বাংলা ব্যাকরণ

উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের সিলেবাস পরিবর্তিত হয়েছে। একটি প্রকাশনা সংস্থার বই বিতরণ ও বিজ্ঞাপন–প্রক্রিয়ায়
তা জানতে পারলাম। আগ্রহভরে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরিবর্তনটা দেখলাম। কিছু গঠনমূলক পরিবর্তন হয়েছে। যেমন: নাটক অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে, বাংলা শব্দের উচ্চারণ যুক্ত হয়েছে, অনুবাদ যুক্ত হয়েছে, বাংলা ভাষার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ ইত্যাদির সন্নিবেশ বেশ গঠনমূলক।
কিন্তু দিনলিপি লিখন কিংবা সংলাপ, রচনা ইত্যাদির সন্নিবেশ কী উপকারিতা দেবে বোঝা কঠিন। আবার ই-মেইল, খুদে বার্তা কিংবা আবেদনপত্র—এসব তো মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। এখানে কেন বিকল্প রাখা হলো বোধগম্য নয়।
যেহেতু সিলেবাস পরিবর্তন করা হচ্ছে, কিছু পরামর্শ রাখতে চাই। বাংলা দ্বিতীয় পত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তাতে যুক্ত করা হোক উচ্চারণ, চিঠি িলখন, বানান শুদ্ধীকরণ ইত্যাদি বিষয়। এতে করে ছাত্রছাত্রীরা হাতে-কলমে বাংলা ভাষার কিছু মৌলিক বিষয় শিখতে পারবে।
কেননা, বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের শেখার মানকে যেমন উন্নীত করে, তেমনিভাবে বাংলা বিষয়ে ব্যাকরণের মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক ক্লাস সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এতে বাংলা ভাষাটা সঠিকভাবে শেখা হবে কিংবা বাংলা শেখার যে অবহেলা, তার কিছুটা হলেও অবসান হবে।
সায়র আলমগীর আহমেদ
ঢাকা৷