
প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ৩০ অক্টোবর বিকেল চারটায় পরামর্শ সহায়তা-৪৩-এর আসরটি অনুষ্ঠিত হয় ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে। এ আয়োজনে মাদকাসক্ত রোগীরা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরোগ চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য তাঁদেরবিভিন্ন পরামর্শ দেন। সঞ্চালনা করেন আজিজা আহমেদ। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো
অনুষ্ঠানের শুরুতে মোহিত কামাল সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ৪৩তম অনুষ্ঠান। আমরা মনে করি, আপনারা কমবেশি সেবা পাচ্ছেন। আর এ জন্যই দীর্ঘ সময় ধরে অনুষ্ঠান করতে পারছি। অনেকে আছেন, যাঁরা নিয়মিত আসেন। এটি আমাদের উৎসাহী করে। আবার অনেকে নিরাশও হন। তাঁরা মনে করেন, চিকিৎসা করালেও ভালো হয় না। কিন্তু এখানে এলে বুঝতে পারবেন, মাদকাসক্তি একটা রোগ। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাদকাসক্ত রোগী চিকিৎসার পর ভালো হন। কিন্তু নিয়মনীতি না মেনে চললে যে কেউ আবার মাদকাসক্ত হতে পারেন। দেশের প্রায় সর্বত্র মাদকের ফাঁদ রয়েছে। এ থেকে বাঁচার উপায় বের করতে হবে। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনেকেই মাদক চিকিৎসার পর ভালো থাকেন। হঠাৎ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মিশে মাদক নেন। মাদকাসক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এটা কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। পুরোনো বন্ধুবান্ধব ও খারাপ পরিবেশ থেকে অবশ্যই তাঁদের দূরে রাখতে হবে। সর্বোপরি, ধৈর্য ধরে তাঁদের পাশে থাকতে হবে।’
প্রশ্ন: আমার স্বামী কয়েক বছর ধরে মাদকাসক্ত। সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি নিরাময়কেন্দ্র থেকে বের হয়েই খারাপ ব্যবহার করে এবং মাদক নেয়। তার জন্য কী করতে পারি?
উত্তর: যত দ্রুত সম্ভব আপনার স্বামীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আনতে হবে। মাদক চিকিৎসার কতগুলো নিয়ম-পদ্ধতি আছে। এগুলো মেনে না চললে যে কেউ যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারেন। প্রত্যেকের জন্য মাদকের চিকিৎসা পৃথক। আপনার স্বামীর হয়তো কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার দরকার ছিল। তিনি চিকিৎসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চলে এসেছেন। তা ছাড়া তাঁর নিজের ওপর কোনো আত্মনিয়ন্ত্রণ ছিল না। আগে নিজ থেকে ভালো হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হয়। তিনি হয়তো শুরুতেই ধরে নিয়েছেন, চিকিৎসায় কিছু হবে না। তাই চিকিৎসার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও মনোযোগ ছিল না। তা ছাড়া চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় চিকিৎসক কিছু পরামর্শ দেন, কিছু ওষুধ দেন, নিয়মনীতি মেনে চলার কথা বলেন—এগুলো ঠিকমতো মেনে না চললে তিনি আবার মাদকসক্ত হবেন। এখন আপনার স্বামীকে বুঝিয়ে কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।
প্রশ্ন: আমার সন্তান চার থেকে পাঁচ বছর ধরে মাদকাসক্ত। তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সন্তান আছে। কিন্তু মাদকের নেশা থেকে কোনোভাবেই বের হতে পারছে না। তার জন্য কী করতে পারি?
উত্তর: অনেকে মনে করেন মাদকাসক্ত রোগীকে বিয়ে দিলে ভালো হবেন। মাদকাসক্ত রোগীর বিয়ের ধারণা সঠিক নয়। তাঁকে ভালো করার জন্য বিয়ে কোনো সমাধান নয়। এ ধরনের রোগীদের বিয়ে দিলে তাঁর নিজের ও স্ত্রীর—দুজনেরই ক্ষতি হয়। একজন নারীর জীবনটাই শুরু হয় একজন মাদকাসক্ত স্বামীর সঙ্গে। জীবনের আনন্দঘন দিনগুলো অন্ধকার হয়ে আসে তাঁর। অন্যদিকে, মাদকাসক্ত স্বামী তাঁর নিজের, স্ত্রীর ও পরিবারের কারও জন্য কোনো দায়দায়িত্ব অনুভব করেন না। ফলে তাঁরা আরও বিপদের মধ্যে পড়েন। এ অবস্থায় চারদিক থেকে সংকট ঘনীভূত হতে থাকে। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের প্রতি চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়। মাদকাসক্ত রোগীদের আগে চিকিৎসা, পরে বিয়ে। বিয়ে দিলেই মাদকাসক্ত রোগীরা ভালো হন, ধারণাটা ভুল। একজন অসুস্থ মানুষ তাঁর জীবনের সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারেন না। আপনার সন্তান চার থেকে পাঁচ বছর ধরে মাদকাসক্ত। এখন তিনি সম্পূর্ণ মাদকের ওপর নির্ভরশীল। তাঁকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। পূর্ণ চিকিৎসা দিতে হবে। চিকিৎসার পর দুই থেকে তিন বছর নিয়ম মেনে চলতে হবে।
প্রশ্ন: আমার ছেলে দুই বছর ধরে মাদকাসক্ত। সকালে বের হয়ে রাতে বাসায় ফেরে। মাদকাসক্তের বিষয়টি আমরা অনেক পরে জানতে পেরেছি। তাকে মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে (রিহ্যাব) দিয়েছি। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা হয় না। ঠিকমতো ওষুধ ও খাবার দেওয়া হয় না। রিহ্যাব সম্পর্কে সন্তানের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
উত্তর: অনেক চিকিৎসাকেন্দ্র সম্পর্কে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। এর হয়তো অনেকটা ঠিক। আবার হয়তো ঠিকও না। কোনো মাদকাসক্ত রোগীকে ভর্তি করানোর আগে নিরাময়কেন্দ্র সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে। সব নিরাময়কেন্দ্র ভালো, সেটি বলা মুশকিল। সব অভিযোগও সত্য নয়। একটি কথা মনে রাখতে হবে, মাদকাসক্ত রোগীরা নিরাময়কেন্দ্রে থাকতে চান না। ফলে তাঁরা বিভিন্ন প্রকার অভিযোগ অভিভাবকের কাছে করতে থাকেন। আপনাদের নিরাময়কেন্দ্র সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া দরকার ছিল। তা না করে আপনি সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ তাঁর চিকিৎসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিয়ে এসেছেন। এটা ঠিক হয়নি। কারও চিকিৎসা অপূর্ণ থাকলে তিনি ভালো হবে না। এখন তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চিকিৎসক পরামর্শ দিলে খোঁজখবর নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসেন।
প্রশ্ন: আমার সন্তান কোনো কাজ মনোযোগের সঙ্গে করে না। কিছুদিন একটি কাজ করার পর বন্ধ করে দেয়। তাকে দুবার বিদেশে পাঠানো হয়েছে। সেখানে সে মাদক নিয়েছে। দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেছে। কিছুদিন যেতে না যেতেই মাদক নিয়েছে। তার দুটি সন্তান আছে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেছি। ভালো হচ্ছে না। এখন কী করণীয়?
উত্তর: আপনার ছেলের বিশেষ একধরনের বৈশিষ্ট্য আছে। সেটা হলো, কোনো কাজেই তিনি স্থির থাকেননি। কিছু মানুষের মানসিক সমস্যা থাকে। তাঁরা কখনো স্থির হতে পারেন না। সব সময় একধরনের অস্থিরতা কাজ করে। আপনার সন্তানের মানসিক সমস্যা আছে কি না, জানি না। তবে তাঁর আচরণে মনে হয়েছে মানসিক সমস্য আছে। যদি এটা থাকে, তাহলে আগে তাঁকে মানসিক রোগের চিকিৎসা করতে হবে। এটা না করে মাদকের চিকিৎসা করলে তিনি ভালো হবেন না। এখন তাঁকে মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। তিনি পরীক্ষা করে দেখবেন, তাঁর মানসিক রোগ আছে কি না। থাকলে চিকিৎসা করতে হবে। অথবা মানসিক রোগ ও মাদকের চিকিৎসা পাশাপাশি করা যেতে পারে। কেবল চিকিৎসা করালেই হবে না, চিকিৎসার পর দুই থেকে তিন বছর চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসাই শেষ কথা নয়। নিরাময়কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন না করতে পারলে আবার তিনি মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
প্রশ্ন: আমি আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী। এখন সে তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে এসেছে। এখন প্রচুর ইয়াবা খাচ্ছে সে। তাকে কীভাবে ভালো করতে পারি?
উত্তর: বিভিন্ন কারণে মানুষ ইয়াবা নেন। যেমন কৌতূহল, বন্ধুদের চাপ, মানসিক চাপ ইত্যাদি। ইয়াবা সহজে বহনযোগ্য ও লুকিয়ে রাখা যায়। ইয়াবা সেবনের এটিও একটি কারণ হতে পারে। ইয়াবা সম্পর্কে কিছু মানুষের অত্যন্ত ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন, এটা খেলে স্লিম হওয়া যায়। শারীরিক শক্তি বাড়ে। কাজে আনন্দ পাওয়া যায় ইত্যাদি। এসব ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ইয়াবা খেলে মানুষ স্লিম হয় না। মাংসপেশি ক্ষয় হতে থাকে। এ জন্য ধীরে ধীরে শরীর ও মস্তিষ্ক শুকিয়ে যায়। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ইয়াবাসেবী ব্যক্তি মনে করেন তিনি স্লিম (হালকা-পাতলা) হচ্ছেন। স্লিম তো হচ্ছেনই না, বরং ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছেন। ইয়াবা খেলে প্রচণ্ড বিষণ্নতা তৈরি হয়। একসময় মানসিক বৈকল্য দেখা দেয়। মেজাজ খিটখিটে হয়। ধীরে ধীরে যৌনশক্তি হারিয়ে ফেলেন। কোনো কাজের আগ্রহ ও শক্তি থাকে না। ইয়াবা ধোঁয়ার মাধ্যমে প্রথমে ফুসফুস হয়ে ব্লাড এবং ব্লাড থেকে মস্তিষ্কে যায়। এর জন্য মস্তিষ্ক থেকে একধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটায়। ফলে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারণে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। শরীর দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়। আর দশটি অসুখের মতো এটিও একটি রোগ। আপনি পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে দ্রুত কোনো চিকিৎসকের সাহায্য নিন। অথবা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে আসতে পারেন। এখানে বহির্বিভাগ থেকে মাত্র ১০ টাকার টিকিট নিলে তাঁর শরীরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা করালে দ্রুত সেরে উঠবেন তিনি।
প্রশ্ন: আমার সন্তান মাদকাসক্ত। ওর বাবা কেবল আমার দোষ দেয়। সে কোনো দায়িত্ব নিতে চায় না। লজ্জাভয়ে সন্তানকে লুকিয়ে রাখি। তাকে কোনো অনুষ্ঠানে নিই না। আত্মীয়স্বজনকে বলি না। এটা আমাদের জন্য সঠিক না ভুল?
উত্তর: আজ আপনি যে কষ্ট পাচ্ছেন, সেটা এই সমাজব্যবস্থার ফল। মাদকাসক্ত রোগীর জন্য মা বা স্ত্রী—এ দুজনই কাজ করেন। অন্যদের খুব একটা পাওয়া যায় না। স্ত্রীও অনেক সময় থাকেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাকেই সব করতে হয়। আপনার মতো দেশের অনেক মা-ই এই কষ্ট পাচ্ছেন। আপনি লজ্জায় কাউকে বলছেন না, কোনো অনুষ্ঠানে তাঁকে নেন না—এটা নিজেই নিজের ক্ষতি করছেন। মাদককে আলাদাভাবে দেখার দরকার নেই। আর দশটা রোগের মতো মাদকাসক্তি একটা রোগ। অন্য অসুখ হলে আমরা গোপন করি না। মাদকাসক্ত রোগীকেও গোপন করব না। সবাইকে বুঝতে হবে, মাদক গ্রহণকারী অপরাধী নন, তিনি একটা অপরাধের শিকার। গোপন না রেখে সবার সঙ্গে খোলামেলা হন। মাদকাসক্তি একটি রোগ মনে করে কথা বলুন। আপনি স্বামী ও সন্তান নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। স্বামীর চিন্তাভাবনার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তাঁকে বোঝাতে চেষ্টা করেন। সবচেয়ে ভালো হয়, এ ধরনের পরামর্শ সভায় আনতে পারলে। আমরা দেখেছি, আমাদের পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানে যাঁরা আসেন, তাঁদের অনেক ভুল ভেঙে যায়। সবাই সত্যটা জানতে পারেন। বাসায় ফিরে সঠিক কাজ করতে থাকেন।
কয়েকজন মাদকমুক্ত তরুণের কথা
আমরা একসময় মাদক নিতাম। আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সব সময় খারাপ থাকত। কারও কাছে স্নেহ-ভালোবাসা পেতাম না। সবাই ঘৃণা করত। সন্দেহের চোখে দেখত। টাকার জন্য অনেক রকমের খারাপ কাজ করতে হতো। কোথাও সামান্যতম সম্মান-ভালোবাসা পেতাম না। এ রকম করতে করতে একসময় মনে হলো, এটা কোনো জীবন নয়। এ জীবন মানুষের নয়। আমরা যদি এভাবে মাদক নিতে থাকি, তাহলে মারাও যেতে পারি। কারণ, শরীরে কোনো শক্তি পেতাম না। শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। আমরা মাদক ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। মানুষ ইচ্ছা করলে সবকিছু পারে। আমরা কখনো তীব্রভাবে মাদক ছাড়তে চাইনি। তাই ছাড়তে পারিনি। যখন মাদক ছাড়তে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন ঠিকই ছাড়তে পেরেছি। এখন আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, মাদক ছাড়ার জন্য একজন মানুষের ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।
কোথায় যাবেন
অনেকেই আমাদের কাছে মাদকের চিকিৎসা কোথায় করবেন, জানতে চান। চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, (শ্যামলী শিশু মেলার পাশে), শেরেবাংলা নগর ঢাকা। কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র, ৪৪১ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, মানসিক রোগ বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল—এসব জায়গায় আপনারা যেতে পারেন।
গ্রন্থনা: আশফাকুজ্জামান