নতুন জীবনী, নতুন হিটলার

অ্যাডলফ হিটলার, ১৯৩৮
অ্যাডলফ হিটলার, ১৯৩৮

অ্যাডলফ হিটলারকে নিয়ে বিগত কয়েক দশকে লেখা হয়েছে অগণিত গ্রন্থ, তাঁকে নিয়ে গবেষণা-চর্চা চলেছে নিরন্তর। সম্প্রতি হিটলারের দুটি নতুন জীবনী প্রকাশিত হয়েছে, আর তাতে উঠে এসেছেন নতুন এক হিটলার। এ নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে তুমুল হইচই! বই দুটি হচ্ছে হিটলার: আ গ্লোবাল বায়োগ্রাফি ও হিটলার: আ লাইফ। প্রথমটি লিখেছেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ব্রেন্ডান সিমস এবং শেষোক্তটির লেখক জার্মান অধ্যাপক-গবেষক এবং গোয়েবলস ও হেনরিখ হিমলারের জীবনীকার পিটার লঞ্জেরিখ। সিমসের বইটি নিয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। কারণ, বইটিতে হিটলারকে সম্পূর্ণ অভাবিত এক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখিয়েছেন সিমস। তিনি দেখাচ্ছেন, হিটলারের প্রধানতম উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব পুঁজিবাদ তথা আমেরিকাকে প্রতিহত করা, পরাজিত করা। অথচ সারা বিশ্বের মানুষ এতকাল জেনে এসেছে, হিটলার ছিলেন তীব্র কমিউনিস্টবিদ্বেষী, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও বলশেভিক শক্তির আক্রমণ প্রতিহত করাই ছিল তাঁর প্রধানতম উদ্দেশ্য! অন্যদিকে লঞ্জেরিখ তাঁর বইটিতে দেখিয়েছেন ইহুদি ও বলশেভিজমের প্রতি আন্তরিক ঘৃণা থেকেই হিটলার নির্মাণ করেছিলেন তাঁর রাজনৈতিক গতিপথ।

এর আগে হিটলারের পূর্ণাঙ্গ জীবনী লিখে খ্যাতিমান হয়েছেন অ্যালান বুলক, জন টোল্যান্ড, ইয়ান কারশ, ফোলকার উলরিখ প্রমুখ। ব্রেন্ডান সিমস ও পিটার লঞ্জেরিখের গ্রন্থ দুটি হিটলার-চর্চায় কতটা স্থায়ী অবদান রাখতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে। বই দুটি প্রকাশ করেছে বেসিক বুকস ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান