প্রতিভা বসুর স্মৃতির শহর ঢাকা

কোলাজ: মনিরুল ইসলাম
প্রতিভা বসু জীবনের প্রথম কুড়ি বছর ঢাকায় কাটিয়েছেন। তিনি কেবল বুদ্ধদেব বসুর সহধর্মিণী নন, সাহিত্যিক হিসেবে নিজেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাঁর প্রয়াণবার্ষিকীতে জানা যাক প্রতিভা বসুর ঢাকার স্মৃতি।

বুদ্ধদেব বসুর ঢাকা-জীবন ও ঢাকা-প্রেম নিয়ে বিশদ জানা যায় তাঁর নিজের স্মৃতিগদ্যগুচ্ছ এবং সৈয়দ আবুল মকসুদ রচিত ও প্রথমা প্রকাশন প্রকাশিত ‘ঢাকার বুদ্ধদেব বসু’ বই থেকে। আর প্রতিভা বসুর ঢাকার স্মৃতি ছড়ানো-ছিটানো আছে তাঁর অনন্য আত্মকথা ‘জীবনের জলছবি’ এবং নানা গল্প-উপন্যাসের পাতায় পাতায়।
সরযুবালা সোম ও আশুতোষ সোমের কন্যা ঢাকার রানু সোমই উত্তরকালে বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কথাশিল্পী প্রতিভা বসু। তাঁর জন্মগ্রাম তৎকালীন ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগনার হাঁসাড়া গ্রাম, যা এখন বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলায় অন্তর্গত।

প্রতিভা বসু তাঁর গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলা কথাসাহিত্যে বিশেষ স্থান অর্জনের পাশাপাশি আমাদের কাছে বহুল পরিচিত ‘পথে হলো দেরি’, ‘আলো আমার আলো’, ‘বিবাহিতা স্ত্রী’সহ সাড়াজাগানো বেশ কিছু বাংলা চলচ্চিত্রের কাহিনিকার হিসেবে। ছিলেন কবি নজরুলের গুণী সংগীত-শিক্ষার্থী; সাংসারিক জীবনে বুদ্ধদেব বসুর জীবনসঙ্গী শুধু নন, শিল্পসঙ্গীও বটে।

২.
আত্মকথা ‘জীবনের জলছবি’র অনেকটা জুড়ে আছে ঢাকার স্মৃতিময় বর্ণনা। প্রতিভা-বুদ্ধদেবের কনিষ্ঠা কন্যা দময়ন্তী বসু সিং ‘বাবার কথা’য় যথার্থই লিখেছেন:
‘বুদ্ধদেব বসুর জীবনের সঙ্গে অচ্ছেদ্য বন্ধনে যুক্ত ছিল ঢাকা শহর, যেমন ছিল আমার মা ঢাকার বিখ্যাত গায়িকা রানু সোম থেকে কলকাতার বিখ্যাত লেখিকা হয়ে ওঠা প্রতিভা বসুর জীবনও।’ (প্রথম আলো, ২৮ নভেম্বর ২০০৮)।

কৃষি কর্মকর্তা বাবার চাকরিসূত্রে রানু সোমরা থেকেছেন ঢাকার মণিপুর ফার্ম, আজিমপুর, বনগ্রাম, ওয়ারী, টিকাটুলী প্রভৃতি এলাকায়। ঢাকার ইডেন স্কুলের ছাত্রী থাকাকালে হিজ মাস্টার্স ভয়েসে তাঁর গান রেকর্ড হয়। এর মনোলোভা বর্ণনা আছে ‘জীবনের জলছবি’তে, যার মধ্য দিয়ে তখনকার সাংগীতিক পরিবেশের একটি চিত্রও ফুটে ওঠে:

‘রেকর্ড করতে তখন আমাকে কলকাতা আসতে হয়নি। কর্মকর্তারা ঢাকাতে গিয়ে মেশিন ফিট করেছিলেন। টিকাটুলীতে সুসংয়ের রাজার একটি বাড়ি ছিল। সেই বাড়িটিতেই যন্ত্র ফিট করা হয়েছিল, সেখানে গিয়েই গান গেয়েছিলাম আমি। তখন মাইক ছিল না, ধুতুরা ফুলের মতো দেখতে মস্তবড়ো এক চুঙির ভিতর মুখ দিয়ে গান গাইতে হতো। বোধ হয় তিনখানা না চারখানা রেকর্ড করা হয়েছিল। তার মধ্যে অতুলপ্রসাদ সেনের ‘বঁধুয়া নিদ নাহি আঁখি পাতে’ গানটি ছিল। এই রেকর্ডটি বেরুবার পরে আমি কিঞ্চিৎ বিখ্যাত হয়ে গেলাম। নানা জায়গায় নানা কারণে গানের ডাক পড়ত আমার। একবার একটা স্বদেশী সভায় গান গেয়ে সরলা দেবীর নজরে পড়ে গেলাম।

তিনি তখন বীরাষ্টমী ব্রত উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের “মায়ার খেলা” নাটকটি অভিনয় করবার জন্য গানের মেয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। ঢাকার সেই কনফারেন্সে তিনি সভানেত্রী হয়ে এসেছিলেন, উদ্বোধন সঙ্গীত, বন্দেমাতরম গাওয়া—এসব ক্ষেত্রে আমার একচেটিয়া ছিল। সেই গান শুনেই আমাকে সংগ্রহ করলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কলকাতা এলাম।’

ঢাকায় প্রতিভা বসু গান শিখেছেন ওস্তাদ চারু দত্ত, মেহেদী হাসান, ভোলানাথ মহারাজ, গুল মোহাম্মদ খাঁ, প্যারীন্দ্র বসাক প্রমুখের কাছে। বাংলা সংগীত ও সাহিত্যজগতের বিশিষ্টজন দিলীপকুমার রায় ঢাকাভ্রমণে বিখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসুর রমনার বাড়িতে গানের জলসা আয়োজন করলে সেখানে শহরের আরও অনেক বিশিষ্টজনের সঙ্গে আমন্ত্রিত ছিলেন পিতাসহ রানু সোম। হিজ মাস্টার্স ভয়েসে রেকর্ডের সূত্রে রানুর নাম আগেই জানতেন দিলীপকুমার; সেদিনের জলসায় পরিচয়ের পর কিছুকাল ঢাকাবাসে তিনিও রানুর গানের শিক্ষক হন। তাঁর কাছ থেকে শিখেছেন ডি এল রায়, অতুলপ্রসাদ এবং সবচেয়ে বেশি নজরুলের গান।

ঢাকায় ঘরোয়া গানের আসরে নজরুল, সরযুবালা সোম এবং রানু সোম (পরবর্তীকালের প্রতিভা বসু)

সত্যেন বসুর বাড়িতে দিলীপকুমারের কাছে গান শিখতে গিয়েই একদিন দেখলেন বুদ্ধদেব বসুকে—যিনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হিসেবে সুপরিচিত, সবান্ধব থাকেন পুরানা পল্টনে, অজিত দত্তসহ বের করেন হাতে লেখা সাহিত্যপত্র ‘প্রগতি’। যদিও বুদ্ধদেবের সঙ্গে আলাপ তাঁর কলকাতা যাবার মাস দুয়েক আগে; দিলীপকুমার রায় প্রেরিত কিছু পত্রিকা বুদ্ধদেবকে পৌঁছে দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাতে তিনি নিজেই এসেছিলেন রানুদের বাসায়। বুদ্ধদেব সম্পর্কে কৌতূহল অবশ্য আরও আগে থেকেই। তাঁরই ভাষ্যে:

‘একদিন সন্ধ্যাবেলা পুরানা পল্টনের মাঠে বেড়াতে গিয়ে বুদ্ধদেব বসুর আড্ডাখানা এবং বাসস্থান টিনের ঘরটাও দেখে এসেছি, উঁকিঝুঁকিও মেরেছি।’
এ ছাড়া কবিবন্ধু সুফী মোতাহার হোসেনের উৎসাহে বুদ্ধদেবের ‘প্রগতি’ পত্রিকায় প্রতিভা তাঁর কবিতাও পাঠিয়েছিলেন, যদিও তত দিনে সে পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে বলে বুদ্ধদেব পত্রান্তরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।

৩.
বনগ্রাম পাড়ার এক বিষণ্ন বিকেলবেলাকে ঝোড়ো হাওয়ার মতো উড়িয়ে এলেন নজরুল ইসলাম:
‘দরজা খুলে দেখলাম, বাঙালীর তুলনায় একটু বেশিই স্বাস্থ্যবান এবং সুশ্রী এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন দরজায়, এক মুখ হেসে গায়ের গেরুয়া চাদর সামলাতে সামলাতে আমাকে ঠেলেই প্রায় ঢুকে এলেন ঘরে। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, “তুমিই নিশ্চয় রানু? বল ঠিক ধরেছি কিনা? তুমিই মন্টুর ছাত্রী তো?” মন্টু মানে দিলীপদা। দিলীপদার ডাকনাম মন্টু।
. . .
“আমি নজরুল ইসলাম।”’
সে যাত্রায় এক মাস ঢাকায় অবস্থানকালে প্রায় প্রতিদিনই নজরুল আসতেন রানুদের বাড়িতে।

উত্তরকালে আবদুল মান্নান সৈয়দের সঙ্গে নজরুলবিষয়ক এক সাক্ষাৎকারে প্রতিভা বসু বলেছেন:
‘ওঁর তখনকার সমস্ত গান আমাকে উজাড় করে শিখিয়েছিলেন।’ (প্রথম আলো, ১৭ নভেম্বর ২০০৬)।

রানুদের বাড়িতে জন্ম হয়েছে নজরুলের বেশ কিছু কালজয়ী গানের। নজরুল প্রসঙ্গে প্রতিভা বসুর লেখায় আরও এসেছে তাঁর প্রিয় বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেন, বর্ধমান হাউস আর ঠাটারীবাজার মোড়ে নজরুলের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা প্রসঙ্গ।

৪.
প্রতিভা বসুর রচনা থেকে সেকালের ঢাকার যেসব চরিত্রবৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া যায়, সেসবের কয়েকটি তাঁর ভাষ্যেই উল্লেখ করা যাক:

‘ঢাকা সব সময়েই দুটি ব্যাপারে খুব উত্তাল। এক: সঙ্গীত, আর: রাজনীতি’;
‘ঢাকার সবচেয়ে রহস্যময় পুরী মাইলজোড়া দেওয়াল ঘেরা বলধার জমিদার বাড়ি’;
‘ঢাকার সবচেয়ে ভদ্র পাড়া উয়ারী’।

তৎকালীন ঢাকার যে কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনার সবিস্তার উল্লেখে সমৃদ্ধ প্রতিভা বসুর আত্মজীবনী, তার মধ্যে আছে—লীলা নাগের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অন্যতম নায়ক অনন্ত সিংহের ফাঁসি রদ মামলার অর্থ সংগ্রহের জন্য ঢাকার নবাববাড়িতে গানের আসর, বলধার জমিদার নরেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর বাড়িতে বাগানবিলাস, সংগীতচর্চা এবং জমিদারের তরুণ তনয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিবরণ।

ঢাকায় প্রতিভা বসু গান শিখেছেন ওস্তাদ চারু দত্ত, মেহেদী হাসান, ভোলানাথ মহারাজ, গুল মোহাম্মদ খাঁ, প্যারীন্দ্র বসাক প্রমুখের কাছে। বাংলা সংগীত ও সাহিত্যজগতের বিশিষ্টজন দিলীপকুমার রায় ঢাকাভ্রমণে বিখ্যাত বিজ্ঞানী অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসুর রমনার বাড়িতে গানের জলসার আয়োজন করলে সেখানে শহরের আরও অনেক বিশিষ্টজনের সঙ্গে আমন্ত্রিত ছিলেন পিতাসহ রানু সোম। হিজ মাস্টার্স ভয়েসে রেকর্ডের সূত্রে রানুর নাম আগেই জানতেন দিলীপকুমার; সেদিনের জলসায় পরিচয়ের পর কিছুকাল ঢাকাবাসে তিনিও রানুর গানের শিক্ষক হন। তাঁর কাছ থেকে শিখেছেন ডি এল রায়, অতুলপ্রসাদ এবং সবচেয়ে বেশি নজরুলের গান।

ঢাকা সেকালে কতটা বৃক্ষ ও পুষ্পময়ী ছিল, তার উল্লেখের পাশাপাশি লালমোহন সাহার ঠাকুরবাড়িতে ঝুলন উৎসবের রূপছবিময় বর্ণনা ঢাকার সাংস্কৃতিক জীবনের চমৎকার চিত্র ধারণ করে। বিপ্লবমুখর ঢাকার অগ্নিগর্ভ আবহও খুঁজে পাওয়া যায় ‘জীবনের জলছবি’তে। বিনয়-বাদল-দীনেশ বাহিনীর দাঙ্গা-সন্ত্রাসবিরোধী ওয়ারী অভিযানের চাঞ্চল্যকর বর্ণনায় ভাস্বর তাঁর স্মৃতির কলম। পাড়া-মহল্লার মানুষদের সঙ্গে নিয়ে জনাদশেক স্বদেশি বিপ্লবী গেরিলা কায়দায় সাত-আট শ দাঙ্গাবাজ আক্রমণকারী ও ইংরেজ পুলিশ ঠেকানোর রোমহর্ষ যে ইতিবৃত্ত তাঁর লেখায় বর্ণিত হয়েছে, তা যেন গোয়েন্দা কাহিনিকেও হার মানায়।

প্রতিভা বসুর বই ‘জীবনের জলছবি’

ঢাকার নাট্যচর্চার ইতিহাসেরও চকিত দেখা মেলে প্রতিভা বসুর লেখনীতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে বুদ্ধদেব বসুর ‘একটি মেয়ের জন্য’ নাটকের মঞ্চায়নের তথ্য যেমন আমরা পাই, তেমনি বুদ্ধদেবেরই উপন্যাস ‘যেদিন ফুটলো কমল’ অবলম্বনে প্রতিভাদের পারিবারিক উদ্যোগে নাটক মঞ্চায়নের ঐতিহাসিক তথ্যও পাওয়া যায়, যেখানে দীর্ঘদিনের পুরুষশাসিত নাট্যমঞ্চে নারী-পুরুষের মিলিত নাট্য-উদ্যোগ শহরময় যুগপৎ উৎসাহব্যঞ্জক ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

৫.
বুদ্ধদেব বসুর গল্প-উপন্যাস-স্মৃতিকথা পাঠে যেমন ঢাকার রমনা-পল্টনের জন্য দীর্ঘশ্বাস তৈরি হয় পাঠকমনে, তেমনি প্রতিভা বসুর লেখা পড়ে ঢাকার অলিগলি-তস্যগলি-মৈশণ্ডীপাড়া, বকশীবাজার, যুগীনগর, ভোলানন্দগিরি আশ্রম, নারী শিক্ষামন্দির, শাহবাগের ধু ধু প্রান্তর, মুকুল সিনেমা হল, র‌্যাংকিন স্ট্রিট, নবাবপুরের মাংস-পরোটা, গয়লাপট্টির মাঠা-মাখনের গন্ধ ভেসে আসার সমান্তরালে এমন জরুরি তথ্যও উঠে আসে যে ফার্মগেটের ‘ইন্দিরা রোড’-এর নাম তাঁদের প্রতিবেশী দ্বিজদাস দত্তের অকালপ্রয়াত কন্যা ইন্দিরার নামে, যে সড়ককে আমরা অনেকে ইন্দিরা গান্ধীর নামে একটি সড়ক ভেবে ভুল করি।

ঢাকাতেই প্রতিভা বসুর সাহিত্যিক সূত্রপাত। এখান থেকেই সাপ্তাহিক ‘নবশক্তি’তে গল্প এবং ‘ভারতবর্ষ’ ও ‘স্বদেশ’ ইত্যাদি খ্যাতনামা পত্রিকায় কবিতা পাঠিয়েছেন; সেসব লেখাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রতিভা সোম’ নামে। গ্রামোফোন কোম্পানির রেকর্ডের সূত্রে প্রায়ই কলকাতা যাতায়াত করতেন তিনি। বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে বিবাহসূত্রে ১৯৩৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক কলকাতাবাস শুরু প্রতিভা বসুর। কলকাতায় বিয়ের পর অবশ্য বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের জন্য সপরিবার ঢাকায় এসেছিলেন বুদ্ধদেব-প্রতিভা। ১৯৩৯-এ আসামের করিমগঞ্জে বুদ্ধদেব বসুসহ এক সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতে পূর্ববঙ্গে এসে ঢাকায় পিতৃভূমিতে ওঠেন প্রতিভা, আর ১৯৪০-এ ঢাকায় নতুন বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে যাত্রাপথে বুদ্ধদেব-প্রতিভা দম্পতির সঙ্গে দেখা হয় একই অনুষ্ঠানের অতিথি নজরুলের সঙ্গে।

জীবনের প্রথম কুড়ি বছরের ঢাকাবাসের আশ্চর্য সব বসন্তরেণু যেভাবে ছড়িয়ে আছে প্রতিভা বসুর স্মৃতিসরণিতে, তা কালের প্রহারে ঔজ্জ্বল্য হারানোর নয়।

অন্যআলো ডটকমে লেখা পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]