চরমপন্থী বিতর্ক

সোহরাব হাসান কুষ্টিয়ার রাজনীতি নিয়ে  আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছেন, কুমারখালীর সাবেক সাংসদ গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করে চরমপন্থীরা। এখানে চরমপন্থী শব্দটির ব্যবহার সঠিক নয়। ১৯৭৪ সালে গোলাম কিবরিয়াকে ঈদের জামাত থেকে টেনে বের করে এনে দুই কাতারের মাঝের ফাঁকা জায়গায় ফেলে গুলি করে হত্যা করে জাসদ গণবাহিনীর সদস্যরা। চরমপন্থী বলতে আমরা বুঝি, বিভিন্ন গোপন দলের সশস্ত্র লোকদের, খোকসা-কুমারখালী-শৈলকুপা অঞ্চলে যাদের সশস্ত্র তৎপরতা শুরু হয় আরও পরে। কিন্তু জাসদ তখনো প্রকাশ্য রাজনীতি করত।

ইতিহাসের সত্য হলো, খোকসা-কুমারখালী-শৈলকুপা এলাকাসহ দেশের কিছু স্থানে প্রথম নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের সূচনা করে জাসদ। তাই চরমপন্থীরা নয়, জাসদ ও গণবাহিনী হচ্ছে গোলাম কিবরিয়ার হত্যাকারী।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কুষ্টিয়ায় কেউ খুন হয়নি বলে এর কৃতিত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো চরমপন্থীরা অনেক গ্রুপে বিভক্ত। ফলে কোনো একটি চরমপন্থী গ্রুপের নেতা পুলিশ বা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করলে অন্যরা শুনবে কেন? আর বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলামকে কিন্তু চরমপন্থীরা হত্যা করেনি। তার শাশুড়ি লোক ভাড়া করে তাঁকে হত্যা করিয়েছেন বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এদের একজন একসময় চরমপন্থী দলের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার অর্থ এই যে এটি চরমপন্থীদের কাজ?

হোসেন মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা।