নব্বইয়ের দশকে জাপানের শহরগুলোতে তরুণদের মধ্যে এক আশ্চর্য ধরনের আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ করতে থাকেন সমাজবিজ্ঞানীরা। ওই সময় জাপান এক অর্থনৈতিক শীতলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, যাকে বলা হয় আইস এজ, আর তরুণদের পেয়ে বসেছিল ব্যর্থতার লজ্জা, অপরাধবোধ, হতাশা ও বিচ্ছিন্নতাবোধ। তাদের একটা বিরাট অংশ চারপাশের সমাজ ও পৃথিবী থেকে ক্রমাগত নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিতে থাকে। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন একা একা সময় কাটাতে থাকে ঘরে, একাকিত্ব ও সামাজিক দূরত্বই হয়ে উঠতে থাকে তাদের আরাধ্য ও প্রিয়, মনুষ্যসঙ্গের চেয়ে যান্ত্রিক সঙ্গ হয়ে উঠতে থাকে কাম্য। বলা হয়, নব্বইয়ের দশকের শেষে জাপানের প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ (সংখ্যায় প্রায় এক মিলিয়ন) এই অদ্ভুত আচরণগত সমস্যায় আক্রান্ত হয়। ১৯৯৮ সালে মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক তামাকি সাইতো এই সমস্যার নাম দেন ‘হিকিকোমোরি’। জাপানি ভাষায় হিকি অর্থ ‘প্রত্যাহার করে নেওয়া’ আর কোমোরি অর্থ ‘ভেতরে’। অধ্যাপক সাইতোর মতে, এটি কোনো মানসিক ব্যাধি নয়, বরং একটি জটিল মনঃসামাজিক অবস্থা, যে পরিস্থিতিতে মানুষ নিজেকে কেবল ঘরের ভেতর নয়, নিজের ভেতরও গুটিয়ে নিতে থাকে।
পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে কোভিড অতিমারির কারণে দিনের পর দিন একাকী, বিচ্ছিন্ন, দূরাগত থাকতে বাধ্য হয়ে হিকিকোমোরির মতোই নতুন ধরনের এক আচরণগত সমস্যার শিকার হতে যাচ্ছেন। পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘কেইভ সিনড্রোম’ বা গুহা রোগ।
কোভিডের আগের যুগে আমরা যেভাবে চিন্তা করতাম, সময় কাটাতাম, আপনজনের সঙ্গ উপভোগ করতাম এবং শিল্প-সংস্কৃতি থেকে বিনোদন লাভ করতাম, কোভিড-পরবর্তীকালে তা যে অনেকখানি পাল্টে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই। খুবই ধীরে সবার অগোচরে ঘটে চলেছে এই মনঃসামাজিক বিবর্তন, যা বদলে দেবে আগামী দিনের মানবজাতিকে—সমাজবিজ্ঞানীদের এমনই ধারণা। হিকিকোমোরি সম্প্রদায় যে একধরনের স্বপ্রণোদিত ও স্ব-উদ্ভাবিত বুদ্বুদে নিজেদের আবদ্ধ করে রাখতে ভালোবাসত, গোটা বিশ্ব আজ সেই পথেই চলেছে কি না কে জানে!
এই প্রত্যাহার করা জীবনদর্শন আগামী পৃথিবীতে সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিনোদন ও বৃদ্ধিবৃত্তিক জগতে কী প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে, তা দেখতে হয়তো আমাদের আরও কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হবে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কমিটি অন কালচার অ্যান্ড এডুকেশন বিশ্বের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অতিমারির প্রভাব নিয়ে একটা বিশদ পর্যালোচনা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ইউরোপজুড়ে ২০২০ সালের দীর্ঘ লকডাউনে সংগীত, সাহিত্য, থিয়েটার, সিনেমা, চিত্রকলা ও অন্যান্য খাত যে বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে, তা আর কখনোই কাটিয়ে ওঠা হয়তো সম্ভব হবে না। এই সময় ২ লাখ ২৮ হাজার মিউজিক ইভেন্ট বা কনসার্ট বাতিল হয়েছে, ৬ লাখ ৬৪ হাজার পারফর্মিং আর্ট ইভেন্ট অনুষ্ঠিতই হয়নি। কেবল ভেন্যুগুলোই ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই এক বছরে যুক্তরাজ্যে সিনেমাশিল্পের সঙ্গে জড়িত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। টানা কয়েক মাস ফ্রান্সের ৬ হাজার মুভি থিয়েটার বন্ধ থাকার কারণে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হয়েছে। স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে শত শত বইয়ের দোকান, থিয়েটার, সিনেমা হল ও প্রোডাকশন হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী বার্কলে বুক স্টোর বা কলকাতার মোহন তিওয়ারির প্রাচীনতম বইয়ের দোকানও আর কোনো দিনই খুলবে না। স্পেনের বিখ্যাত ফ্ল্যামেঙ্কো স্টেজগুলোর এক-তৃতীয়াংশ বন্ধ হয়ে গেছে, চিরতরে নেমে গেছে মাদ্রিদের ১৪০ বছরের পুরোনো ভিলা রোসার পর্দা। গবেষকেরা বলছেন, ফ্ল্যামেঙ্কোর মতো স্ট্রিট ও স্টেজ পারফরম্যান্স অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে, কেননা, দর্শকই এই সব লাইভ পারফরম্যান্সের প্রাণ।
পোস্ট-প্যানডেমিক যুগে গুহা সিনড্রোমে আক্রান্ত মানুষ যে আর আগের নিয়মে সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা করবে না, তা বলাই বাহুল্য। গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস, আগারোফোবিয়া বা ভিড়-আতঙ্ক, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি আসক্তি আর হোম অফিস-হোম স্কুলিং চর্চা সামনে আরও বাড়বে। বিপুলসংখ্যক মানুষ বাইরের পৃথিবীতে আগের মতো আর স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। প্যানডেমিকের মধ্যে বেড়ে ওঠা একটি গোটা প্রজন্ম সামাজিক বিচ্ছিন্নতা আর আইসোলেশন থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে না পুরোপুরি, তারা বেড়ে উঠতে থাকবে নিজেদের সীমিত গণ্ডির মধ্যে। তাহলে কী হবে সিনেমা, নাটক, সংগীত বা নৃত্যকলার? তাহলে কি ‘দরকারি’ কাজ ছাড়া বাকি সবই মানুষ বাতিলের খাতায় ফেলে দেবে?
নতুন দুনিয়ার কিছু কিছু নিদর্শন আমরা এখনই দেখতে পাচ্ছি হয়তো। দর্শক বা ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর নতুন তরিকা খুঁজে নিচ্ছে এই ইন্ডাস্ট্রিগুলো। ই-ডিস্ট্রিবিউশন বা ই-প্রেজেন্টেশন ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। অতিমারির কালে আর সব ইন্ডাস্ট্রি রসাতলে যেতে বসলেও পোয়াবারো ছিল ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর। লকডাউনের প্রথম চার মাসেই নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে যায়। নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও বা আমাজনের মতো কোম্পানির শেয়ার বাড়তে থাকে হু হু করে। সিনেমা, প্রামাণ্যচিত্র, মিউজিক ভিডিও ইত্যাদি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার প্রবণতা বাংলাদেশেও লক্ষ করছি আমরা। এরই মধ্যে বাংলাদেশের একটি বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে সরে এসেছে আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। ভিডিও গেম ডাউনলোডের প্রবণতা অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে কেবল এই খাতে লকডাউন চলাকালেও ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো রাজস্ব যুক্ত হয়েছে। এ সময় ৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে প্লে টাইম বেড়েছে সপ্তাহে গড়ে দেড় ঘণ্টা।
পিছিয়ে নেই টেলিভিশনও। লকডাউনের সময় টেলিভিশনে দর্শকের সময় কাটানোর হার বা স্ক্রিনটাইম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, ফ্রান্সে এই বৃদ্ধি গড়ে সাড়ে চার ঘণ্টা, যুক্তরাজ্যে গড়ে তিন ঘণ্টা।
কিন্তু সুখের বিষয় হলো, বইয়ের দোকান আর লাইব্রেরিগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেলেও লকডাউনের সময় বিশ্বজুড়ে বই পড়ার প্রবণতা কমেনি। গত বছর মার্চের শেষে প্যারিসে ই-বুক ডাউনলোড করার হার ছিল পাঁচ গুণ বেশি। গ্লোবাল ওয়েব ইনডেক্স করোনা ভাইরাস রিসার্চ এপ্রিল ২০২০-এ প্রকাশ করেছে, বিশ্বজুড়ে ৩৩ শতাংশ মানুষ লকডাউনের আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বই পড়েছেন বা অডিও বুক শুনেছেন। কেবল ই-বুক নয়, অনলাইনে বই কেনার প্রবণতাও বেড়েছে। গেল বছর মার্চেই অনলাইন বই বিক্রি প্যারিসে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, আর এপ্রিলে তা ১৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ফলে অনেক বইয়ের দোকান ও লাইব্রেরি ডিজিটাল বিক্রিবাটাকেই মুখ্য ব্যবসা হিসেবে সামনে আনে। তবে একই সঙ্গে বাড়তে থাকে পাইরেসির প্রবণতাও। কারণ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পাইরেসি আগের চেয়ে সহজ।
তবে এই ব্যাপক ডিজিটালাইজেশনের কারণে চিরচেনা নাটক, সিনেমা, সংগীত বা পারফরম্যান্সও কি বদলে যাচ্ছে দ্রুত?
স্বাস্থ্যবিধি মানা, কুশীলবদের করোনা পরীক্ষা ও সামাজিক দূরত্বের বাড়তি খরচ কিছু ক্ষেত্রে বাজেট হ্রাসে বাধ্য করছে প্রযোজকদের। এমনকি হলিউডেও শুটিংয়ের সময় কুশীলবের সংখ্যা যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং অল্প লোক নিয়ে কাজ করা, সম্পাদনা বা ডাবিংয়ের মতো কাজ দূরবর্তী স্থান থেকে ডিজিটালি সম্পন্ন করা, আউটডোর দৃশ্যায়ন কমিয়ে ইনডোর দৃশ্যায়নের কাজ বৃদ্ধি কিংবা কাহিনিতে ভিড়ভাট্টার দৃশ্যগুলো এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও একই ঘটনা ঘটছে। এখন এখানকার মঞ্চনাটকের বেলায় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, মহড়ার একটা অংশ সম্পন্ন হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। আর বিশ্বব্যাপী বাড়ছে অ্যানিমেটেড লোকেশন ব্যবহার করার প্রবণতা।
বড় বড় উৎসব ক্রমেই ভার্চ্যুয়াল হচ্ছে। ২০২০-এ কান চলচ্চিত্র উৎসব বা একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের ভার্চ্যুয়াল উপস্থাপনা আমরা দেখেছি। ভবিষ্যতে পুরোপুরি ভার্চ্যুয়াল না হলেও হাইব্রিড, অর্থাৎ ভার্চ্যুয়াল ও লাইভের সংমিশ্রণ দেখা যাবে এই সব অনুষ্ঠানে। ইন্ডাস্ট্রি আরও বেশি প্রযুক্তনির্ভর হবে এবং এ জন্য নতুন ধরনের দক্ষতাসম্পন্ন মানুষের কদরও বাড়বে—এটা গবেষকদের আন্দাজ। এর ফলে ট্র্যাডিশনাল পারফরমাররা হারিয়ে যেতে পারেন দিনে দিনে। নেদারল্যান্ডসের একটি সমীক্ষা বলছে, সে দেশের ৩০ শতাংশ শিল্পী ও পারফরমার উপার্জনের নতুন উপায় খুঁজছেন। ফলে পুরোনো অনেক অভিজ্ঞতা আর আনন্দই হয়তো হারিয়ে যাবে অচিরে, আর নতুন ধরনের পারফরম্যান্সের স্বাদ নিয়ে আগমন ঘটবে নবীনদের। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও আসবে পরিবর্তন। এর একটা বড় উদাহরণ হলো চীন। ২০২০-এর মে মাসেই চীন সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে বিপুল মাত্রায় ইনোভেশন ফান্ড বরাদ্দ করে, যার মূল টার্গেট ফাইভ জি, ক্লাউড কম্পিউটিং, বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স প্রয়োগের মাধ্যমে সংস্কৃতি খাতকে পুনরুদ্ধার করা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা বা বাণিজ্যিক কাজকর্মের মতো সাহিত্য-সংস্কৃতিও তাহলে অচিরেই এআই বা প্রযুক্তির হাতে চলে যাচ্ছে!
বর্তমান বিশ্বের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবী নোয়াহ হারিরি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভুলে যাবেন না আমাদের ক্রোধ, আনন্দ, বিরক্তি আর ভালোবাসার অনুভূতিগুলো জ্বর বা কাশির মতোই বায়োলজিক্যাল বিষয়। যে প্রযুক্তি আপনার কাশিকে শনাক্ত করতে পারে, তা আপনার হাসিকেও মুহূর্তে ধরে ফেলতে পারবে। প্যানডেমিক-পরবর্তীকালে রাষ্ট্র আর প্রতিষ্ঠান যখন সমস্ত জনগণের বায়োমেট্রিক ডেটা সংরক্ষণ আর পর্যবেক্ষণে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে, সে তখন আমাদের চিনতে পারবে আমাদের নিজেদের চেয়েও বেশি, আর আমাদের অনুভূতিগুলোকে কেবল পূর্বধারণা করতে পারবে তা নয়, নিয়ন্ত্রণও করতে পারবে। আর আমাদের তখন তাদের ইচ্ছেমতো সব বিষয় গেলাতে বা বিক্রিও করতে পারবে—সে বিনোদনই হোক কি রাজনীতি।’
গবেষকদের আরও শঙ্কা এখানে যে সাহিত্য বা সংস্কৃতিজগৎ যত প্রযুক্তনির্ভর হবে, তত এর গণতান্ত্রিক গ্রহণযোগ্যতাও কমবে। কারণ, প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা, ক্রয়ক্ষমতা, ভাষাগত জ্ঞান না থাকলে কেউ তার ভোক্তা হতে পারবে না। এই জগতের পুরোটাই তখন চলে যেতে পারে অভিজাতদের দখলে। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ, দিনমজুর, কৃষক, রিকশাওয়ালার বিনোদন যাবে বন্ধ হয়ে, কিন্তু অভিজাত সমাজ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তা বজায় রাখতে সমর্থ হবে। এর ফলে সাহিত্য-সংস্কৃতি বা বিনোদনজগতেও একটা বৈষম্য গড়ে উঠতে পারে।
কিন্তু এটাই পৃথিবীর সমাপ্তি নয়, তবে একটা ভুবনের সমাপ্তি তো বটেই। হারিরি বলেন, ‘একদিন ঝড় থেমে যাবে, মানবজাতিও হয়তো টিকে যাবে, হয়তো আমাদের মধ্যে অনেকেই থাকবে না কিন্তু অনেকেই থাকব, তবে যারা থাকব, তারা যে এক নতুন পৃথিবীর বাসিন্দা হতে যাচ্ছি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
সূত্র: কালচারাল অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ সেক্টরস ইন পোস্ট কোভিড–১৯ ইউরোপ, ক্রাইসিস ইফেক্টস অ্যান্ড পলিসি রিকমেন্ডেশনস, রিসার্চ ফর কাল্ট কমিটি বাই ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট; কেইভ সিনড্রোম-দ্য ওয়রি অব রি এন্টারিং আ পোস্ট লকডাউন পিরিয়ড, টম হেইল, আইএফএল সাইন্স, ২৬ জুলাই ২০২১; কেইভ সিনড্রোম কিপস দ্য ভ্যাকসিনেটেড ইন সোশ্যাল আইসোলেশন: মেলবা ন্যুসাম, সায়েন্টিফিক আমেরিকান, ৩ মে, ২০২১; ইফেক্টস অব প্যানডেমিক সোসাইটি, ইন্টারেকশন, অ্যালেন ফার, সোশিওলজি প্রফেসর অব অবার্ন ইউনিভার্সিটি, মে ২০২০।
নতুন পৃথিবীতে সংস্কৃতি
ই-ডিস্ট্রিবিউশন বা ই-প্রেজেন্টেশন জনপ্রিয় হচ্ছে
অতিমারির সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর অবস্থা ছিল জমজমাট
লকডাউনের প্রথম চার মাসেই নেটফ্লিক্সের
সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়
নেটফ্লিক্স, প্রাইম ভিডিও বা আমাজনের মতো
কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে
সিনেমা, প্রামাণ্যচিত্র, মিউজিক ভিডিও ইত্যাদি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেও
গত বছর মার্চের শেষে প্যারিসে ই-বুক
ডাউনলোড করার হার ছিল পাঁচ গুণ বেশি
বিশ্বজুড়ে ৩৩ শতাংশ মানুষ লকডাউনের আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বই পড়েছেন বা
অডিও বুক শুনেছেন
অনলাইনে বই কেনার প্রবণতা বেড়েছে। গত বছর মার্চেই অনলাইন বই বিক্রি প্যারিসে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, আর এপ্রিলে তা ১৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে
অনেক বইয়ের দোকান ও লাইব্রেরি ডিজিটাল বিক্রিবাট্টাকেই মুখ্য ব্যবসা হিসেবে সামনে আনছে