এ দেশেই আমার জন্ম

হ্যাঁ, আমি এই দেশেরই সন্তান। এই দেশেই আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা কিংবা জীবন কাটানো। এই দেশের প্রতি শস্যকণায় আমার অধিকার।
না, এই অধিকারের প্রসঙ্গে এসে আমি ছিটকে পড়ি তোমার কাছ থেকে।
মনে হচ্ছে, এ দেশে আমার অধিকার নেই। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক পরিচয়ের বেড়াজালে আমার প্রতি করুণা করা হচ্ছে। আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না বা থাকা উচিত নয়—এটাই আশৈশব বোঝানো হয়েছে।
১৯৯২ সালে ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ভেঙে দিল আর দেশজুড়ে তাণ্ডব চলল সংখ্যালঘুদের ওপর। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ের নির্মম বলি হলো পূর্ণিমারা।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হলেন সাঈদী আর নির্বিচারে আমার দেবালয় আক্রান্ত হলো।
অতঃপর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর, ভোট প্রদানে তুচ্ছ অজুহাতে আমিই আক্রান্ত হলাম আবারও। কিন্তু কেন?
যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হলে বান কি মুন ও জন কেরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে টেলিফোন করেন। কিন্তু আমার ওপর আঘাত এলে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে উদ্বেগ দেখান না। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা আমার জন্য কাঁদে না।
সুতরাং আমার ভোটাধিকার প্রত্যাহার করে নিলেই আমি ভালো থাকব। প্রতিবার নির্বাচনের পর আমার ওপর হামলা হবে না।
নীলমাধব, বরিশাল।