নাগরিকের অর্থনৈতিক মুক্তি

রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্তব্ধ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা
রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্তব্ধ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা

জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি একটি দেশের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে দুটি কারণ কাজ করেছিল। এক. পশ্চিম পাকিস্তান থেকে রাজনৈতিক মুক্তি, আরেকটি হলো অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তান আমলে উন্নয়ন থেকে আমরা ছিলাম বঞ্চিত। ফলে রাজনৈতিক স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি দুটিই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মূল উদ্দেশ্য।
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ আমরা একটি পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। এর মধ্যে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্র। এরপর সরকার পরিবর্তন হচ্ছে; বিভিন্ন কার্যক্রমও গ্রহণ করা হচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে আরও দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করা যেত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সন্দেহ নেই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মানুষের মধ্যে উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা আরও বেড়েছে। আমরা এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের যুগসন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছি।
সময় এসেছে অর্থনৈতিকভাবে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার এবং দেশকে আর্থসামাজিক দিক থেকে আরও এগিয়ে নেওয়ার। বর্তমান সরকার মেয়াদের শেষ দিকে চলে এসেছে। এমন সময়ে সরকার পরিবর্তন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবার নির্বাচনের সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সামান্য সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। এতে আমরা পিছিয়ে পড়ব। উন্নয়নের পূর্বশর্তই হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এ নিবন্ধে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভবিষ্যতে আমাদের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর দৃষ্টিপাত করব।
হিসাব মিলিয়ে দেখতে হবে, আমরা কতটুকু অর্জন করেছি, কতটুকু ব্যর্থ হয়েছি, কেন ব্যর্থ হয়েছি এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করব। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আত্মপর্যালোচনা করলে সঠিক পথনির্দেশনা আমরা পাব। পরবর্তী সময়ে যে সরকার আসবে, তাদের জন্য একটি দিকনির্দেশনা তৈরি হবে এতে, যাতে তারা ঠিকমতো দেশ পরিচালনা করতে পারে। পথ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক হওয়া উচিত। আর সেটি হলো, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বিশ্বদরবারে দ্রুত মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যও ছিল এটি।
সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আমাদের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সূচক সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। আমরা যে অবস্থায় উপনীত হয়েছি, তাতে ১৯৯১ থেকে ২০১৩ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিটি সরকারের ধারাবাহিক অবদান রয়েছে। তাদের কারও অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। অন্যান্য দেশের তুলনায় সামষ্টিক অর্থনীতিতে আমাদের স্থিতিশীলতা সন্তোষজনক। বিখ্যাত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস ২০০৬ সালে ১১টি ‘নিউ ইমার্জিং’ বা উদীয়মান দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশ রয়েছে এ তালিকায়। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি মোটামুটি ভালো। চীন-ভারত ৭, সাড়ে ৭, ৮ শতাংশের অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদের প্রবৃদ্ধি এ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারিনি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। কিছুটা কমেছে, তবে একে সহনীয় করে তুলতে হবে। ইদানীং খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, উভয় মূল্যস্ফীতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন যাপনে প্রভাব ফেলে। সামগ্রিক সূচকে যেমনটা উন্নয়ন করা দরকার ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি। যতটুকু করতে পেরেছি, অর্থাৎ ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিও খারাপ নয়। এর ফল অবশ্য সুষমভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। তাই প্রবৃদ্ধির সুফল সবাই পায়নি। সমস্যা এখানেই। ফলে দিনে দিনে ব্যক্তিগত আয়বৈষম্য বাড়ছে; আঞ্চলিক আয়বৈষম্যও বাড়ছে। অনেকে যুক্তি দেখান, আমাদের মাথাপিছু জিডিপি এক হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এটি সত্য, তবে সেখানেও শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। কেউ মাসে পাঁচ লাখ টাকা আয় করছে, কেউবা পাঁচ হাজার। গড় করলে বেশি তো দেখাবেই। পোশাকশিল্পের শ্রমিকের কথাই ধরুন। তাঁরা কি এক হাজার ডলার আয় করেন? এ ধরনের গড় মাথাপিছু আয় সুষম উন্নয়ন নির্দেশ করে না।
মানতে হবে, এদিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের। উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করে বিভিন্ন অঞ্চলে তা বণ্টন করতে হবে। এটি করা না গেলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে। এখন পোশাকশিল্পে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তারা নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক নয়।
তৃণমূল মানুষের কথায় আসি। ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স প্রভৃতি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ পর্যায়ের মানুষের কাছে অর্থ পৌঁছায়। এখন দারিদ্র্যের হার কমেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন প্রশংসিত হবে। এগুলো হঠাৎ হয়নি। ধারাবাহিকভাবে অর্জিত হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতেও আমাদের অগ্রগতি ভালো। গড় আয়ু বেড়েছে। এটি ভারতের তুলনায় ভালো। সহাস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও আমরা এগিয়ে। তবে কিছু লক্ষ্য অর্জনে আমাদের বেগ পেতে হবে। প্রথমেই আয় বৃদ্ধি করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতেও কয়েকটি লক্ষ্য, বিশেষ করে পুষ্টির ঘাটতি পূরণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখনো দেশের অধিকাংশ শিশু অপুষ্টির শিকার। চরাঞ্চল ও দুর্গম অঞ্চলে এখনো পুষ্টির ঘাটতি রয়ে গেছে।
শিক্ষার হার বেড়েছে, কিন্তু এর মান বাড়েনি। শিক্ষা উপকরণের মান বাড়েনি, বাড়েনি শিক্ষকের মান। শিক্ষকদের বেতনকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশের মতো দেশে বাজেটের বিরাট অংশ ব্যয় হওয়া উচিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে বরাদ্দকৃত অর্থেরও সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাড়তি বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যয়ের মানোন্নয়ন ও দুর্নীতি দূর করতে হবে। সে জন্যই গুণগত স্বাস্থ্যসেবার পরিধি (বিশেষ করে দরিদ্রদের জন্য), শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে তেমন বরাদ্দ নেই। এ কারণে জনসম্পদ উন্নয়নে আমরা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছি।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংক, বিমা খাতে নানা অব্যবস্থাপনা, তদারকির অভাব ও কিছু প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সেভাবে উন্নয়ন ঘটছে না এবং সাধারণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের জন্য আশানুরূপ অবদান রাখতে পারছে না তারা। মোটা দাগে, এগুলোই আমাদের বড় সমস্যা। যতই বিনিয়োগের কথা বলা হোক, মনোপলি হলে, গুটিকতক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণ থাকলে, বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো না হলে, উৎপাদনকারীকে ঠিকমতো সেবা দিতে না পারলে টেকসই ও সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রভৃতির তদারকির অভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা, শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিলে উন্নয়ন টেকসই ও সুষম হতো।
আমাদের মূল সমস্যা দুর্নীতি। নজিরবিহীন দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসছে। সক্ষমতা, প্রযুক্তি, অর্থ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেকোনো ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও আমাদের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিকে ‘ভালো’ বলা হচ্ছে সংখ্যা বা উপাত্ত দিয়ে। কিন্তু এর আড়ালে অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে। সংখ্যা ও উপাত্ত দিয়ে অনেক কিছু বোঝানো যেমন যায়, তেমনি প্রকৃত সত্যও আড়াল করা যায়। মূল্যস্ফীতি কমেছে। কিন্তু বাজারে গিয়ে ক্রেতা তার প্রতিফলন দেখছে না, মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার প্রমাণ মানুষ পাচ্ছে না।
ব্যাংকগুলোয় অস্বাভাবিকভাবে কুঋণ বেড়ে গেছে। কুঋণের বেশির ভাগ বড় মুষ্টিমেয় কিছু প্রতিষ্ঠানের। বিতর্কটা হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে। কোটি কোটি টাকা পাচ্ছেন মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ী-শিল্পপতি। আয়ের মতো ঋণ বিতরণেও বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। স্বল্পসংখ্যক ব্যক্তির কাছে ব্যাংকের ঋণ আটকে থাকার সঙ্গে সঙ্গে দেশের একাংশে অর্থ চলে যাচ্ছে। ব্যক্তিগত আয়বৈষম্যের সঙ্গে আঞ্চলিক বৈষম্যও কমিয়ে আনা যাচ্ছে না।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল নয়। নব্বইয়ের পর থেকে ব্যাংকিং খাতে সংস্কার শুরু হয়েছিল এবং এটি অন্যান্য খাতের চেয়ে অধিকতর সুশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। ইদানীং ব্যাংকিং খাতে বেশ কিছু সমস্যা ও দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের অদক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রভাব এবং আমলাতান্ত্রিক অদক্ষতা দূর করতে হবে। সর্বোপরি ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য বা নীতি কী? সরকারের কৌশলগুলোয় মারাত্মক কিছু সমস্যা রয়েছে। সরকার অনেক বিষয় আড়াল করার চেষ্টা করে। হল-মার্ক বা বিসমিল্লাহ কেলেঙ্কারি আড়ালের চেষ্টা হয়েছে। এতে সমস্যা বেড়েছে বৈ কমেনি।
বিশ্বমন্দা চলাকালীন ২০০৭-০৮ অর্থবছরেও আমাদের অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো ছিল। ওই সময় বিশ্বের বড় অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সূচক নেমে গিয়েছিল। দেশের সভরিন রেটিংয়ের সূচক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো থাকলেই সরকারের কর্তাব্যক্তিদের আত্মতুষ্টিতে নিমগ্ন থাকা ঠিক নয়। দেখতে হবে বৃহৎ জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ পাচ্ছে কি না, স্বস্তিতে ও স্বাচ্ছন্দ্যে আছে কি না।
বারবার ভালো প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। এটি কোন কোন খাতে অর্জিত হচ্ছে—উৎপাদনশীল নাকি অনুৎপাদনশীল খাতে, তা-ও দেখতে হবে। কারণ, অনুৎপাদনশীল খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধি টেকসই হয় না। দেশে ক্ষুদ্র-মাঝারি-বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে কি না, তা-ও বিবেচনায় নিতে হবে। কর্মসংস্থান, সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে কি না, তা-ও বিবেচনায় নিতে হবে। সময় এসেছে সংখ্যাভিত্তিক সূচক, পরিসংখ্যান এবং এসব পর্যালোচনার সঙ্গে গুণগত সূচক, জনগণের ধারণা ও উপলব্ধিকে বিবেচনায় নেওয়ার। এটাকে বলে সার্বিক সূচক, যেটি আরও বৃদ্ধি করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, অধ্যাপক, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি।