স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার

প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণ। কারও হাতে টুকরি, কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে বালুর বস্তা। কেউ জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তায় ফেলছেন। কেউ বিছাচ্ছেন ইট। পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রামীণ সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করছিলেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার দুপুরে এমন দৃশ্য দেখা গেল চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী গ্রামে।

মোকামী গ্রামে সড়ক সংস্কার করতে গিয়ে টানা তিন দিন স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন তরুণেরা। গত মঙ্গলবার দুপুরে শেষ হয়েছে এই সংস্কার কাজ। আপাতত সচল করা গেছে অচল সড়ক। তরুণেরা বলেন, প্রায় পাঁচ হাজার গ্রামবাসীর একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। এটি বেহাল হয়ে পড়ায় ছামিদর কোয়াং, মোকামী গ্রাম, পশ্চিম নোয়াপাড়া ও সামমাহালদার পাড়ার বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর করতেই তরুণেরা স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কারে নেমেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ এক কিলোমিটার ক্ষতবিক্ষত সড়কটি এলাকার অর্ধশত তরুণ-যুবক মিলে মেরামত করছেন। তাঁদের একজন শওকত আকবর প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত রোববার থেকে গত মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এখানে আমরা সড়ক মেরামতের কাজ করছি। নিজেদের পকেটের টাকায় নাশতা খাচ্ছি। গত কয়েক দফা বন্যার কারণে মোকামী গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়কটির পঞ্চাশটি স্থানে ভেঙে গেছে। তিনটি স্থানে রাস্তা ভেঙে ফসলি জমির সঙ্গে মিশে গেছে। ভাঙা সড়কটি গত তিন দিনে মোটামুটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত দুই দফা বন্যায় ভেঙে যাওয়ার পর সড়কটি সরকারি বরাদ্দে মেরামত করেছি। এবার সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই স্বেচ্ছায় যাঁরা এ কাজে এগিয়ে এসেছেন তাঁদের সহযোগিতা করেছি আমরা।’