‘চাচা, ঢাকা কত দূর? ওই দেখা যায় সদরঘাট, সামনে নবাবপুর’—দেশীয় সিনেমার এই সংলাপেই বোঝা যায়, নবাবপুর রোডের গুরুত্ব ও তাৎপর্য কতখানি। গুলিস্তানের পাশে অবস্থিত নবাবপুর রোডের দোকানগুলোয় স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে সম্ভবত খুঁজলে প্লেনের পার্টসও পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, যাবতীয় হার্ডওয়্যার-সামগ্রী পাওয়ার নির্ভরযোগ্য স্থান হলো নবাবপুর রোড।
প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয় এখানে। কিন্তু এই রোডে দুপুরের পর পা ফেলা দুষ্কর।
রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক যেন শিকড় গেড়ে থাকে। এর প্রধান কারণ, দোকানের মালিক-শ্রমিক ও ক্রেতাদের অসচেতনতা।
প্রতিটি দোকানের ফুটপাতটুকু যেন দোকানের মালিকের কেনা সম্পত্তি। পার্টস রেখে কর্মচারীরা অধিকাংশ কাজ করেন ফুটপাতে বসে। রাস্তার দুই পাশে পার্ক করা থাকে অজস্র ভ্যান ও মিনি ট্রাক। এসব যানবাহনে মালামাল ওঠানো-নামানোর সময় পথচারীরা আহত হয় মাঝেমধ্যেই।
তার ওপর টং দোকানগুলোর উৎপাত তো রয়েছেই। বিকেল গড়ালেই রাস্তার দুই ধার দিয়ে সবজি, স্যান্ডেল ও গামছার পসরা নিয়ে বসে কিছু মানুষ।
আবাসিক হোটেলগুলোয় চলে অবৈধ ব্যবসা, যার দরুণ বখাটেদের আনাগোনা একটু বেশিই থাকে। সন্ধ্যার আগে-পরে একাকী একটি মেয়ের যাতায়াত নিরাপদ নয়।
সব মিলিয়ে নবাবপুর রোডের পরিবেশ আশপাশের বাসিন্দা ও পথচারীদের জন্য সম্পূর্ণ অনিরাপদ।
তাই এমন একটি বাণিজ্যিক এলাকার সার্বিক পরিবেশ সুষ্ঠু, সুন্দর, নির্বিঘ্ন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের জরুরি ভিত্তিতে সুদৃষ্টি দেওয়া অতীব জরুরি।
অরবিন্দ পান্তি
বাংলা বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।