শূন্য সহনশীলতা ও অতঃপর

২৯ জানুয়ারি বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) তাদের বার্ষিক দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০১৮ প্রকাশ করেছে। সূচক অনুযায়ী ০-১০০ স্কেলে বাংলাদেশ ২৬ স্কোর পেয়েছে, যা ২০১৭-এর তুলনায় ২ পয়েন্ট কম। অবস্থান বিবেচনায় বাংলাদেশের অবনতি আরও বিব্রতকর। ১৮০টি দেশের মধ্যে তালিকায় উচ্চ অবস্থান অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৪৯তম স্থান পেয়েছে, যা ২০১৭-এর তুলনায় ছয় ধাপ নিচে। নিম্ন অবস্থান অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ ১৩তম, যা ২০১৭-এর তুলনায় চার ধাপ নিচে। তদুপরি, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩১টি দেশের মধ্যে চতুর্থ সর্বনিম্ন। আফগানিস্তান ছাড়া অপর যে দুটি এশীয় দেশ বাংলাদেশের তুলনায় নিম্নতর, তারা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া ও কম্বোডিয়া।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান, ৬৮ স্কোর পেয়ে উচ্চক্রম অনুযায়ী ২৫তম, এরপর ভারত ৪১ স্কোর পেয়ে ৭৮তম, শ্রীলঙ্কা ৩৮ পেয়ে ৮৯তম, পাকিস্তান ৩৩ পেয়ে ১১৭তম, মালদ্বীপ ও নেপাল ৩১ পেয়ে ১২৪তম ও আফগানিস্তান ১৬ পেয়ে ১৭২তম। বৈশ্বিক তালিকায় সর্বনিম্ন স্কোর পেয়েছে সোমালিয়া, ১০ পয়েন্ট। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশীয় সব দেশেরই স্কোর সূচকের গড় ৪৩-এর নিচে, অর্থাৎ এ অঞ্চলে দুর্নীতির ব্যাপকতা উদ্বেগজনক।

১৯৯৫ সাল থেকে প্রণীত দুর্নীতির ধারণাসূচক বা সিপিআই (করাপশন পারসেপশনস ইনডেক্স) সরকারি খাতে, বিশেষ করে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির ব্যাপকতা সম্পর্কে ধারণার তথ্যের বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক চিত্র প্রদান করে থাকে। সূচকে ১৩টি আন্তর্জাতিক জরিপের তথ্যের বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ সূচকে এমন জরিপের তথ্যই ব্যবহৃত হয়, যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা সম্ভব। টিআইবি বা অন্য কোনো দেশের টিআই চ্যাপ্টারের গবেষণা বা জরিপলব্ধ কোনো তথ্য এ সূচকে বিবেচিত হয় না।

সূচকটি টিআই-এর বার্লিনভিত্তিক সচিবালয়ের গবেষণা বিভাগ প্রণীত। সিপিআই-এর পদ্ধতি নির্ধারণ, স্কোর পর্যালোচনা এবং তথ্য বিশ্লেষণের যথার্থতা যাচাই করেন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের মেথোডলজি ইনস্টিটিউট, প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার্লস ইনস্টিটিউট এবং জার্মান ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক রিসার্চের হেরসি স্কুল অব গভর্ন্যান্সের বিশেষজ্ঞরা।

যে ৮টি সূত্র থেকে এবারের সূচকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, তারা হলো—ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক্সিকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কান্ট্রি রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট, বার্টলসম্যান ফাউন্ডেশন ট্রান্সফরমেশন ইনডেক্স, গ্লোবাল ইনসাইট কান্ট্রি রিস্ক রেটিংস, পলিটিক্যাল রিস্ক সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রির রিস্ক গাইড, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট, ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের রুল অব ল ইনডেক্স এবং ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেটিক ডাটাসেট। সংগৃহীত তথ্যের মেয়াদ নভেম্বর ২০১৬ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।

যেসব দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা সবচেয়ে কম বলে নিরূপিত হয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ৮৮ স্কোর পেয়ে প্রথম স্থানে ডেনমার্ক, ৮৭ পেয়ে দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ড, ৮৫ পেয়ে তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড। নরওয়ে ৮৪ পেয়ে সপ্তম এবং তারপর ক্রমান্বয়ে নেদারল্যান্ডস (৮২), কানাডা ও লুক্সেমবার্গ (৮১), জার্মানি ও যুক্তরাজ্য (৮০)। সিঙ্গাপুর ছাড়া প্রথম ২০ টির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এশীয় দেশ হিসেবে রয়েছে শুধু হংকং (৭৬) এবং জাপান (৭৩)।

কোনো দেশই শতভাগ স্কোর পায়নি। ১৮০টি দেশের মধ্যে ১২৪টি, অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি দেশ ৫০-এর কম স্কোর পেয়েছে। ১০৭টি দেশ (৫৯ %) সূচকের গড় স্কোর ৪৩-এর চেয়ে কম পেয়েছে। ৭৩টি দেশের (৪১ %) স্কোর ২০১৭-এর তুলনায় কমেছে। উন্নয়নশীল অনেক দেশের পাশাপাশি যেসব উন্নত দেশে অবনতি হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, কানাডা, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও হংকংয়ের মতো উচ্চস্থান প্রাপ্ত দেশসমূহ।

২০০১ থকে ২০০৫ পর্যন্ত পরপর পাঁচবার বাংলাদেশ সর্বনিম্ন স্থানে ছিল। এবারসহ মোট ১২ বার সোমালিয়া এ সূচকে সর্বনিম্ন স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে ২০০৬ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সূচকের স্কোর ও অবস্থান বিবেচনায় কিছুটা স্বস্তিদায়ক অগ্রগতি অর্জন করলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।

দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা যে অতীব উদ্বেগজনক, তার প্রতি প্রতিফলন ঘটেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্-নির্বাচনী ও নির্বাচন-পরবর্তী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ উপলক্ষে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণা দিয়েছেন, যার পুনরাবৃত্তিসহ তিনি শপথ গ্রহণ-পরবর্তী বক্তব্যেও জানিয়েছেন, এ দেশে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না। মন্ত্রিসভা গঠনের পর তিনি মন্ত্রীদের প্রতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাবধানবাণী পুনরাবৃত্তি করেছেন। ২৫ জানুয়ারি প্রদত্ত জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে তিনি দুর্নীতি নিয়ে সর্বস্তরের অস্বস্তির স্বীকৃতির পাশাপাশি চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন: এক. যাঁরা দুর্নীতিতে জড়িত তাঁদের আত্মশুদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন; দুই. আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতিকে উচ্ছেদ করা হবে; তিন. তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের মাধ্যমে দুর্নীতি নির্মূল করা; এবং সর্বোপরি দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণের অংশগ্রহণ ও গণমাধ্যমের সহায়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণাকে কার্যকর করতে প্রয়োজন সুচিন্তিত এবং অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে প্রণীত জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী কৌশল। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত সময়াবদ্ধ প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়নযোগ্য এরূপ একটি ব্যাপক ও বহুমুখী কৌশল এখন বাংলাদেশে সময়ের দাবি এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে পরিপূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

সর্বস্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত করা শূন্য সহনশীলতার জন্য অপরিহার্য। শূন্য সহনশীলতার ঘোষণা যতটা সহজ ও যৌক্তিক, এর বাস্তবায়ন ততটাই কঠিন ও জটিল, বিশেষ করে এমন পরিবেশে যেখানে রাজনৈতিক ও শাসনব্যবস্থার সব ক্ষেত্র ও পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র প্রভাব প্রায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। রাষ্ট্রকাঠামোতে ক্ষমতার প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্যের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রথাগত প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির ব্যাপক অবয়বের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের স্বপ্রণোদিত শিষ্টাচারের আহ্বান যেমন যৌক্তিক, তেমনি এর যথার্থতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন কার্যকর পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা। রাজনৈতিক অঙ্গনে ও তার পাশাপাশি অন্য যাঁরা নির্বাচনের অভূতপূর্ব ফলাফলের জন্য অবদান রেখেছেন, তাঁদের প্রত্যাশা জনস্বার্থের সঙ্গে কতটুকু সাংঘর্ষিক হবে, তার ওপর নির্ভর করবে শূন্য সহনশীলতা বাস্তবায়নে সাফল্যের মাত্রা।

রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমন পরিবর্তন কি সম্ভব যে ক্ষমতায় বা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার অর্থ নিজের সম্পদের বিকাশ আর নয়? এমন ভাবা কি সম্ভব, যে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তরা, বিশেষ করে ক্ষমতাবান দুর্নীতিবাজ আর বিচারহীনতা উপভোগ করবে না? প্রধানমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি উচ্ছেদ হবে, তেমন এটা কি সম্ভব যে দুর্নীতি যে–ই করুক, অবস্থান বা পরিচয়নির্বিশেষে আইনানুগ শাস্তি পেতে হবে? এমনকি সম্ভব যে ‘আমাদেরই লোক’ এ কারণে বেসিক ব্যাংকের মতো জালিয়াতি বা শেয়ারবাজার বা ব্যাংকিং খাতে গগনচুম্বী ঋণখেলাপির কেন্দ্রীয় নায়কেরা আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন না এবং রাষ্ট্রকাঠামোতে ক্রমবর্ধমান প্রভাবশালী ভূমিকায় থাকবেন না?

এমনকি ভাবা সম্ভব যে প্রধানমন্ত্রীর শূন্য সহনশীলতার ঘোষণাসহ অন্যান্য জোরালো দুর্নীতিবিরোধী প্রত্যয় দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ বার্তাই দিচ্ছে যে তাদের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্যের যথাযথ প্রয়োগ করে আইনের চোখে সব নাগরিক সমান, এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কারও প্রতি ভয় বা করুণা না করে প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ করে উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের কার্যকরভাবে জবাবদিহির আওতায় আনতে সক্ষম হবে। দুদক কি এর থেকে এই বার্তা নিতে পারে না যে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তারা সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান নয়?

এমনকি আশা করা যায় যে দেশব্যাপী ভূমি, বনাঞ্চল, নদী, জলাশয় দখলকারীরা আর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পাবেন না, সরকারি ক্রয় খাত হবে স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত, সরকারি খাতে নিয়োগে দলীয়করণ আর থাকবে না, ঘুষ লেনদেনকে ‘স্পিড মানি’ হিসেবে বা ‘রয়ে–সয়ে ঘুষ আদায়’কে আর বৈধতা দেওয়ার প্রয়াস হবে না, যেমনটা আমাদের মন্ত্রীরা শুনিয়েছিলেন? কালোটাকাকে বৈধতা প্রদানের অসাংবিধানিক সুযোগ কি আসন্ন জাতীয় বাজেট থেকে শুরু করেই চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া যাবে?

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ ও গণমাধ্যমের সহায়তার ওপর যথার্থভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তাঁর এ অবস্থানে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের ত্রয়োদশ অনুচ্ছেদের প্রতিফলন ঘটেছে, যার অনুসরণে কনভেনশনের সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংগঠনসহ নাগরিক সমাজের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে অবাধ ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতের দায়িত্ব সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কার্যকর বাস্তবায়নের স্বার্থে বাক্স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সব আইন, বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত সব ধারার সংশোধন করে ঢেলে সাজানো অপরিহার্য।

স্বাধীনভাবে ও অবাধে মত ও তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গণমাধ্যম তথা সাধারণ জনগণ যত বেশি সোচ্চার ও সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পাবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জবাবদিহি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ তত বেশি ত্বরান্বিত হবে। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ নিয়ন্ত্রণের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনা সইবার সৎসাহসের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমালোচনার অবাধ সুযোগ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য যেমন মৌলিক অনুঘটক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার প্রত্যয়ের কার্যকর বাস্তবায়নেও তেমনি অপরিহার্য।

ইফতেখারুজ্জামান: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক