ঈদুল আজহা উদ্যাপনের প্রাক্কালে গরু কোরবানি নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে নানামুখী রাজনীতি। আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ এর বাইরে নয়। কোনো ধরনের সংঘাত বা অপ্রিয় পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্টের রায় উদ্ধৃত করে এক বিজ্ঞপ্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বলেছে, কেবল সরকারি প্রতিনিধিদের দেওয়া সনদের ভিত্তিতেই পশু কোরবানি করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদেশ অনুযায়ী সনদ ছাড়া কোনো পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ প্রতিটি পশুর ক্ষেত্রে সনদ নিতে হবে। অতীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ ধরনের কোনো সরকারি আদেশ দিয়েছে কি না, তা তাঁদের জানা নেই বলে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) শাসিত কর্ণাটক রাজ্যের পশুসম্পদমন্ত্রী সোজা ভাষায় হুমকি দিয়ে বলেছেন, গরু কোরবানি হলে মামলা করা হবে। আসামে মুসলমান নেতৃত্বাধীন দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) প্রধান মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে ঈদুল আজহায় কোরবানি না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য নিয়ে আসামে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারতে মুসলমান সমাজের সামাজিক এবং ধর্মীয় রীতিনীতি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোন্যাল ল বোর্ড অন্য সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত না দিতে পরামর্শ দিয়েছে। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনো বিশেষ আদেশ দেওয়ার প্রয়োজনই পড়েনি। কারণ, গত কয়েক বছরেই এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে সেখানে গরু কোরবানি করা যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, পৌরসভা বা পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান এবং একজন পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে যুগ্ম সনদ নিয়েই কোরবানি করা যাবে। তাঁদের সনদে জানাতে হবে যে ‘পশুটি ১৪ বছরের বেশি বয়স্ক ও কাজ বা প্রজননের পক্ষে অনুপযুক্ত অথবা পশুটি বয়স, আঘাত বা কোনো দুরারোগ্য অসুখের কারণে বরাবরের মতো কাজ বা প্রজনন-অক্ষম হয়ে পড়েছে।’
কোনো ব্যক্তি ‘১৯৫০ সালের পশ্চিমবঙ্গ পশুবলি নিয়ন্ত্রণ আইন’ লঙ্ঘন করলে তার কারাবাস হবে, যা বেড়ে ছয় মাস পর্যন্তও যেতে পারে। তাকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাও দিতে হতে পারে, এমনটাই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট এবং কোরবানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১৯৫৮ সালের একটি রায়ের ভিত্তিতেই যে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তা–ও বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ উদ্ধৃত করে চার বছর আগে ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জি বলেছিলেন, ঈদুল আজহায় গরু কোরবানি দেওয়ার কোনো ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা নেই। ১৯৫০ সালের পশুবলি নিয়ন্ত্রণ আইনে পৌরসভা বা পঞ্চায়েত সমিতির অনুমতি ছাড়া পশুবলির অনুমতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ২০১৮ সালে বিচারপতি ভট্টাচার্য এবং ব্যানার্জি বলেন, ‘সেই আইনের পরে ৬৮ বছর কেটে গেলেও আইন রক্ষণাবেক্ষণে কোনো পরিকাঠামো তৈরি না হওয়া আশ্চর্যজনক।’
সবচেয়ে বড় কথা, এই আইনে বলা হয়েছে, হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্ম স্থানের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গরু জবাই করা যাবে না। যেহেতু গত কয়েক বছরে আসামে হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, তাই কার্যত দু–একটি বড় বাজার ছাড়া কোথাও গরু জবাই করা সম্ভব নয়।
এর পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গসহ সব রাজ্যেই রাজ্যভিত্তিক ‘পশুবলি নিয়ন্ত্রণ আইন’ তৈরি হয়। যদিও ছাগল বা শূকরের ক্ষেত্রে এই আইন মানার বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
এ ছাড়া কোরবানির বিষয়ে ১৯৫৮ সালের একটি (হানিফ কুরেশী ও অন্যরা বনাম বিহার সরকার) সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার রায়কেও উল্লেখযোগ্য বলে বর্ণনা করা হয়। এই রায়ে একদিকে একটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগ এবং অন্যদিকে অপর সম্প্রদায়ের রুজি-রোজগারের প্রশ্নকে মাথায় রেখে রায় দেওয়া হয়েছিল। এই রায়ে মোগল সম্রাট বাবর থেকে জাহাঙ্গীর পর্যন্ত অনেকের প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সম্রাটরা মুসলমান হলেও হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে গরু কোরবানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। ফলে নিয়ন্ত্রিত আকারে কোরবানির আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই রায়কেও উদ্ধৃত করেছে। অর্থাৎ রাজ্য সরকার একটা মাঝের রাস্তা বিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে বের করার চেষ্টা করেছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসেরই একাংশের বক্তব্য।
এর অবশ্য একটা বড় কারণ, পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলমান। ফলে গরু কোরবানি দেওয়ার ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা মুশকিল। দক্ষিণবঙ্গের এক মুসলমান রাজনৈতিক নেতার কথাতেই বিষয়টি পরিষ্কার। তাঁর জেলা বা তাঁর নাম এখানে ওই ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে দেওয়া হলো না।
বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রভাবশালী ওই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এই বছর তিনটি গরু কিনেছি। আমাদের জেলায় গরু কেনাবেচা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই এবং আমরা নির্ভয়ে ও নিশ্চিন্তে কোরবানির ঈদ পালন করব। এখানে এ ঈদে গরু কাটতে না দিলে প্রবল সংঘাত হবে—এ কথা মাথায় রেখেই এই জেলায় ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়নি। তবে রাজ্য সরকারের ওই বিজ্ঞপ্তি আমি দেখিনি, আমার মনে হয় না এখানে কোনো দলের নেতাই এই বিজ্ঞপ্তি দেখেছেন বা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ বিজেপি এই বিষয়ে তাঁকে কোনো নির্দেশ দেয়নি বলেও তিনি জানান। ‘বরং আমাকে দায়িত্ব দিয়ে কিছুদিন আগে রাজ্যের নবনির্বাচিত বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি চিঠি দিয়েছেন।’
কিন্তু বিজেপিশাসিত রাজ্যে বিষয়টি এ রকম নয়। সেখানে গরু জবাই করলে বিপদে পড়তে হবে বলে মন্ত্রীরা জানিয়েছেন। যেমন এই সপ্তাহেই বিজেপিশাসিত কর্ণাটক রাজ্যের প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রভু চবন বলেছেন, ‘প্রাণিসম্পদ এবং পুলিশ প্রশাসনকে রাজ্যের সীমানার ওপর কড়া নজর রাখতে হবে। যাতে কোনো অবস্থাতেই গোহত্যা নিবারণী আইন কেউ লঙ্ঘন করতে না পারে। কাউকে যদি গরু জবাই করতে দেখা যায়, তাহলে তার নামে তৎক্ষণাৎ মামলা করতে হবে এবং সেসব দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।’ এমনকি জেলার প্রশাসন যদি কর্তব্যে গাফিলতি দেখায় এবং জেলায় গরু জবাই হয়, তাহলেও প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। কর্ণাটকে গরু, ষাঁড়, বলদ, বাছুর, উট এবং ১৩ বছরের অনূর্ধ্ব মহিষকে এই নির্দেশের আওতায় আনা হয়েছে।
আসামের পরিস্থিতি আবার অন্য রকম
প্রথমত আসামে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গত বছরে পাস হওয়া ‘গবাদিপশু সংরক্ষণ আইন’ লঙ্ঘিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই আইনে গ্রেপ্তার হলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তি চট করে জামিন পাবেন না এবং তাঁকে আট বছর পর্যন্ত জেলে থাকতে হতে পারে। তার পাঁচ লাখ রুপি পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এই আইনে বলা হয়েছে, হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্ম স্থানের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গরু জবাই করা যাবে না। যেহেতু গত কয়েক বছরে আসামে হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, তাই কার্যত দু–একটি বড় বাজার ছাড়া কোথাও গরু জবাই করা সম্ভব নয়। বস্তুত গরুর বাজারে গিয়ে তা কিনে বাড়ি ফেরাটাই ঝুঁকিপূর্ণ বলে সেখানকার সাধারণ মানুষ প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, সম্ভবত এসব কারণেই আসামে মুসলমান রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতারা নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে গরু কোনো অবস্থাতেই জবাই করা না হয়। মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃত্বাধীন আসামের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফের প্রধান এবং এমপি মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দিতে বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে বলেছেন, ‘ইসলামে গরু কোরবানি দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তাই এর পরিবর্তে ছাগল বা অন্য জায়েজ পশু দিয়ে কোরবানি করা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যেহেতু হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে গরু পূজনীয় এবং অন্য সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার কথা ইসলামে বলেনি, তাই গরু জবাই না করাই ভালো।
মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল বলেন, ইসলামে অন্যান্য জীবজন্তু এবং পশুপাখির সঙ্গে উত্তম ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে। তাঁর বক্তব্যকে স্বাভাবিকভাবেই স্বাগত জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ধর্মীয় সংস্থা একত্র করার সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
আসামের বিরোধী কংগ্রেস নেতৃত্ব মাওলানা আজমলের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে। কংগ্রেসের কার্যকরী দুই সভাপতি কমলাক্ষ পুরকায়স্থ ও জাকির হোসেন শিকদার এবং এমএলএ ওয়াজেদ আলী চৌধুরী বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে কোরবানি দেওয়া হচ্ছে আর এখন আজমল এর বিরোধিতা শুরু করেছেন। এর কী অর্থ, আমরা বুঝি।’ কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে তাঁর একটা গোপন আঁতাত হয়েছে। বস্তুত আজমলের দলের নেতৃত্বের একাংশই তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন, ঈদের আগে লখিমপুর জেলার বঙালমারার গরুর বাজার থেকে কামরূপের সনতলীর বাজার এখন হাজার হাজার গরুতে ভরে গেছে।
এইউডিএফের কর্মী নাসির হাওলাদার বলেন, ‘এই অবস্থায় গরু বিক্রি এবং কোরবানি বন্ধের আবেদনের অর্থ হলো মুসলমান সম্প্রদায়কে আর্থিকভাবে বিপদে ফেলা।’ এ ছাড়া দাম কম হওয়ার কারণে গরু কোরবানি দিতে আগ্রহী মুসলমান সম্প্রদায়।
শুক্রবার অনেকটা একই বক্তব্য দিয়েছেন মাওলানা আজমলও। তিনি স্থানীয় প্রচারমাধ্যমে বলেন, ‘মূল বিষয় হচ্ছে গরু সস্তা হয়। সাতটি গরিব পরিবার মিলে একটি গরু কোরবানি দিতে পারে। কিন্তু ছাগল বা খাসি কোরবানি দিতে গেলে একাই দিতে হয়। ফলে সস্তা বলে গরুকেই কোরবানির জন্য পছন্দ করা হয়।’
তাঁর রোববারের মন্তব্য রাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে মাওলানা আজমল শুক্রবার বলেন, ‘আমি ভোটের কথা ভেবে বিষয়টার ওপর আলোকপাত করিনি, আমি শুধু মুসলমানদের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলাম যে ইসলামে গরু কোরবানি দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আরও পাঁচ-ছয়টি পশু রয়েছে, যেগুলো কোরবানি দেওয়া যায়। শান্তিরক্ষার স্বার্থে আমি এই আবেদন জানিয়েছি, কোনো ফতোয়া দিইনি। যে জন্তু কোরবানি দিলে অন্য ধর্মের মানুষের মনে আঘাত লাগবে না, এমন পশুই কোরবানি দেওয়া হোক, এটাই চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি নন, যিনি এই কথা বললেন। এর আগে উত্তর প্রদেশের মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দ এই বিষয়ে ফতোয়া দিয়েছে। ‘তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্য ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত না করে কোরবানির পরামর্শ দিয়েছে’, বলেন আজমল।
প্রায় একই সুরে বিবৃতি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক হজরত মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানি। এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি শুক্রবার বলেছেন, ‘ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দেওয়া হয়। অন্য ধর্মেও বিষয়টি আছে, তবে এটাও দেখা দরকার যাতে অন্য ধর্মের ভাইদের ভাবাবেগে আঘাত না লাগে এবং শান্তি বিনষ্ট না হয়।’ পশুর আবর্জনা রাস্তা বা আবাসস্থলের আশপাশে ফেলা উচিত নয়, এ সবই শরিয়াবিরোধী বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শুভজিৎ বাগচী প্রথম আলোর কলকাতা সংবাদদাতা।