখনো সূর্যের দেখা নেই আকাশের ত্রিসীমায়!

চোখ দুটো প্রতিদিনের তুলনায় একটু বেশি মাত্রায় জ্বালাপোড়া করছে। নাকি চোখই দেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে? কমল আরও কিছুক্ষণ বেসিনে দাঁড়িয়ে চোখে পানি ঢালে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয় না। অস্থির ভঙ্গিতে অন্ধকারে নিজের ঘড়ি হাতড়াতে থাকে। গত রাতে কাজ করতে করতে কোথায় খুলে রেখেছে, মনে নেই। নাকি পথে কোথাও হাত থেকে খুলে পড়ে গেছে? বেডরুমে মোবাইল ফোন রাখা ছিল। কিন্তু কী আশ্চর্য, চার্জ শেষ! মোবাইল মরে পড়ে আছে। রাতে ভুলে চার্জ দেওয়া হয়নি। দেয়াল হাতড়ে হাতড়ে লাইটের সুইচ অন করতে যায়। কিন্তু লাইটও জ্বলছে না। বিদ্যুৎ নেই বোধ হয়। ভাবতে ভাবতে কমল এলোমেলো পা চালিয়ে অন্ধের মতো জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। বাইরে অন্ধকার গাঢ় হয়ে লেগে আছে গাছগাছালির গায়ে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে বাসা থেকে বেরোতে হবে। দশটার আগে অফিসে ঢুকতে না পারলে চাকরি থাকবে না। শহরের অবিশ্বাস্য ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে অফিসে পৌঁছানো প্রায় যুদ্ধের মতো হয়ে ওঠে। অফিসে পাঁচ মিনিট লেট হলে দশ মিনিট বসের ঝাড়ি খেতে হয়। অফিসের কাছে বাসা ভাড়া নেওয়ার মতো সামর্থ্য তার নেই। তাই বেশ দূরে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। তাতে কোনোরকমে টেনেটুনে সংসারের চাকা ঘোরানো সম্ভব হয়। যদিও সব সময় ঠিকমতো ঘোরে না। কাজের ব্যস্ততার মাঝেই কখনো কখনো মনে হয় বুকের ভেতর কিছু একটা চেপে বসে আছে। এমন মনে হলে কমল ডেস্কে বসে ডানে-বাঁয়ে নড়েচড়ে নানা রকম কসরত করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এসবকে খুব একটা পাত্তা দেওয়ার সময় কমলের হাতে নেই। কারণ, অফিসের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে দমই বন্ধ হয়ে যাবে। নির্ধারিত কাজের বাইরেও প্রতিদিন হঠাৎ অতিরিক্ত কাজের চাপ এসে হাজির হয়। দেখা গেল অফিস থেকে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই অন্য কাজের হুকুম এসে হাজির। বিধ্বস্ত শরীর ও মন নিয়ে আবার সে সিসিফাসের মতো পাথর মাথায় নিয়ে পাহাড়ে উঠতে থাকে। কোনো কাজে সামান্য খুঁত পেলে বস তৎক্ষণাৎ ডেকে পাঠান। তার রাগান্বিত কণ্ঠ থেকে তীব্র গতিতে বুলেট বেরিয়ে আসে—আপনার তো কোনো কাজই হয় না। তবু দয়া করে কাজে রেখেছি। ঠিকভাবে কাজ করুন, না হলে অন্য পথ দেখুন।

কাজের মধ্যে ডুবে গিয়ে আবার সব ঘৃণা, অভিমান হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। কখনো কখনো কমলের ইচ্ছা হয় কারও কাছে মন খুলে সব কথা উগরে দেয়। কিন্তু বলার মতো কোনো মানুষ খুঁজে পায় না। নয়নার কাছে কি বলা যায়? একটু উদাস হয়ে কমল ভেবে দেখে।

কমল মাথা হেঁট করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জি স্যার, জি স্যার করতে থাকে। বসের রুম থেকে বেরোনোর সময় নিজের ওপরই কেমন যেন ঘৃণা তৈরি হয়। কিন্তু এ অনুভূতির আয়ু বড়জোর পাঁচ মিনিট। কাজের মধ্যে ডুবে গিয়ে আবার সব ঘৃণা, অভিমান হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। কখনো কখনো কমলের ইচ্ছা হয় কারও কাছে মন খুলে সব কথা উগরে দেয়। কিন্তু বলার মতো কোনো মানুষ খুঁজে পায় না। নয়নার কাছে কি বলা যায়? একটু উদাস হয়ে কমল ভেবে দেখে। মনের চোখে সে দেখতে পায়, নয়না ওর কথা শুনতে শুনতে কয়েকবার হাই তুলে নাকডাকা শুরু করে দিয়েছে। বিয়ের প্রথম দিকে অফিসে আসার পর নয়না মাঝে মাঝে ফোন দিত। কিন্তু এক-দুই মিনিটের বেশি কখনোই কথা বলতে পারত না। কথার মাঝখানেই হঠাৎ থেমে যেত। কমল বুঝতে পারত ঘটনা কী ঘটেছে। তাই ফোন রেখে নিজের কাজে মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করত।

জীবনের চারদিকে তাকিয়ে বিরাট হাঁ-খোলা এক শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পায় না কমল। ঠিক প্রেম নয়, তবে প্রেমের মতো কিছু একটা তার জীবনেও একবার উঁকি দিয়েছিল। তবে সেটা ছিল ঈদের চাঁদের মতোই ক্ষণস্থায়ী। তবু সেই ক্ষুদ্র ঘটনা তার জীবনে অন্য রকম মহিমা যোগ করেছিল। এই যন্ত্রজীবনের চরম বিপর্যয়েও যুগপৎ সুখ ও দুঃখের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে সেই দিনগুলোর স্মৃতি। অবশ্য বহুদিন রিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। ফেসবুকে কখনো ওর নাম লিখে সার্চ করার ইচ্ছাও হয়নি। কী লাভ কারও শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটিয়ে? হয়তো স্বামী-সন্তান নিয়ে সে বেশ আয়েশেই জীবন কাটাচ্ছে। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কমল আবার কাজে সচল হওয়ার চেষ্টা করে।

অন্ধকার মাড়িয়ে মাড়িয়ে কমল অফিসের পথে পা বাড়ায়। সামনে কী আছে, কিছুই বোঝা যায় না। তবু আন্দাজে পা ফেলে ফেলে কমল সামনের দিকে এগিয়ে চলে। আশপাশে তেমন লোকজনও দেখা যাচ্ছে না। সাধারণত এ সময়ে অফিসগামী বহু মানুষের স্রোত থাকে চারপাশে। আজ কী এমন হলো যে সব এলোমেলো হয়ে গেল! বিজ্ঞানের বইতে কমল পড়েছিল, একদিন সূর্যও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। তবে কি আজই সেই দিন? কিন্তু সূর্য মরুক আর বাঁচুক, তার অফিস কামাই দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সব অফিস কি আজ বিশেষ ছুটি ঘোষণা করেছে নাকি? না হলে এ জনশূন্যতার কারণ কী? নাকি মৃত সূর্য সবাইকে বিভ্রান্ত করে তুলেছে? সব অফিস ছুটি হলেও তার অফিস ছুটি হবে না, এটা কমল মোটামুটি নিশ্চিত। সুতরাং অন্যদের কথা ভেবে তার থেমে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। সে দৃঢ়পায়ে সামনে এগোতে থাকে। রাস্তায় রিকশা না থাকায় হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে আসতে হয়েছে। এদিকে কিছু লোকের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সবাই কেমন যেন ব্যতিব্যস্ত। কেউ কারও দিকে ঠিকমতো তাকানোর ফুরসত পাচ্ছে না। রাস্তায় বাসের সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কম। যাত্রীর সংখ্যা বেশি না হওয়ায় কমল মনে মনে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করে। যাক, বহুদিন পরে আজ সে শান্তিতে বাসে উঠতে পারবে। একটি বাস স্টপেজে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সে দ্রুত উঠে পড়ে। ভেতরে যাত্রীর সংখ্যা খুব কম। যারা আছে তারাও বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। কমলেরও চোখ ভেঙে ঘুম আসছে। গাড়িতে অনেকগুলো সিট ফাঁকা ছিল। কমল বাঁ দিকের জানালার পাশের একটা সিটে বসে চোখ বুজে থাকে। কখন ঘুমিয়ে পড়েছে, নিজেই বুঝতে পারে না। অফিসের সামনে এসে তার ঘুম ভাঙে। গাড়ি থেকে ধীরপায়ে নেমে এসে বিব্রত ভঙ্গিতে অফিসের দিকে পা বাড়ায়। আশপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। সূর্য কি আজ সবাইকে ফাঁদে ফেলে বেকুব বানিয়ে ফেলল?

অফিসের গেটে এসে কারও টিকিও দেখা যায় না। হঠাৎ চারপাশের মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসতে থাকে। কমল কান খাড়া করে শোনে বিস্ময়কর সেই আজানের ধ্বনি। কমলের সবকিছু হঠাৎ এলোমেলো হয়ে যায়। সময়ের হিসাবও তার মাথা থেকে উধাও। উন্মাদের মতো সে ভাবতে থাকে, এখন কি দিন নাকি রাত? কোনো উত্তর খুঁজে পায় না। মাথা একদম ফাঁকা মনে হয়। আবার সে ভাবে সূর্য উদিত না হলে দিন হতে সমস্যা কোথায়? অফিসের গেটে একটি বেঞ্চে বসে সে আকাশ-পাতাল ভাবতে থাকে। ঘুম আর জাগরণের মাঝামাঝি তার চেতনার উল্লম্ফন চলতে থাকে। কতক্ষণ এভাবে বসে ছিল, খেয়াল নেই। হঠাৎ সে খেয়াল করে কেউ তাকে ‘স্যার’ বলে ডাকছে। চারদিক ততক্ষণে বেশ ফরসা হয়ে এসেছে। কমল কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। যেন অনেক কসরত করে কিছু মনে করার চেষ্টা করছে। অনেকক্ষণ পর সে বুঝতে পারে, এ তো ফরিদ মিয়া। অফিসের পিয়ন। ফরিদ তার হাতে একটা খাম ধরিয়ে দেয়। কমল অবাক চোখে খামটি কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে দেখে। খাম খুলে চিঠির দিকে তাকিয়ে চারদিকে আবার অন্ধকার দেখতে শুরু করে। তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কম্পিত হাতে হাতড়াতে হাতড়াতে সে আবার আকাশে সূর্য খুঁজে বেড়ায়। এবার তার কোনো সন্দেহ থাকে না যে সূর্য সত্যিই মারা গেছে।