কন্ট্রোল-অল্ট-ডিলিট-রিস্টার্ট

‘লেজটা ভালো করে আঁচড়ায়ে দাও তো, ফ্লাফি হয় যেন!’

আঁতকায়ে উঠে মার্কেজের কলেরার দিনে প্রেমের বই ঘাসে ফেললাম।
সামান্য বিড়ালের স্পর্ধায় অপমানিত হব, নাকি কথা বলা বিড়াল দেখে অবাক হব?
‘করোনার দিন ধনী-গরিব, সাদা-কালো, বিলাই-মানুষে ভেদাভেদ নাই। তা ছাড়া তোমার উপকার করতেই আসছি।’
‘কী?’
‘চলো’, বলেই ছুটতে লাগল।
দিনরাত নেটফ্লিক্স ও খাবার বিঞ্জ করা ভারী শরীর নিয়ে আমিও তার পিছে—কান দিয়ে ধোঁয়া এবং মুখ দিয়ে প্রেসার কুকারের আওয়াজ করতে করতে দাঁড়াইলাম চিপা গলির ভিতরে আবজানো দরজার সামনে।
উঁকি দিয়ে খুশিতে অজ্ঞান হওয়ার দশা! বিলাইকে কোলে নিয়ে চুমাইতে ইচ্ছা করতেছে! মাটি থেকে সিলিং টয়লেট পেপারে ঠাসা, আরও বানাইতেছে।
বিলাই বলে, ‘অজিরা এখন ইম্পোর্টিং থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং দেশ হইতেছে, তবে একটা প্রশ্ন...’
‘বলো।’
‘খাবার মজুদ করার আগে মানুষেরা টয়লেট-পেপারে টানাটানি ফালাইছে কেন?’
‘বুঝবা না, আমরা উন্নত প্রাণী তো, ভবিষ্যৎ চিন্তা করি।’
‘আই ডিজ্যাগ্রি! যে দুনিয়ায় আছ, তার দফারফা করা তোমাদের উন্নতির ঠেলায় সব জাহান্নামে যাইতেছে। আমরা গর্তের মধ্যে বাথরুম করে মাটি দিয়ে ঢেকে দুনিয়া দূষণমুক্ত রাখি। তোমাদের বহুত শেখার বাকি।’
সে আমার পায়ে গা ঘষতে ঘষতে ঘরঘর করে।
* * *
নিজের নাক ডাকার শব্দে জেগে দেখি ‘ডেক’–এ কাইত হয়ে আছি। মার্কেজ উল্টানো।
আম্মা লাল বদনা হাতে হাসিমুখে বের হইল দরজা ঠেলে—
‘বাংলা দোকান থেকে কিনছি, টয়লেট-পেপার নাই তো কিয়া হুয়া? ব্যাক টু বেসিক্স!’


[নিয়ম:
১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট‌্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলোডট কমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...।

কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন:
[email protected]
[email protected] ]