যে রাজনৈতিক বিরোধ থেকে ‘এক-এগারো’ 

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হচ্ছে নির্বাচন। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়। গ্রহণযোগ্য না হলে সেই ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই নির্বাচন শুধু আইনি বা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয় নয়, এর সঙ্গে ক্ষমতার বৈধতা, গণতন্ত্র, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত—এ সবকিছুই জড়িত। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে সাতবার সামরিক শাসনসহ দলীয় সরকার ও চারবার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনের প্রেক্ষাপট, নির্বাচনের ফলাফল এবং রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে এর প্রভাব নিয়ে পাঁচ পর্বের লেখার আজ চতুর্থ পর্ব

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার তার মেয়াদ পূর্ণ করে এবং ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০০১: অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৫৪টি দল অংশ নিয়েছিল। মোট প্রার্থী ছিল ১ হাজার ৯৩৯ জন।

এ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট দুই–তৃতীয়াংশের বেশি, অর্থাৎ ২১৬টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। এর মধ্যে বিএনপি ১৯৩টি, জামায়াতে ইসলামী ১৭টি, জাতীয় পার্টি (নাজিউর) ৪টি এবং ইসলামী ঐক্যজোট ২টি আসন পায়।

অপরদিকে ৬২টি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দল হয়। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ১৪টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ১টি করে এবং স্বতন্ত্ররা ৬টি আসন লাভ করে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এ নির্বাচনের ফলাফলকে আওয়ামী লীগ ‘নীলনকশা’র নির্বাচন বা ‘স্থূল কারচুপি’ হিসেবে অভিহিত করে। দলটির পক্ষ থেকে প্রশাসনে রদবদল ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তসহ পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দায়ী করা হয়। তবে অন্যান্য দল, গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকেরা এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলেছিল।

এ নির্বাচন নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান ইলেকশনস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ বইয়ে লিখেছেন, ‘প্রায় সব বিবেচনায় অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি কার্যকর নির্বাচনপ্রক্রিয়া থেকে সব বাধা দূর করার চেষ্টা করেছিল।…’

২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। এই মন্ত্রিসভায় চারদলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতাও ছিলেন। এ ঘটনা অনেকের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। কারণ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামী ব্যাপকভাবে সমালোচিত একটি দল।

আরও পড়ুন

‘এক–এগারো’র পরিবর্তন

বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০৬) এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যার রাজনৈতিক অভিঘাত ছিল সুদূরপ্রাসারী। এর মধ্যে ২০০৪ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার, একই বছরের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা এবং ২০০৫ সালে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির উত্থান ছিল বহুল আলোচিত বিষয়। এসব ঘটনার মধ্যেই ২০০৪ সালের ১৬ মে সংসদে চতুর্দশ সংশোধনী পাস হয়।

চতুর্দশ সংশোধনীর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করা। এ পরিবর্তনের ফলে সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানের পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। বিরোধীদের আপত্তির মুখে কে এম হাসান দায়িত্ব না নেওয়ার কথা জানালে বিকল্প অনুসন্ধান না করেই রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই প্রধান উপদেষ্টা হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের কর্মকাণ্ডে বিএনপির প্রতি তাঁর দলীয় আনুগত্যের প্রকাশ ছিল স্পষ্ট।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা করার বিরোধী জোটের দাবি আমলে না নিয়েই ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রাথমিকভাবে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছিল।

কিন্তু তাদের বেশ কয়েকজন নেতার মনোনয়নপত্র প্রশ্নবিদ্ধভাবে বাতিল করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে, এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। দেশ একটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোতে থাকে।

অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো লাগাতার হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়। এ রকম এক সংঘাতময় অবস্থায় ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ১২ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমদ নতুন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন এবং ‘সেনা-সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।

আরও পড়ুন

‘সেনা-সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতায় আসা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অবস্থান ছিল ভিন্ন। এ ব্যাপারে মহিউদ্দিন আহমদ তাঁর এক–এগারো: বাংলাদেশ ২০০৭–২০০৮ বইয়ে লিখেছেন, ‘যে ভুলের সূত্র ধরে ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগ তৈরি হয়, বিএনপি সেটাকে ভুল হিসেবে বুঝতেই পারেনি। বিএনপি শুরু থেকেই ফখরুদ্দীন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে শেখ হাসিনা এই সরকারকে তাঁদের ‘‘আন্দোলনের ফসল’’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে দেন।...’

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ‘সেনা-সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর পূর্বনির্ধারিত ২২ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। একতরফা নির্বাচন স্থগিত এবং জরুরি অবস্থার কারণে হরতাল–অবরোধের মতো কর্মসূচি বন্ধ হওয়ায় জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিছুদিনের মধ্যেই ‘দুর্নীতিবিরোধী’ অভিযান শুরু হয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়। অনেকেই গ্রেপ্তার হন, কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও।

‘সেনা–সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ‘সংস্কার’, ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ ইত্যাদি ছিল বহুল আলোচিত বিষয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংস্কারপন্থীদের উদ্যোগ কিংবা নতুন দল গঠনের প্রচেষ্টা—কোনোটাই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। ফলে শুরুতে নানা রকম জল্পনাকল্পনা থাকলেও ২০০৭ সালের শেষ দিক থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে থাকে।

২০০৮: নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন

নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং ছবিযুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি হওয়ার পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। মোট প্রার্থী ছিল ১ হাজার ৫৬৭ জন।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ভূমিধস বিজয় পায়। আওয়ামী লীগ একাই দুই–তৃতীয়াংশের বেশি আসন অর্থাৎ ২৩০টি আসন পায়। মহাজোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি ২৭, জাসদ ৩টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ২টি আসন পায়। অপরদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট মাত্র ৩৩টি আসনে জিততে পেরেছিল। এর মধ্যে বিএনপি ৩০টি, জামায়াতে ইসলামী ২টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ১টি আসন পেয়েছিল। এ ছাড়া ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৮৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। 

এ নির্বাচনের ফলাফলে শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেন। দেশি–বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমগুলোও নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। অপরদিকে খালেদা জিয়া এ নির্বাচনকে সাজানো নাটক ও কারচুপির নির্বাচন বলে প্রত্যাখ্যান করেন।

‘এক–এগারো’র আগে ও পরের ঘটনাপ্রবাহ থেকে স্পষ্ট যে দেশের প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের রাজনৈতিক বিরোধ মেটাতে না পারায় ‘তৃতীয় শক্তি’ হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পেয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর অনেকেই আশা প্রকাশ করেছিলেন, নির্বাচন ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে দল দুটির মধ্যে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি।

আরও পড়ুন

নির্বাচনী রাজনীতির কিছু প্রবণতা

১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোট পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন ছাড়া বাকি চারটি নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে। এ নির্বাচনগুলোর ফলাফল ও বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রবণতা লক্ষ করা যায়।

প্রথমত, বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতির প্রধান দুই অংশীদার হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনে এ দল দুটিই পালাক্রমে ক্ষমতায় এসেছে। তবে কখনোই পরপর দুবার ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এই দৃষ্টান্ত থেকে বলা যায়, নির্বাচনী রাজনীতিতে ‘অ্যান্টি-ইনকামবেন্সি’ বা ‘ক্ষমতাসীনবিরোধী ভোট’ একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে।

দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—এ দুটি দলেরই একটি নির্দিষ্ট ‘ভোটব্যাংক’ আছে। আসনসংখ্যা যা–ই হোক, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনে এ দল দুটি পৃথকভাবে মোট প্রদত্ত ভোটের কমপক্ষে ৩০ ভাগ পেয়েছে। এ থেকে এটা আরও স্পষ্ট যে নির্বাচনী রাজনীতিতে এ দল দুটিই পরস্পরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

তৃতীয়ত, এ দল দুটি যখনই সংসদে দুই–তৃতীয়াংশের বেশি আসন লাভ করেছে, তারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে। ২০০৪ সালে বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসর নেওয়ার বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ বছর করেছিল। এ পরিবর্তনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, তা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছিল। অপরদিকে ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এর ফলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান ফিরে আসে।

সূত্র

১. মো. আব্দুল মান্নান, ইলেকশনস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ, একাডেমিক প্রেস অ্যান্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি

২. মহিউদ্দিন আহমদ, এক–এগারো: বাংলাদেশ ২০০৭–২০০৮, প্রথমা

৩. মহিউদ্দিন আহমদ, বিএনপি: সময়–অসময়, প্রথমা

৪. নেসার আমিন সম্পাদিত বাংলাদেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ও ফলাফল, ঐতিহ্য