জসীমউদ্দীন ও পূর্ব বাংলার মানুষের মন
১ জানুয়ারি ছিল কবি জসীমউদ্দীনের জন্মদিন। পূর্ব বাংলা তথা বাংলাদেশের মানুষের মনোভঙ্গি ও যাপন-সংস্কৃতি নিবিড়ভাবে ধরা পড়েছে তাঁর লেখায়। পূর্ব বাংলার মানুষের মনের তালাশ করতে নতুন বছরের শুরুতে এই কবির সাহিত্যে ফিরে দেখা
জসীমউদ্দীন যখন সাহিত্যচর্চা করা শুরু করেন, তখনো কলকাতায় বাঙালি মুসলমান লেখকেরা শুধু ‘লেখক’ পরিচয়ে পরিচিত হয়ে উঠতে পারেননি। তাঁরা ‘মুসলমান লেখক’ অভিধায় অভিহিত হতেন। লেখকের আগে ‘মুসলমান’ না লিখলে পরিচয়টি সম্পূর্ণ হতো না। কখনো কখনো ‘পূর্ব বাংলার মুসলমান’ কথাটিও ব্যবহার করা হতো। এই পরিস্থিতি মীর মশাররফ হোসেনের আমলেও ছিল। তাঁর বিষাদ-সিন্ধু প্রকাশিত হওয়ার পর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে যাঁরাই উপন্যাসটি নিয়ে কথা বলেছেন, তাঁরা প্রায় সবাই মশাররফের আগে ‘মুসলমান লেখক’ কথাটি যুক্ত করে কথা বলেছিলেন। বিশ শতকের প্রথম দিকেও এই পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। এই শতকের বিশের দশকের শুরুতে জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা কল্লোল পত্রিকায় ছাপা হয়। সেটা পড়ে দীনেশচন্দ্র সেন একটি আলোচনা লিখেছিলেন ফরওয়ার্ড পত্রিকায়। শিরোনাম দিয়েছিলেন ‘অ্যান ইয়াং মোহামেডান পোয়েট’। কলকাতায় জসীমউদ্দীনের ‘একমাত্র আপনজন’ বলে খ্যাত দীনেশের মতো অসাম্প্রদায়িক মানুষকেও এ ধরনের সম্প্রদায়চিহ্নিত শিরোনাম দিতে হয়েছিল। সুতরাং ব্যাপারটা সরল নয়।
শুধু কবির নামের সঙ্গে মুসলমান ব্যবহৃত হতো, তা-ই না। কী নিয়ে লেখা; মুসলমানের জীবন নাকি হিন্দুর; তা-ও শনাক্তের রেওয়াজ ছিল। হিন্দুরটা উল্লেখ করার কোনো দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। মুসলমানেরটা উল্লেখ করা হতো, এমন দৃষ্টান্ত এন্তার পাওয়া যাবে। যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে নক্সী কাঁথার মাঠ ও রাখালী বই দুটি প্রথম তুলে দিলে তিনি কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে তুমি বাংলাদেশের চাষী মুসলমানদের বিষয়ে লিখেছ। তোমার বই আমি পড়ব।’
ধর্মীয় পরিচয় দিয়ে লেখক এবং লেখকের সাহিত্যের বিষয়বস্তু শনাক্তের ব্যাপারটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। ব্যাপারটা শুধু কৌতূহলেরও নয়। এ ধরনের শনাক্তপ্রক্রিয়ার মধ্যে ওই সময়ের মুসলমান লেখকদের বাংলা সাহিত্যের জগতে অনুপ্রবেশকারী ভাবার একটা ব্যাপার কি ক্রিয়াশীল ছিল! খোদ মুসলমান লেখকদের তরফ থেকে এমনটা ভাবার যথেষ্ট কারণ ছিল হয়তো। কিন্তু নজরুলের ক্ষেত্রে তো মুসলমান পরিচয় দেওয়া হতো না! এর কারণ কি এই যে তিনি পশ্চিমবঙ্গীয় ছিলেন! নাকি তিনি সমাজসংস্কারী লেখক মনোবৃত্তি অতিক্রম করে সার্থক সাহিত্যের মহাসড়কে উঠে গিয়েছিলেন? নজরুল যদি বাঙালি মুসলমান লেখকদের মধ্যে প্রথম সাহিত্যের মহাসড়কের সফল অভিযাত্রী শিল্পী হন, তবে জসীমউদ্দীনও তো কাছাকাছি সময়ের ওই একই গোত্রের লেখক হওয়ার কথা। কিন্তু জসীমউদ্দীনের সাহিত্যের শনাক্তির জন্য কেন মুসলমান পরিচয় দরকার হয়ে পড়েছিল বা জসীমউদ্দীন মুসলমান লেখক—এই পরিচয় কেন সামনে চলে এসেছিল!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যতই বলুন না কেন, আমার মনে হয় জসীমউদ্দীনের সাহিত্য এবং তাঁর লেখক পরিচয় শনাক্তির জন্য মুসলমানত্ব কোনো বিবেচনার বিষয় হতে পারে না। তিনি পূর্ব বাংলার মুসলমান চাষিদের জীবন নিয়ে লিখেছেন—এ কথা বাইরের দিক থেকে ঠিক আছে। ভৌগোলিক ও সম্প্রদায়গত জনসংখ্যাতত্ত্বের ধারণার দিক থেকেও যথার্থ হয়তো। কিন্তু জসীমউদ্দীনের সাহিত্য যাপন-দর্শনের দিক থেকে পুনর্ভাবনার দাবি রাখে। আসলে তিনি পূর্ব বাংলার সাধারণ অশিক্ষিত মানুষের জীবন নিয়ে লিখেছেন। তাঁর লেখার মধ্যে হিন্দু-মুসলমান সমানে ছিল। ছিল গ্রামীণ জীবন। সেই জীবন তো শুধু হিন্দুর বা মুসলমানের নয়। অন্তত তাঁর লেখাপত্র তা বলে না।
লক্ষ করলে দেখা যাবে, জসীমউদ্দীনের নক্সী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থের পেছনে লেখা আছে ‘দুইটি গ্রাম্য ছেলেমেয়ের ভালবাসার কাহিনী’। তিনি দুটি মুসলমান গ্রাম্য ছেলেমেয়ের ভালোবাসার কাহিনি কথাটি লেখেননি। কারণ, সৃজনশীল জসীমউদ্দীন তাঁর যাপনে, সংস্কৃতিভাবনায় ও সৃজনকর্মে ধর্মের ভিত্তিতে এই ধরনের বিভাজন কখনো বোধ করেননি। তাঁর নির্জ্ঞান মনোজগৎও অন্য ধাতুতে গড়া ছিল—এ কথা বোধ করি অত্যুক্তি নয়।
জসীমউদ্দীনের নায়ক-নায়িকাদের দেখে কি বোঝা যায় তারা হিন্দু না মুসলমান! বাহ্য কিছু লক্ষণে হয়তো বোঝা যায়। কিন্তু তাদের ভাবনা, যাপন, সংস্কৃতি, বিনোদন, উপভোগের ব্যাকরণ দেখে কি বোঝা যায় তারা যবন, না হিন্দু! তাঁর প্রধান দুই কাহিনিকাব্যের নায়ক-নায়িকার নাম (সাজু, রূপা, দুলী, সোজন)। নামের মধ্যকার মধ্যবর্তিতা যে কারও চোখে পড়বে। এসব চরিত্রের সংস্কৃতিও এত মিশ্র যে ধর্মীয় পরিচয়ে তাদের সম্পূর্ণ আলাদা করা যায় না। তাঁর নায়িকা সাজু তো রীতিমতো সিঁদুর পরে। রূপাইর কথাতেই আছে, ‘সিন্দুরখানি পরিও ললাটে মোরে যদি পড়ে মনে,/ রাঙা শাড়ীখানি পরিয়া সজনি চাহিও আরশী-কোণে।’ সাজুর রূপের বর্ণনা লক্ষ করা যাক ‘কচি কচি হাত পা সাজুর, সোনায় সোনার খেলা,/ তুলসী-তলায় প্রদীপ যেন জ্বলছে সাঁঝের বেলা।/ ...দেখেছি এই চাষীর মেয়ের সহজ গেঁয়ো রূপ,/ তুলসী-ফুলের মঞ্জুরী কি দেব-দেউলের ধূপ!/ দু-একখানা গয়না গায়ে, সোনার দেবালয়ে,/ জ্বলছে সোনার পঞ্চ প্রদীপ কার বা পূজা বয়ে!’ এ কোন জসীমউদ্দীন! চেতনার গভীরে প্রকৃতিগতভাবে অভেদ নির্জ্ঞান থাকলেই শুধু এই উচ্চারণ সম্ভব। মাটির কান্না কাব্যগ্রন্থে তিনি পাশাপাশি লিখেছেন, ‘চাষীর মেয়ে’ আর ‘নমুর মেয়ে’ কবিতা। তাঁর নায়কের রূপ ও গুণের গভীরে কৃষ্ণের মিথ এমনভাবে মিশে থাকে যে তাকে নির্জ্ঞান চেতনালোক ছাড়া আর কিছু দিয়েই ব্যাখ্যা করা মুশকিল হবে। ‘কালোয় যে-জন আলো বানায়, ভুলায় সবার মন,/ তারির পদ-রজের লাগি লুটায় বৃন্দাবন।/ সোনা নহে, পিতল নহে, নহে সোনার মুখ,/ কালো-বরণ চাষীর ছেলে জুড়ায় যেন বুক।’ এসব উদাহরণে কারও মনে হতে পারে, হিন্দুর সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে জসীমউদ্দীন অসাম্প্রদায়িক সাজতে চেয়েছেন। যেমনটা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি মুসলমান সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে আমরা প্রায়শই দেখতে পাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জসীমউদ্দীন তেমন ব্যক্তি নন। আবার তাঁর সোজন বাদিয়ার ঘাট কাব্যে ঢোকা যাক। সেখানে পূর্ব বাংলার যাপন-সংস্কৃতির একটি বিশেষ রূপ ধরা পড়েছে, ‘কীর্তনেতে তুলিয়ে বাহু জাগায় কলরোল,/ মসজিদে তার বাজনা গেলে হয় না কোন গোল।/ বরং সেথা মাঝে মাঝে ইহাও দেখা যায়,/ হিঁদুর পূজায় মুসলমানে বয়েত গাহেন গায়।/ সরস্বতী পূজার লাড়ু গড়িয়ে দু-চার জোড়া,/ মুসলমানের ঠোঁট ছুঁয়েছে তাও দেখেছি মোরা।/ ছোঁয়া-ছুঁয়ির এতই যে বাড়, পীরের পড়া জল,/ নমুর পোলার পীড়ার দিনে হয়নি তা বিফল।/ দরগাতলায় করতে প্রণাম ভালের সিঁদুর দিয়ে;/ নমুর মেয়ে লাল করে যায় শুকনো মাটির হিয়ে।’ কবি সাবধান করে দিচ্ছেন যে শিমুলতলী গাঁয়ের লোকেরা এসব কোনো জায়গা থেকে পড়ে শেখেনি। কবি বলছেন, ‘এ-সব তারা শিখল কোথায়? কোরান-পুরাণ পড়ে,/ পায়নি ইহার হদিস তারা বলছি শপথ করে।’ এটা তাদের যাপিত জীবনের মধ্যে যেন অকৃত্রিমভাবেই আছে। ওই একই কাব্যে একই গ্রামে মহররম মাসের অনুষ্ঠানাদির একটি অংশ জারি গান আর লাঠি খেলার বর্ণনা দিচ্ছেন কবি এভাবে, ‘মহররমের মাস আসিল, শিমুরতলীর গাঁয়ের সবে,/ জারির গানে, লাঠি খেলায় মাতলো আবার মহোৎসবে।/ আজকে গাঁয়ে নাইক গরিব, আজকে গাঁয়ে নাইক ধনী,/ কাহার কত বিদ্যা বেসাত আজ তা মোরা কেউ না গণি।/ ...লেংটি পরা ছদন মিঞা ডাকে যখন “হযরত আলী”/ আকাশ ভেঙে গর্জ্জে ঠাডা পাতাল ভেঙে মুরছে বালী।/ গদাই নমু, রাম বেহারা, বিন্দু নাপিত কোথায় আজি!/ সড়কি লাঠি হস্তে লয়ে মালকোছাতে আসুক সাজি।’ এবার দেখেন জীবনকথা বই থেকে ‘চৈত্র-পূজা’ অংশ থেকে, ‘আমাদের বাড়ির পাশের ছোট গাঙের ওপারে শোভারামপুর গ্রামে হিন্দুরা চৈত্র-পূজা করিত। এই পূজা উপলক্ষ করিয়া চৈত্র মাসের পনেরো দিন যাইতেই ভাঙরা নাচের দল লইয়া হিন্দুরা গ্রামে গ্রামে গান গাহিয়া বেড়াইত। তারপর চৈত্রসংক্রান্তির দিন শোভারামপুরের মেলা বা আড়ং বসিত।
...ব্রাহ্মণ, মোল্লা, বেদে-বেদেনি, জেলে-জেলেনি, বৈরাগী-বৈরাগিনী প্রভৃতি পাঠ অবলম্বন করিয়া গ্রাম্য-অভিনেতারা আপন-আপন চরিত্রগুলিকে সমালোচনায় উপহাসের পাত্র করিয়া সমবেত লোকদিগকে হাসাইয়া পাগল করিত।’ এই সংস্কৃতি হিন্দু-মুসলমানের বাইনারি দিয়ে ব্যাখ্যা করার সংস্কৃতি নয়। এটা পূর্ব বাংলার ওই সময়কার, অর্থাৎ বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকের জনসংস্কৃতি। তাহলে রবীন্দ্রনাথ কিসের ভিত্তিতে বলেছেন যে মুসলমান চাষিদের জীবন নিয়ে লেখা বই! পূর্ব বাংলা মানেই কি তবে তখন চাষি আর মুসলমানের এলাকা বোঝানো হতো! কিন্তু জসীমউদ্দীনের টেক্সট তো পুরোপুরি তা বলে না।
ওপরে জসীমউদ্দীনের বিভিন্ন রচনার মধ্যে সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধিহীনতার যে পরিচয় পেলাম, তাতে অনেকের মনে হতে পারে তিনি কি তবে সাম্প্রদায়িকতার কোনোরূপ সমাজে কোথাও দেখেননি! দেখেছেন। আলবত দেখেছেন। সাম্প্রদায়িকতা তিনি কলকাতায় দেখেছেন। সাম্প্রদায়িক কারণে তিনি চাকরি পাননি। কলিকাতা করপোরেশনের মেয়র শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক নির্দেশ দেওয়ার পরও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের ট্রেনিং কেন্দ্রে চাকরি পাননি। জসীমউদ্দীন বলছেন, ‘আজ কাল করিয়া মিস্টার মুখার্জী আমাকে ঘুরাইতে লাগিলেন।’ তিনি খুব বুঝতেন যে ‘১৯৩৭ সালের দিকে, ‘মুসলিম নেতাদের বুলি ছিল হিন্দু ধনি-সমাজের শোষণ হইতে মুসলিম সমাজকে রক্ষা করিতে হইবে। হিন্দু নেতারাও দেশের অর্থনৈতিক সমতা আনিবার জন্য মাথা ঘামাইতেন না। তাঁহারা চাহিতেন দেশ হইতে ইংরেজ শাসনের অবসান, আর হিন্দু সমাজ বংশানুক্রমে যে-সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করিতেছেন তাহার রক্ষণাবেক্ষণ।’ (দ্রষ্টব্য: স্মৃতির পট, পলাশ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা: ১৭-১৮) তিনি কলকাতার সারস্বত সাহিত্যিক সমাজকে সোজন বাদিয়ার ঘাট কাহিনিকাব্য নিয়েও সাম্প্রদায়িক আলাপ করতে শুনেছেন। ওই আলাপে নবনীতা দেবসেনের বাবা নরেন্দ্র দেব, ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন বলে জসীমউদ্দীন তাঁর স্মরণের সরণী বাহি বইয়ে আলোচনা করেছেন (দ্রষ্টব্য: জসীমউদ্দীন স্মৃতিকথাসমগ্র, দে’জ পাবলিশিং, পৃষ্ঠা: ৫৪০-৫৪১)। তিনি সাম্প্রদায়িক মানসিকতা দেখেছেন শান্তিনিকেতনের সভ্যদের মধ্যেও। সেখানে মুসলমানদের পক্ষে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে কথা বলার কারণে শান্তিনিকেতন কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ তাঁকে সেখান থেকে তাঁকে চলে যেতে বলেন। (দ্রষ্টব্য: ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, পলাশ প্রকাশনী, পৃষ্ঠা: ২৭-২৯,) এ রকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যাবে জসীমউদ্দীনের আত্মজীবনীমূলক রচনায়।
সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে জসীমউদ্দীনের গভীর পরিচয় ছিল। তিনি কখনো কখনো আহত এবং আক্রান্তও হয়েছেন। কিন্তু এসব নিয়ে কখনো গা করেননি। কারণ, তিনি যে জীবনের কথা বলেন এবং নির্জ্ঞান চৈতন্যে যে জীবন ও যাপন-সংস্কৃতিকে লালন করেন, সেখানে কখনোই ভেদবুদ্ধি ছিল না। চেতনায় তিনি ছিলেন একজন সমন্বয়বাদী যাপন-সংস্কৃতির মানুষ। এটি তিনি পেয়েছিলেন পূর্ব বাংলার জনজীবন থেকে। এদিক বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, সাহিত্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রশ্নে জসীমউদ্দীনই বাংলাদেশ; বাংলাদেশই জসীমউদ্দীন। পূর্ব বাংলার মানুষের মনের প্রতিরূপই ফুটে উঠেছে জসীমউদ্দীনের সাহিত্যে।