বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী?

কার্টুন: তুলি
কার্টুন: তুলি

‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’। নড়ব না একচুলও। ১৮ আগস্টের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবংবিধ ঘোষণা সবাইকে হতাশ করেছে। নিরাশ করেছে দলনিরপেক্ষ দেশি-বিদেশি শুভার্থী আর পর্যবেক্ষকদেরও। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দলের তরফ থেকে উষ্মাসূচক বা তীব্র প্রতিবাদ না জানিয়ে সুচিন্তিত মন্তব্য করলেন, ‘তাঁর বক্তব্যে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সংকট নিরসনে উদ্যোগী হওয়া।’
১৯ আগস্ট জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আলোচনা সভায় বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়াও সংযত ভাষায়ই তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর ‘একচুলও নড়ব না’—এই যুদ্ধংদেহী ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা কৌতুকমিশ্রিত সুরে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের বাতাসে চুল কিন্তু উড়ে যাবে, দিশেহারা হয়ে যাবেন। অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, আলোচনা করে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’
বাস্তবিকই, সংকট নিরসনে আলোচনা বা সংলাপভিত্তিক সমঝোতায় পৌঁছতে আওয়ামী লীগের এই তীব্র অনীহা বা জোরালো অনাগ্রহ নৈরাশ্যমূলক হলেও অভাবিত নয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আগের দিনই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিল, সংশোধিত সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী না হলে সংলাপের প্রস্তাব বিবেচনা না করতে। যদি পঞ্চদশ সংশোধনী, যা শুধু আওয়ামী লীগের মর্জিমাফিকই করা হয়েছে, তা মেনে নিলে তো সংলাপ বা আলোচনার কথাই ওঠে না। সর্বদল স্বীকৃত ও পরীক্ষিত নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা একতরফা পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ কিন্তু প্রথম থেকেই সংলাপবিরোধী মনোভাবই দেখিয়ে আসছে। যদিও দলের সাধারণ সম্পাদক দু-তিনবার সংলাপের আমন্ত্রণলিপি পাঠাবেন—এমন সব কথা বলেছিলেন, তা কখনো হয়ে ওঠেনি। এমনকি ফোনে সরাসরি কথা বলেও নয়। মাঝেমধ্যে অবশ্য আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন, তবে সেগুলো ছিল দায়সারা গোছের, কিংবা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের চোখে কিছুটা ধুলো দেওয়ার মতো।
ক্ষমতাসীন দল মর্জিমাফিক সংবিধান পরিবর্তন করে চাইছে, সরকারি কর্মযন্ত্রকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনে, পার্লামেন্ট বহাল রেখে, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের সব ক্ষমতা, দায়িত্ব, প্রটোকল, সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে একটি আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। এই অগ্রহণযোগ্য আজগুবি ব্যবস্থা। বিশেষ করে যখন প্রশাসনযন্ত্র সম্পূর্ণ দলীয়করণকৃত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরাজ করছে চরম অবিশ্বাস, সন্দেহ ও বিদ্বেষ, তা মেনে নিয়ে সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কী করে সম্ভব? সেখানে তো নির্বাচনে অংশগ্রাহীদের মধ্যে সমতল বিচরণক্ষেত্র থাকছে না, নির্বাচন হচ্ছে না স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। শুধু বিরোধী দলগুলো কেন, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণও তো তা প্রত্যাখ্যান করবে। বিশ্বসভায়ও তা হবে অগ্রহণযোগ্য।
আওয়ামী লীগ বলছে, অসাংবিধানিক পথে কোনো নির্বাচন হবে না। আর সাম্প্রতিক ওই একক মর্জিমাফিক সংবিধান সংশোধনের আগে সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা ছিল, বিএনপি এবং সহগামী দলগুলো তো সেটাই চাইছিল। পূর্বেকার বিএনপি আমলেও তো আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের দাবি ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দল পার্লামেন্টে সংবিধান পরিবর্তন করে পরিবর্তিত সংবিধান অনুসারে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছিল। এখনো তো দাবি, সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে পরিবর্তিত বিধানে নির্দলীয় ব্যবস্থায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, যা হবে পরিপূর্ণ সাংবিধানিক।
ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখেই আওয়ামী লীগ বলছে, তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিরোধী দলের কতিপয় সদস্য হয়তো নিতে পারে এবং তাও হতে হবে পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী পরিবর্তিত সংবিধানের আওতার মধ্যে। এটা খামোখা কথা। সরকার তো এতে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না। এ ধরনের ব্যবস্থা যে শুধু বিএনপি নয়, অন্য কোনো মুখ্য বিরোধী দল অর্থাৎ জাতীয় পার্টি বা জামায়াত মেনে নেবে না বলেই তো ঘোষণা দিয়েছে; এমনকি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেছেন, ‘যেখানে প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ করছে না, এমনতর কোনো পাতানো সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমি দালাল বা কোলাবরেটর হতে চাই না।’
তা হলে কি আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্ত, তারা একক নির্বাচনে নেমে (হয়তো বা লোক দেখানো দু-একটি মাশরুম বেতনভুক দলও গজাতে পারে) আজ্ঞাবহ একটি দুর্বল নির্বাচন কমিশনের তদারকিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা দেবে? বর্তমান নির্বাচন কমিশন এতই অথর্ব এবং অকেজো হয়ে পড়েছে যে গণমাধ্যমে তা আজিজ কমিশনের সমতুল্যই ধরা হচ্ছে। তার ওপর জনগণের আস্থা নেই।
এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগ যদি ‘তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’ বাণী অনুসরণ করে, তা হলে তাদের চলার কণ্টকাকীর্ণ পথ দেশ ও জাতিকে নিয়ে যাবে এক তিমিরাচ্ছন্ন ভবিষ্যতে—এক চরম সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে, যা প্রবীণ প্রথিতযশা নিরপেক্ষ সাংবাদিক এবিএম মূসা গৃহযুদ্ধাবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ তো এখন মিসরের পথে এগোচ্ছে। এককভাবে নির্বাচন করে কোনো দল বা ব্যক্তি ক্ষমতা কবজা করলে টিকতে পারবে না। ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হবে।’
দেশের বর্তমান সংকটাবস্থা সম্পর্কে সব নির্দলীয় বিজ্ঞ ও সচেতন নাগরিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। প্রখ্যাত আইনজীবী রফিক-উল হক বলেন, ‘প্রধান দুই দলের অংশগ্রহণেই একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে হবে।... গণতন্ত্রের স্বার্থেই আওয়ামী লীগকে সংলাপে বসতে হবে। আর না বসলে পরিণতি কী হবে সময়ই বলে দেবে।’ সংবিধানপ্রণেতা প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও বিশ্বখ্যাত আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দলীয় স্বার্থে নয়, গণতন্ত্রের স্বার্থে বর্তমান ভোটব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে।’ ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নিলে সে নির্বাচন দেশে-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’ মানবাধিকারনেত্রী সুলতানা কামাল সংলাপভিত্তিক সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন। শুধু বুদ্ধিজীবী বা চিন্তাবিদেরা নন, দেশের আপামর জনসাধারণও এখন সব দলের অংশগ্রহণ-সমন্বিত নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই চাইছে।
এসব সম্যকভাবে অনুধাবন করেই বিএনপি প্রধানমন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের ঘোষণা ও বিবৃতির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বা কঠোর আন্দোলনের হুমকি না দিয়ে অত্যন্ত বিচক্ষণের মতো গণসংযোগ কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। পুরো সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথমাংশ পর্যন্ত খালেদা জিয়া সব বিভাগীয় শহর এবং নরসিংদীতে ছয়টি বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন। ঈদুল আজহার পর হবে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খালেদা জিয়ার জনসভা। এর মধ্যে দলের ও জোটের শরিক দলগুলোর এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর গণসংযোগ ব্যাপকতর করা হবে। বিএনপির ৫৬টি প্রতিনিধিদল ৭৫টি রাজনৈতিক জেলা সফর করবে।
অর্থাৎ বিএনপি এখন নির্বাচনের ইস্যুটিকে সরাসরি জনসমক্ষেই উপস্থাপন করবে এবং এতে যে তুমুল গণসমর্থন পাওয়া যাবে, তা-ই একটি বিরাট গণ-আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে বিএনপি যথার্থভাবেই আত্মপ্রত্যয়ী।
এটা লক্ষ করা যেতে পারে যে, ইদানীং বিএনপি গঠনমূলক ইতিবাচক কথাবার্তা এবং বিবৃতিতে অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছে। ধরেই নেওয়া হচ্ছে, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও দুর্নীতি, পররাষ্ট্র-সম্পর্কিত এবং অর্থনৈতিক-শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতা; শিক্ষাঙ্গন এবং আইনশৃঙ্খলার বিপর্যস্ত অবস্থা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের দাপট ও সন্ত্রাস এতই সর্বজনবিদিত হয়ে পড়েছে যে তা দ্বিরুক্তির প্রয়োজন সম্ভবত আর নেই। তাই জনদৃষ্টি আকর্ষণ বা সমর্থন প্রমাণের জন্য আপাতত কোনো প্রয়োজন নেই গণদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী কোনো কার্যক্রমের—যেমন হরতাল বা অবরোধের।
বস্তুতপক্ষে, আত্মপ্রত্যয়ী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২১ জুলাই জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানের ভাষণেই আগামীর বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ইতিবাচক ছবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নতুন ধারায় পরিচালিত হবে আগামীর বাংলাদেশ। জনগণ যদি বিএনপিকে ক্ষমতা অর্পণ করে, তা হলে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশ চালানোর দায়িত্ব থাকবে পরিচ্ছন্ন, পরীক্ষিত ও যোগ্য ব্যক্তিদেরই ওপর।’ আসলে জনগণ তো এটাই চায়। ২৪ জুলাই লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার-পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করে তারেক রহমান বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অসুস্থ রাজনৈতিক চর্চা থেকে বেরিয়ে কাজ করতে হবে। উদ্দীপনাময়ী অথচ সংযত ভাষায় বিষোদ্গার বা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য পরিহার করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর। এ অগ্রযাত্রার গতি হবে দ্রুত। লক্ষ্য হবে সুনির্দিষ্ট। অতীতমুখী না হয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করে বরণ করে নিতে হবে আধুনিকতা ও অভিনবত্বে।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া খালেদা জিয়ার ভাষণেও ছিল ওই সুরের প্রাধান্য। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগামীবার ক্ষমতায় গেলে নতুন ধারার রাজনীতি চালু করব। বিভক্তি ও অনৈক্যের পরিবর্তে ঐক্যের রাজনীতি করব। আওয়ামী লীগসহ সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করব। কেবল তা-ই নয়, সরকারও হবে নতুন ধারার।’ তিনি বলেন, ‘অতীতে আমাদেরও কিছু ভুল ছিল। আগামীবার ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত করে মেধাভিত্তিক প্রশাসন গড়ে তুলব।’
বিদেশিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায়ও খালেদা জিয়া বরাবর বলতে চেয়েছেন যে সাধারণ নির্বাচনের একটি গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা নির্ধারণ সংলাপের মধ্যেই সম্ভব। তিনি সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে তাঁর জোরালো সমর্থনের কথাও প্রকাশ করেন। এ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের প্রতি বন্ধু মনোভাবাপন্ন সব দেশ ও সংস্থা একবাক্যে সংলাপভিত্তিক একটি সমঝোতার মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান চায়, যেখানে বিরোধী দলের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা থাকবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের এখন করণীয় হবে স্থিরচিত্তে দেশ ও জাতির স্বার্থের অগ্রাধিকার দিয়ে সুবিবেচনাপ্রসূত কার্যক্রম গ্রহণ করা। বাংলাদেশের সর্বজ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণতম এই রাজনৈতিক দলের কাছে এটা বাংলাদেশের জনগণের দাবি। একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাকে যত শিগগির সম্ভব পরিহার করা যায়, ততই মঙ্গল। নির্দলীয় নির্বাচনী প্রশাসন তো আওয়ামী লীগেরই আন্দোলনপ্রসূত একটি ব্যবস্থা, যা পরিশেষে সর্বদল-সমর্থিত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকার ছাড়া একক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা যে একটি দুঃখজনক রক্তক্ষয়ী সাংঘর্ষিক অবস্থার জন্ম দেবে, সে সম্পর্কে তো কোনো সন্দেহ নেই। তা হলে আওয়ামী লীগ সেই পথে কেন হাঁটবে?
ইনাম আহমদ চৌধুরী: উপদেষ্টা, বিএনপির চেয়ারপারসন।