ন্যানো স্যাটেলাইট নির্মাণ

‘ব্র্যাক অন্বেষা’ নামের এই ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহের নকশা প্রণয়ন থেকে চূড়ান্ত কাঠামো তৈরির পুরো কাজটাই করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। তবে এ কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে জাপানের একটি গবেষণাগারে। আগামী মে মাস থেকে ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে। আশা করা যায়, এই উপগ্রহের পাঠানো ছবি থেকে কৃষি, বন, পরিবেশ, নদী থেকে শুরু করে দেশের ভৌগোলিক চিত্র পাওয়া সম্ভব হবে। আর তা সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাসহ উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণাকাজেও দেশকে এগিয়ে দেবে। এতকাল বাংলাদেশকে এসব ছবির জন্য অন্য দেশের কৃত্রিম উপগ্রহের ছবির দ্বারস্থ হতে হতো। আজকের যুগে নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ থাকা অর্থনৈতিক, সামরিক ও প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য খুবই জরুরি। উল্লেখ করা দরকার, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাই পাটের জিন নকশা আবিষ্কার করেছিলেন। কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণ আবিষ্কার বা উদ্ভাবন না হলেও, প্রাযুক্তিক উৎকর্ষ অর্জনে এটা আমাদের স্বাবলম্বী হওয়ার প্রেরণা জোগাবে।

উচ্চশিক্ষার সঙ্গে উচ্চতর গবেষণার সম্পর্ক নিবিড়। মূলত গবেষক তৈরি এবং নতুন চিন্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের এই দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। বিশ্ববিদ্যালয় কেবল সনদ বিতরণের কেন্দ্র নয়, গবেষণা ছাড়া প্রকৃত উচ্চশিক্ষা কল্পনাই করা যায় না।
অথচ এই ক্ষেত্রেই আমরা এখনো পিছিয়ে রয়েছি। যথাযথ পরিকল্পনা ও অর্থাভাবের কারণে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের একটি কাজে অর্থায়ন করে প্রকৃত উচ্চশিক্ষা কেন্দ্রের উপযুক্ত দায়িত্বই পালন করেছে। সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত গবেষণা খাতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা।