বেতনের মূল অংশ

আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চালু করা এসএসসি ভোকেশনাল শাখায় কর্মরত এমপিওভুক্ত টেকনিক্যাল শপ-ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট৷ সরকারপ্রদত্ত বেতন–ভাতাদি নিয়মিত পেয়ে আসছি৷ ২০০৯ সালে সরকার প্রদেয় পে-স্কেলে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বেতনকাঠামোতে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা বর্ধিত হবে৷ যদি কারও দুই হাজার টাকার কম বর্ধিত হয়, তবে তা পূরণ করে দেওয়া হবে৷
আমাদের ক্ষেত্রেও বর্ধিত অংশের টাকা পূরণ করে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ শাখায় কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বর্ধিত অংশের টাকা এমপিও শিটে বেসিক বা মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে৷
অপরদিকে ভোকেশনাল শাখার এমপিও শিটে বর্ধিত অংশের টাকা বেসিকের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে মোটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে৷ যে কারণে উভয় শাখার এমপিও শিটে তারতম্য দেখা দিয়েছে৷
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যা ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছি এবং বিষয়টি সংশোধন জরুরি বলে মনে করছি৷
এমপিও শিট সংশোধন করে দিলে আমরা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যা ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মোকাবিলা হতে মুক্ত হতে পারি এবং সুস্থ মানসিকতায় ও সুন্দর পরিবেশে আমাদের কর্মক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে পারি৷
উল্লেখ্য, ওই বিষয়টি সংশোধন করার ক্ষেত্রে সরকারের অতিরিক্ত কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না, কেবল সদিচ্ছাই যথেষ্ট৷
অতএব, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এমপিও শিটে বর্ধিত অংশের টাকা বেসিক বা মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়ে এমপিও শিট সংশোধনের মাধ্যমে আমাদের কর্মক্ষেত্রে একটি সুন্দর ও পারস্পরিক আস্থার পরিবেশে যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারি, সে সুযোগ দেওয়া হোক৷ এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের প্রত্যাশা৷ এতে বৈষম্য দূর হবে৷
মো. রবিউল কামাল
শপ-ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, গোলাম নবী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, কালিয়াকৈর, গাজীপুর৷