গান ডাউনলোড

‘ও পৃথিবী, এবার এসে বাংলাদেশ নাও চিনে...।’ টাইপের গানগুলো শুনলে কী যে ভালো লাগে, তা বোঝানো যাবে না। স্বদেশি শিল্পীরা তাঁদের দেশকে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের গানে গানে। অথচ সে গানের একটু কদরও আমরা করছি না, দিচ্ছি না তাঁদের মূল্য। জনৈক শিল্পী তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী আছেন, যাঁরা চাইলে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, প্রকাশকেরা তৎপর নন। তাঁদের অনীহা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাঁরা শিল্পীদের যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারছেন না...।’
এ বক্তব্যের আলোকে একজন প্রকাশক মন্তব্য করেন, ‘শিল্পীদের সব সময়ই আমরা শ্রদ্ধা করি। তাঁদের নিয়েই তো আমাদের ব্যবসা। তাই তাঁদের শ্রমেরও যথার্থ মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করি। কিন্তু কথা হচ্ছে, আমরা যে লাভের আশায় গানগুলো প্রকাশ করি, সে লাভটাই দূরে থাক, মূলধনটাও খুঁজে পাই না। কারণ, গান প্রকাশের কয়েক মিনিট পরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গানগুলো ইন্টারনেটে দিয়েছেন এবং মিনিট দশেকের মধ্যেই সব গান ডাউনলোড করে নেন সাধারণ মানুষ। সিডিগুলো অবিক্রীত অবস্থাতেই থেকে যায়। এখন আপনারাই বলুন, কীভাবে আমরা ব্যবসাটা করব? বক্তব্য শুনে ভাবি, আসলেই তো! তাঁরা যদি তাঁদের মূলধনটাই খুঁজে না পান, তাহলে নতুন গান প্রকাশে শিল্পী কীভাবে উৎসাহী হবেন? শিল্পীদের মূল্যায়নও কীভাবে করবেন?
তাই আসুন, আমরা ইন্টারনেট থেকে গান ডাউনলোড না করে সিডি কিনি। যাঁরা অনেকে কষ্টের সীমা পেরিয়ে গানগুলো আমাদের উপহার দেন, তাঁদের যথার্থ মূল্যায়ন করি। আর সজাগ-সচেতন হয়ে সরকারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান করি।
মো. সাকিব হাসান
লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।