এটি বড় ধরনের মন্দ নজির হলো

বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনওর বাসভবনের সামনে হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ফাইল ছবি

ব্যানার অপসারণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং পরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক, নিন্দনীয়।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তাতে মনে হচ্ছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র কাজটি ঠিক করেননি। রাতের বেলায় ওনার লোক পাঠিয়ে উপজেলা চত্বরে ব্যানার অপসারণ করার কাজ করাও উচিত হয়নি। এই কাজ তো দিনের বেলাতেও করা যেত। এই ঘটনার পর আবার সিটি করপোরেশনের আবর্জনাবাহী ট্রাক দিয়ে রাস্তা বন্ধ করার যে ঘটনা ঘটেছে, তা–ও ঠিক হয়নি।

সবাইকেই আইন অনুসারে চলা উচিত। এখানে যদি প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও কেউ আইনবিরুদ্ধ কাজ করে থাকেন, তাহলেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পাশাপাশি মেয়র যদি আইনবিরুদ্ধ কাজ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর আগে কিন্তু একাধিক মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারসহ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে। বরিশালের ঘটনায় দুটি মামলায় মেয়রকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এখানে যেন অন্যায় করে কেউ ছাড় না পান। আইনানুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

মনে রাখা দরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সরকারকে প্রতিনিধিত্বকারী একজন কর্মকর্তা। সেখানে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় রাতের বেলায় দলীয় লোক পাঠিয়ে হামলা করা বড় ধরনের মন্দ নজির হলো। এতে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেবে এবং অন্য কর্মকর্তারাও দায়িত্ব পালনে শঙ্কায় থাকবেন। তাই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

*আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব