মৃত্যু নয়, মৃত্যুলতা: সুমন সুপান্থ

তবারক হোসেনের শিয়রে দাঁড়িয়েছিল রাহাত। শোকগ্রস্ত শীতরাতে কুয়াশালাগা পৃথিবীটা হিম যুগের দিকে সরে যাচ্ছে ক্রমশ। এক আসন্ন শোক পাক খেতে খেতে সায়েরা হোসেনকেও উচ্চস্বরে কাঁদিয়ে দিল নিমেষেই। টানা তিন রাত। যম-মানুষ দ্বৈরথ। চলে যাবার আগে অসুখ-দুঃখ ধূসরতায় কী কষ্টটাই না পেয়ে গেলেন রিটায়ার জজ তবারক হোসেন!

গত সোমবারও পিঠে হাত বুলিয়েছিল রাহাত। মাছের কাঁটার মতো শিরদাঁড়া। তার ভেতর কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকা মৃত্যুকেই যেন ছুঁয়ে ফেলেছিল সে! আঁতকে উঠেছিল। ২৯ বছরের ভেতর এই কি প্রথম তবারক সাহেবকে ছোঁয়ার স্মৃতি তার? কী অনতিক্রম্য দূরত্ব নিয়েই না তারা কাটিয়ে দিল এতগুলো বছর!

গোঙানি, অস্পষ্ট স্বরে স্ত্রীকে বললেন তবারক হোসেন, ওকে এবার অন্তত সব বলে দিয়ো।

রাহাত শুনতে পেল।

দুই অসম বয়সী নারী-পুরুষ প্রবল সন্দেহ আর অবিশ্বাসী চোখ নিয়ে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে রইল।

তবারক হোসেনের মৃত চোখের পাতা মুদে দেবার কথা মনেই এল না তাদের!

[নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্যআলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্যআলো ডটকমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...। কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন: [email protected] [email protected]]