স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ সরকারকে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে পারে

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্য অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করতে বেশি দেখা যায়। স্বাস্থ্য খাতের বিনিয়োগ থেকে সরকারের রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার একটি কৌশল হতে পারে স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে নিছক খরচ না ভেবে উন্নয়নের কৌশলগত বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা। এ ক্ষেত্রে করণীয় নিয়ে লিখেছেন সৈয়দ আব্দুল হামিদ

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকার জনগণের কল্যাণের পাশাপাশি রাজনৈতিক লাভক্ষতির বিষয়টিও বিবেচনায় রাখে। জনকল্যাণ ও রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া—দুটির মধ্যে সরকারের কাছে কোনটি বেশি গুরুত্ব পায়, তা নির্ভর করে দেশের জনগণের পছন্দ বা খুশির ওপর। অবকাঠামো সহজে দৃষ্টিগোচর হওয়ায় উন্নয়নশীল বিশ্বের জনগণের মতো আমরাও অবকাঠামো দেখে খুশি হই এবং বাহবা দিই। 

উন্নত বিশ্বের জনগণের খুশি নির্ভর করে সরকারের কোনো বিনিয়োগ বা অবকাঠামো তাদের জন্য কী সুবিধা আনতে পারে, তার ওপর। তাই উন্নত বিশ্বের সরকারের কর্মকাণ্ডে জনকল্যাণই বেশি স্থান পায়। আর আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্য অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করতে বেশি দেখা যায়। তাই শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই রক্ষণশীল আচরণ লক্ষ্য করা যায়। এ জন্য সরকারি বরাদ্দে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতের প্রাপ্তি প্রয়োজনের তুলনায় বরাবরই বেশ কম। 

আবার বরাদ্দ সংশোধনের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যায়। বরাবরের মতো, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের ক্ষেত্রেও এবারও একই আচরণ লক্ষ করা যাচ্ছে। সংশোধিত এডিপির আকার যে ১৮ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতেই কমছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। 

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে যে বিনিয়োগ হয় সে ক্ষেত্রেও সরকারকে নতুন নতুন হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে বেশি আগ্রহী দেখা যায়। কিন্তু জনগণকে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের নিমিত্তে উপযুক্ত এবং পর্যাপ্ত জনবল এবং যন্ত্রপাতি ও অন্য সরঞ্জামের সরবরাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে এই সব অবকাঠামোগুলো পুরোপুরি সচল করার আগ্রহ তেমন দেখা যায় না। 

এর প্রধান কারণ অবকাঠামো সহজে জনগণের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সরকার রাজনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হয়। সরকার স্বাস্থ্যখাতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করে, সেই অর্থ দিয়ে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে সেবা তৈরি হয়। এই সেবার মূল্য বুঝতে পারলে তা থেকে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারত। ফলে হয়তো স্বাস্থ্যসেবা প্রদানেও সরকার আরও বেশি মনোযোগী হতো এবং এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াত। 

■ স্বাস্থ্যের মতো সামাজিক খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই রক্ষণশীল আচরণ লক্ষ করা যায়। 

■ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অবকাঠামো নির্মাণে বেশি আগ্রহ। কিন্তু অবকাঠামোগুলো পুরোপুরি সচল করতে দেখা যায় না।

■ সামাজিক নিরাপত্তার ধারণার বাইরে এসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিকে উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। 

বর্তমানে রাষ্ট্র স্বাস্থ্য খাতে কত অর্থ খরচ করছে তা জানে।  কিন্তু সেই অর্থ দিয়ে কী পরিমাণ মূল্যের সেবা উৎপাদন করছে, তা রাষ্ট্রের জানা নেই। এটা জানা থাকলে রাষ্ট্র জনগণকে কত টাকার স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে তা বলতে পারত এবং এর রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারত। তা ছাড়া বর্তমানে জনগণও জানে না তারা সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র থেকে কত টাকার সেবা পায়। আবার সরকারি সেবাদানকারী কিংবা হাসপাতালও জানে না, রোগীকে কত টাকার সেবা প্রদান করা হয়। 

এক কথায় সরকারি স্বাস্থ্য খাতের তিন প্রধান অংশীজন—সেবাগ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী এবং অর্থ প্রদানকারী (অর্থাৎ সরকার) সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মূল্য সম্পর্কে মোটেও অবগত নয়। যেমন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দ ৩৮ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। এটা সরকারের জানা। কিন্তু এই অর্থ দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং হাসপাতালে কত টাকার সেবা তৈরি হয় তা সরকার কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানে না। 

আবার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং হাসপাতালে উচ্চ ভর্তুকি থাকায় রোগীরাও জানেন না তাঁরা কত টাকার সেবা পেলেন। ফলে এই তিন অংশীজনের কারওর কাছেই সরকারি স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব নেই। কিন্তু জনগণ যদি জানত তাঁরা যে পরিমাণ টাকা ফি হিসেবে দিচ্ছে, তার বহুগুণ মূল্যের সেবা পাচ্ছে, তাহলে তারা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব বুঝতে পারত। 

আবার সরকার যদি জানতে পারত এই ৩৮ হাজার কোটি টাকা মূল্য সংযোজিত হয়ে তিন গুণ বা পাঁচ গুণ টাকার সেবা তৈরি করছে, তাহলে সরকার তা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে প্রচার করে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারত। তাই রাজনৈতিকভাবে আরও বেশি লাভবান হওয়ার জন্য হয়তো সরকার স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াত। আবার সরকারি হাসপাতালে বিভিন্নভাবে সম্পদের যে অপচয় হয়, তা যদি হিসাবে আনা যেত, তাহলে সরকার অপচয় বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারত। 

অন্যদিকে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার মতো যদি সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মূল্য জানা যেত, তাহলে স্বাস্থ্যসেবার মোট ব্যয় হিসাব করার ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের অঙ্কের পাশাপাশি তার মূল্য সংযোজিত অঙ্কও বিবেচনা করা যেত। ফলে স্বাস্থ্যসেবার মোট ব্যয়ে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয়ের বর্তমান অনুপাতের অঙ্ক হয়তো পাল্টে যেত। 

বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতাল উৎপাদন খরচের সঙ্গে মূল্য সংযোজিত অংশ যোগ করে সেবার মূল্য নির্ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে তাই ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় হিসাব করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবার উৎপাদন খরচের পাশাপাশি মূল্য সংযোজিত অঙ্কও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 

স্বাস্থ্য খাতের বিনিয়োগ থেকে সরকারের রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার আরেকটি কৌশল হলো স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়কে নিছক খরচ না ভেবে উন্নয়নের কৌশলগত বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা। ব্যক্তির পকেট থেকে স্বাস্থ্যের ব্যয় বহন করতে গিয়ে প্রতিবছর বাংলাদেশের ৫-৬ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়। 

রাষ্ট্রের বিভিন্ন দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি দিয়ে বছরে যতটুকু দারিদ্র্য বিমোচন হয়, শুধু স্বাস্থ্যের খরচ মেটাতে গিয়ে তার থেকে বেশি পরিবার দারিদ্র্যে পতিত হয়। স্বাস্থ্যে বিনিয়োগকে দারিদ্র্য দূরীকরণের কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করলে এত দিন দারিদ্র্য সিঙ্গেল ডিজিট বা এক অঙ্কে নামিয়ে আনা সম্ভবত হতো। 

রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে হলে সরকারকে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য একটি ইউনিক হেলথ আইডি (স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য পরিচিতি) চালু  করতে হবে। এর পাশাপাশি হাসপাতালে অটোমেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতালের সেবার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া  প্রচলিত ইমপ্লিসিট বেনিফিট (অনির্ধারিত সুবিধাসমূহ) প্যাকেজকে এক্সপ্লিসিট বেনিফিট (নির্ধারিত সুবিধাসমূহ) প্যাকেজে রূপান্তর করতে হবে। প্রতিটি পরিবারের জন্য বছরে ন্যূনতম এক লাখ টাকার ইনপেশেন্ট অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে জনগণের ইনপেশেন্ট স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হবে। 

এক্সপ্লিসিট বেনিফিট প্যাকেজসংবলিত একটি স্বাস্থ্য কার্ড জনগণকে স্বাস্থ্যসেবার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে শক্তি জোগাবে। এটা সেবাদানকারীসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে হাসপাতাল ও  স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের রেডিনেস (সেবা প্রদানের প্রস্তুতি) বাড়াতে প্রণোদনা জোগাবে। প্রতিবেশী ভারতসহ  বিশ্বের অনেক দেশে এক্সপ্লিসিট বেনিফিট প্যাকেজবিশিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি চালু রয়েছে। সেখানে জনগণ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে ক্ষমতায়িত হয়েছে। ফলে তাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ সহজ হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের রেডিনেসও বেড়েছে। 

অন্যদিকে এ পদ্ধতিতে জনগণ নির্দিষ্ট হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র থেকে সেবা নিতে উৎসাহিত হবে। কেননা নির্দিষ্ট সেবাকেন্দ্র উপেক্ষা করে বা পাশ কাটিয়ে উচ্চতর সেবা কেন্দ্রে সেবা নিতে গেলে স্বাস্থ্য কার্ডের প্রদত্ত সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবে এবং তাদেরকে নির্ধারিত মূল্যে সেবা কিনতে হবে। ফলে কার্যকর রেফারেল পদ্ধতি চালু করা সহজ হবে। সর্বোপরি, মানুষ কত টাকার সেবা পেল তা জানার পাশাপাশি রাষ্ট্র কত টাকার স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে, তা-ও জানা সম্ভব হবে। ফলে সরকার স্বাস্থ্য খাতে টাকা খরচে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কর্তৃক পরিচালিত টাঙ্গাইল জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চলমান স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি এ রকম একটি এক্সপ্লিসিট বেনিফিট প্যাকেজসংবলিত পদ্ধতি। কিন্তু বর্তমানে এই কর্মসূচিতে কেবল দরিদ্র পরিবারের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ আছে। ফলে যারা দারিদ্র্যসীমার ওপরে অবস্থান করছে কিন্তু স্বাস্থ্যের ব্যয় বহন করতে গিয়ে দারিদ্র্যে পতিত হচ্ছে, তাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না।

এ ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তার ধারণার বাইরে এসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচিকে উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এর মাধ্যমে এ পদ্ধতিকে সর্বজনীন করতে হবে এবং সেবার আওতা বাড়ানোর পাশাপাশি বেনিফিট সীমাকে বছরে ন্যূনতম এক লাখ টাকায় উন্নীত করতে হবে। 

এ পদ্ধতি চালু করলে মেডিকেল ও সার্জিক্যাল রিকুইসিট লাইন আইটেম (ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম খাত) বাবদ আলাদা কোনো বরাদ্দ লাগবে না। ফলে এ খাত থেকে যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা দিয়ে এবং বর্তমান বরাদ্দের অব্যায়িত অংশ দিয়ে এ ক্ষেত্রে বছরে যে ৮-১০ হাজার কোটি টাকা বাঁচবে, তা অর্থায়ন করা যাবে। 

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারত ২০০৭ সালে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা ‘যোজনা’ নামে একটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি শুরু করে। ২০১৮ সাল থেকে এই কর্মসূচিতে দরিদ্র পরিবারের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং বেনিফিট সীমা ৩০ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ রুপিতে উন্নীত করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী ‘আরোগ্য যোজনা’। এটাকে উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা হিসেবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশটিতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। 

ক্যানসারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি এবং সড়ক দুর্ঘটনার রোগীদের সেবার অর্থায়নের জন্য একটি তহবিল গঠন বা সামাজিক বিমার প্রচলন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে দেশের সাড়ে ১৮ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে মাসে ২০ টাকা হারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করলে বছরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা যাবে। 

এর পাশাপাশি তামাক ও তামাকজাত পণ্যসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যহানিকর পণ্যের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের মাধ্যমে সংগৃহীত রাজস্ব এ তহবিলে যোগ করা যেতে পারে। সরকার, উন্নয়ন অংশীজন এবং জনহিতৈষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও এ তহবিলে অর্থ প্রদান করতে পারে। 

এভাবে একটি স্মার্ট সরকারই পারে এ ধরনের স্মার্ট পরামর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি স্মার্ট জাতি গড়তে। 


ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক