কেমন হবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, বুঝতে হলে পড়তে হবে ৫ বই

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অচিরেই শপথ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেমন হবেন তিনি, তা বোঝার জন্য পাঁচটি বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক এডওয়ার্ড লুসি। অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

হোয়াট ইট টেকস

বইটির পুরো নাম হোয়াট ইট টেকস: দ্য ওয়ে টু দ্য হোয়াইট হাউস। লিখেছেন প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক রিচার্ড বেন ক্রামার। জো বাইডেন যদি আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট না–ও হতেন, তবুও ১৯৮৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে জানার জন্য এই বই পড়া জরুরি। কারণ, ওই বছরই জো বাইডেন প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেবার নকল করে জার্নাল লেখার দায়ে ভীষণ ধিকৃত হয়েছিলেন জো বাইডেন। এই এক অভিযোগেই জনপ্রিয়তার মাঠ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। ফলে খুব সহজেই জয়ের নাগাল পান জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ। রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, বাইডেনের আশা, হতাশা, স্বপ্ন ও ব্যক্তিত্ব বুঝতে সহায়তা করবে এই বই।

জো বাইডেন: আমেরিকান ড্রিমার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত পত্রিকা দ্য নিউইয়র্কার–এর সাংবাদিক ইভান ওসনসের লেখা জো বাইডেন: আমেরিকান ড্রিমার বইটি ইতিমধ্যেই বেস্টসেলার। কী আছে এই বইয়ে যে এটি বেস্টসেলার হলো? এখানে আছে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে মনোনয়ন পেতে কতটা লড়াই–সংগ্রাম করতে হয়েছে বাইডেনকে, তার ফিরিস্তি। এই বইয়ের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বাইডেনের লড়াকু মনস্তত্ত্ব ও হাল না ছাড়া স্বভাব।

ট্রাম্পোক্যালিপস: রিস্টোরিং আমেরিকান ডেমোক্রেসি

বইটির লেখক ডেভিড ফ্রাম ছিলেন ট্রাম্পের রাজনীতির সবচেয়ে কট্টর সমালোচক। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের বক্তৃতালেখক ছিলেন তিনি। বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে এক নতুন বিশ্বের সামনে দাঁড় করাবে বলেই ফ্রাম মনে করেন। তিনি বলেছেন, বাইডেন যদি সতর্ক না হন, তবে তিনিও ট্রাম্পের মতোই ভুল করবেন।

দ্য ট্রুথস উই হোল্ড

ইতিমধ্যে গোটা বিশ্ব জেনে গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী হতে যাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট—তিনি কমলা হ্যারিস। আর এই কমলা হ্যারিসই লিখেছেন দ্য ট্রুথ উই হোল্ড: অ্যান আমেরিকান জার্নি। বইটিতে স্থান পেয়েছে হ্যারিসের রাজনৈতিক উত্থানের গল্প। কমলা হ্যারিস যেহেতু বাইডেন প্রশাসনের অংশ হতে যাচ্ছেন, তাই বাইডেনের প্রেসিডেন্সি কেমন হতে পারে, তা বোঝার জন্য বইটি হবে দরকারি।

প্রমিজ মি, ড্যাড

বইটি জো বাইডেনের সাম্প্রতিক আত্মজীবনী। ২০১৫ সালে তাঁর বড় ছেলে বিউ বাইডেন মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর এই বই ব্যাপক আলোচিত হয়। কারণ, এই বইয়ে আছে পিতা-পুত্রের কিছু হৃদয়স্পর্শী কথোপকথন। মৃত্যুপথযাত্রী পুত্র তাঁর পিতাকে বলেছিলেন, ‘কখনো হাল ছেড়ো না, বাবা।’ পুত্রকে দেওয়া কথা রেখেছেন তিনি। হাল না ছাড়া বাইডেন এবার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। তবে বিউয়ের মৃত্যুর কারণে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল জো বাইডেনকে। তখন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচন করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। এই সবকিছু মিলিয়ে বইটি হয়ে উঠেছে বাইডেনকে বোঝার এক আকরগ্রন্থ। সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস