বৈশ্বিক যুগের নতুন ভারসাম্য

২০১৭ সাল শেষ হয়ে আসছে। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই নতুন বছর শুরু হবে। বছরের শেষ প্রান্তে পৃথিবীর সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রখ্যাত কিছু মানুষের লেখা আমরা অনুবাদ করে প্রকাশ করব , যেগুলো আমাদের বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রবণতা যেমন বুঝতে সহায়তা করবে, তেমনি আগামী দিনের দিকনির্দেশনাও দেবে। প্রজেক্ট সিন্ডিকেটের এই লেখাগুলো বাংলাদেশে শুধু আমরাই বাংলা ভাষায় প্রকাশ করব। এর অংশ হিসেবে আজ প্রকাশ হলো ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের লেখা


বিশ্বায়ন যত দিন নেতৃত্বহীন থাকবে বা তার মানবিক রূপটা থাকবে না, তত দিন সুরক্ষাবাদ বা ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলন চলতে থাকবে এবং তার অবস্থা হবে নিয়ন্ত্রণ হারানো রেলগাড়ির মতো। দুঃখজনকভাবে বিশ্বায়ন যে বহু মানুষের জীবনে নোংরা শব্দ হয়ে উঠেছে, তার যথেষ্ট কারণ আছে। ৩০ বছরের পুরোনো ওয়াশিংটন কনসেনসাসের স্তম্ভগুলো ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। অধিকাংশ মানুষই এখন এ ব্যাপারে একমত যে ন্যায্য বাণিজ্যের অনুপস্থিতিতে মুক্ত বাণিজ্য হলে তাতে লাখ লাখ মানুষের ক্ষতি হয়, যদিও কিছু মানুষ এতে লাভবান হয়। অনিয়ন্ত্রিত, বিশেষ করে স্বল্পমেয়াদি পুঁজির প্রবাহের কারণে অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। আর ক্রমবর্ধমান সামাজিক অসমতা প্রবৃদ্ধির জন্য খারাপ হতে পারে। মানুষ এসব অনুধাবন করছে বলে মুক্তবাজারের মৌল ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে, যার ভিত্তি হচ্ছে উদারীকরণ, শিথিল নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারীকরণ, কর হ্রাস ও রাষ্ট্রের ভূমিকা সংকুচিত হওয়া। আজ বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের ১০ বছর পর আমরা এখন এটা মেনে নিতে পারি, যেসব ব্যক্তি ও করপোরেশন কেবল স্বীয় স্বার্থে কাজ করে, তারা সব সময় মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ করে না।

গর্ডন ব্রাউন
গর্ডন ব্রাউন

তবু বিশ্বায়নের যুগে নতুন কোনো অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি। ফলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে সুরক্ষাবাদ, বাণিজ্যবিরোধী জনতুষ্টিবাদ ও অনুদার জাতীয়তাবাদ হালে পানি পেয়ে যাচ্ছে, যে জাতীয়তাবাদ কখনো বিদেশিদের সম্পর্কে ভীতি সৃষ্টি করে। এসব কিছুর পেছনে ভীতি হিসেবে কাজ করছে স্থবির মজুরি, প্রাযুক্তিক উৎকর্ষজনিত বেকারত্ব ও ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা, ভুল করার অবকাশ নেই, বিশ্বায়নের কারণে যারা পিছিয়ে বা বাদ পড়েছে তারা এমন কিছু বা কারও সন্ধান করছে, যিনি তাদের অসন্তোষের প্রতিফলন ঘটাবেন বা পরিবর্তন থেকে রক্ষা করবেন।

কিন্তু জাতীয়তাবাদ বা বিশ্বায়নের বিস্তৃত ব্যবস্থা—কোনোটিই মানুষের সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা, সমতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে না। ব্যাপারটা হলো জাতীয়তাবাদ আমাদের বাস্তবতা আমলে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে, কারণ আমাদের স্বাধীনতা পারস্পরিক নির্ভরশীলতা দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। আর বিশ্বায়ন তো এখন স্থানীয় নিয়ন্ত্রণের কঠিন দাবির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় আমাদের যদি বিশ্বায়নকে বাগে আনতে হয় বা জাতীয় পরিচয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হয় তাহলে মানুষের বহুল আকাঙ্ক্ষিত জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং অধিকাংশ দেশের প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক মতৈক্যের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে।

ট্রাম্প যে ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথম’ ধাঁচের জাতীয়তাবাদ প্রস্তাব করেছেন, তাতে তিনি আমদানি হ্রাস ও অভিবাসনের রাশ টেনে ধরার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, ইউনেসকোর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মুক্ত বাণিজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনতে চান। যে দেশটি বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়, তাদের জন্য এটা আত্মপরাজয়মূলক কৌশল।

ট্রাম্প এটা জানেন না বা সম্ভবত জানতে চান না যে আমদানি কমালে রপ্তানিও কমতে পারে। কারণ, শত শত কোটি ডলারের মার্কিন রপ্তানি আমদানীকৃত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। তিনি ভুলে গেছেন, বহু মার্কিন করপোরেশনের মুনাফা নির্ভর করে এশীয় শ্রমিকদের মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে। তার জায়গায় মার্কিন শ্রমিকেরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ব্যাপারটা অনেক ব্যয়বহুল হতো। ফলে এই কোম্পানিগুলো যদি দেখে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হচ্ছে তাহলে তারা সেটা ঠেকানোর চেষ্টা করবে।

আর এর প্রগতিশীল বিকল্প হিসেবে যা বলা হয় অর্থাৎ সেই ‘দায়িত্বশীল জাতীয়তাবাদ’ মূলত চাপের মধ্যে থাকা মধ্যবিত্তকে ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। আর সেটা তারা করতে চায় পুনঃপ্রশিক্ষণ ও মজুরি ভর্তুকির মাধ্যমে। কিন্তু এমনকি উদারনৈতিক ইউরোপীয় কল্যাণব্যবস্থায় এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে দারিদ্র্যের চক্র থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অসমতা এত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে দেশটির সাবেক রাজস্বমন্ত্রী লরেন্স এইচ সামার্স হিসাব কষে দেখিয়েছেন, এই ব্যবধান কমাতে সেখানকার শীর্ষ ১ শতাংশ ধনী মানুষকে প্রতিবছর এক কোটি ডলার অতিরিক্ত দিতে হবে।

এই উচ্চমাত্রার অসমতা মোকাবিলা করতে হলে করের নিরাপদ অঞ্চল থেকে শত শত কোটি ডলার ফিরিয়ে আনতে হবে, যার জন্য নিশ্চিতভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এমনকি তারপরও পশ্চিমকে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে, কারণ সেখানে শ্রমের মান হ্রাসের যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এটাই হলো পশ্চিমের মজুরি স্থবিরতার মূল কারণ।

আবার পরিবেশদূষণের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু হয়েছে, সেখানেও একই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু জাতিরাষ্ট্রগুলো যদি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে না পারে বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে পরিবেশদূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টেকসই অগ্রগতি অর্জিত হবে না। তবে যারা যা খুশি তাই করছে তাদের রাশ টানতে আন্তর্জাতিক মতৈক্য না হলে দূষণ ছড়াতে থাকবে। তার মাত্রা আরও বাড়তে থাকবে। ফলে এটার জাতীয় সমাধানের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে।

স্বশাসন ও সহযোগিতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে গেলে মূলত ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের মধ্যকার ধারণাগত পার্থক্য বুঝতে হবে। ঊনবিংশ শতকে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল, তখন তা একটি রাষ্ট্রের হাতে সীমাবদ্ধ ছিল, যা ছিল অখণ্ড। আর পরবর্তী যুগে ব্যাপারটা লোকপ্রিয় নিজস্ব সরকারের হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল, যেখানে ক্ষমতা স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক পরিসরে থাকবে তার সিদ্ধান্ত নাগরিকেরা গণতান্ত্রিকভাবে নেয়।

কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জাতীয় সরকারকেই একমাত্র বিকল্প ভাববে। অন্য ক্ষেত্রে তারা হয়তো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ধাঁচের আঞ্চলিক ব্লক বা জাতিসংঘ ও ন্যাটোর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে দায়িত্ব, সম্পদ ও ঝুঁকি ভাগাভাগি করতে পারে। ব্যাপারটা হলো জাতীয় স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মধ্যে যে ভারসাম্যের কথা আমরা বলছি তা সম্ভবত বিষয়কেন্দ্রিক হবে। আর বৈশ্বিক অর্থনীতি ও জনমত পরিবর্তিত হলে এর সীমানাও পরিবর্তিত হবে।

জাতীয় সরকারকে অত্যধিক ঘাটতি ও উদ্বৃত্তের ওপর স্ব-আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মূল্য বুঝতে হবে। একই সঙ্গে তাকে মুদ্রা কারসাজি বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্যহীনতা দূর করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে পারস্পরিক ও সহযোগিতামূলক চুক্তি। তবে জাতিরাষ্ট্র নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে করের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে করের ব্যাপারে অন্যায্য প্রতিযোগিতা ও অফশোর নিরাপদ ঘাঁটিগুলো বন্ধে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হলে সব জাতিরাষ্ট্রের রাজস্ব ভিত্তি দুর্বল হবে। ফলে তাদের পক্ষে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করা কঠিন হবে।

এখন কথা হলো ২০১৮ সালে ও পরবর্তীকালে আমাদের বিশ্বায়নবিরোধী প্রচারণার বিরুদ্ধে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করতে হবে। কারও কাছেই পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা নেই, অর্থাৎ জাতীয় স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে কীভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভারসাম্য করা যায়। এর সেরা সমাধান হলো আমাদের এমন খাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরিসর তৈরি করতে হবে, যেখান থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হব অথবা যে ক্ষেত্রে সহযোগিতা না থাকলে আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হব। তবে আমাদের বণ্টনের প্রসঙ্গটি সরাসরি ও স্পষ্টভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তা সে বাণিজ্যে হোক বা জলবায়ু পরিবর্তন, বিনিয়োগ বা প্রযুক্তির প্রয়োগ ও বিকাশে হোক।

বিশ্বায়নের সুফল সবাইকে পেতে হবে
বিশ্বায়নের সুফল সবাইকে পেতে হবে

প্রথমত আর্থিক বাজারের জন্য সারা বিশ্বে আগাম সতর্কতাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যার ভিত্তি হবে বৈশ্বিকভাবে প্রয়োগযোগ্য পুঁজির পর্যাপ্ততা, তারল্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানদণ্ড। আর ঝুঁকি বাড়লে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে—এমন মতৈক্য দরকার।

দ্বিতীয়ত, আমাদের বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। অবশ্যই আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ, শুল্ক ও অশুল্কজনিত ন্যায্য বিধান প্রণয়ন করতে হবে। কিন্তু বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার মূলে যে মৌলিক অন্যায্যতা আছে তা আমলে নিতে হবে, যার কারণে বিশ্বায়নবিরোধী আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। সেটা করা হলে যথেচ্ছভাবে পরিবেশদূষণকারীদের রাশ টানা যাবে, সম্পদ ও অর্থ পাচার রোধ করা যাবে ও শ্রমের মজুরি হ্রাসের প্রতিযোগিতা কমানো যাবে। একই সঙ্গে ট্রান্সফার প্রাইসিং ও কর ফাঁকির প্রবণতা বন্ধ করা যাবে। আর করের নিরাপদ ঘাঁটি বা ট্যাক্স হ্যাভেন বন্ধ করতে হবে।

তৃতীয়ত, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিতে সহযোগিতা বাড়াতে হবে। গত এক দশকে বৈশ্বিক উৎপাদন ও বাণিজ্য কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হয়নি। সাধারণভাবে বললে সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্যহীনতা কমাতে বা প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে শক্তিশালী জি২০-এর প্রয়োজন হবে। অর্থনৈতিক সহযোগিতার যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আছে, তাদের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা থাকতে হবে এবং তার প্রতিনিধিত্বের পরিসর আরও বড় হতে হবে।

আমি যখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, তখন ব্রিটিশ সরকার বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য কঠোর সংগ্রাম করেছে, ওই সময় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৃষি আমদানি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করেছে। ভারত নিজেদের কৃষকদের জীবিকা বাঁচাতেই এটা করেছে। আজ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়াই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো নিজেদের বহুপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। এর মানে হলো আমাদের এমন পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে ট্রাম্প-উত্তর যুগে নতুন বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তি করা সম্ভব হয়।

যা হোক, যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে আসছে, অন্যদিকে ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্য বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে—ফলে ২০১৮ সালে অবশ্যই নানা ধাক্কা আসবে। ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানে নিষ্ক্রিয় থাকাটাও নতুন অ্যাজেন্ডা, যার বদৌলতে সব দেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিত হতে পারে। সেটা শুধু জাতীয় সরকারের কার্যক্রমের মাধ্যমে নয়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বর্ধিত পরিসরের মাধ্যমে তা করা সম্ভব। শুরু করতে হবে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত দিয়ে, এরপর ক্রমে ছড়িয়ে পড়তে হবে।

স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন।

গর্ডন ব্রাউন: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।