কেন স্তালিন এখনো জীবন্ত

রাশিয়ায় স্তালিনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
রাশিয়ায় স্তালিনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে

ইয়োসেফ স্তালিন মারা গেছেন ১৯৫৩ সালে। তারপর ৬৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তিনি ৩০ বছর ধরে যে দেশের শাসনকর্তা ছিলেন, সেই সোভিয়েত ইউনিয়নও বিলুপ্ত হয়েছে আজ থেকে ২৮ বছর আগে। পুঁজিবাদ–সমাজতন্ত্রের দ্বন্দ্বময় ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ থেকে মুক্ত পৃথিবী নতুন সহস্রাব্দে প্রবেশ করার পরেও প্রায় দুই দশক হতে চলল। কিন্তু স্তালিন বিস্মৃত বা অপ্রাসঙ্গিক হলেন না। তাঁকে নিয়ে আলোচনা ও তর্ক–বিতর্ক চলছে।

নতুন নতুন বই লেখা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে, তৈরি হচ্ছে নতুন চলচ্চিত্র ও নাটক। শুধু রাশিয়ায় নয়, পশ্চিমা দুনিয়ায়ও। এমনকি বাংলাদেশও তাঁর বিষয়ে নীরব থাকছে না।

স্তালিনকে নিয়ে ঢাকায় মঞ্চস্থ একটি নাটক বেশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। সে নাটকে স্তালিনকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা অনেক মানুষের কাছে ঠিক বলে মনে হয়নি। স্তালিনকে কদর্য ও দানবীয় রূপে উপস্থাপনে কেউ কেউ রুচির ঘাটতি দেখতে পেয়েছেন। অন্যদিকে কিছু মানুষ পছন্দও করেছেন, তবে তাঁদের সংখ্যা সম্ভবত কম। এই লেখক নাটকটির নেতিবাচক সমালোচনাই বেশি শুনেছেন, এবং বলা প্রয়োজন, লেখক নিজেও নাটকটিতে রুচিগত সমস্যা লক্ষ করেছেন।

এই নাটককে কেন্দ্র করে স্তালিনকে নিয়ে প্রথম আলোয় এ পর্যন্ত তিনটি উপসম্পাদকীয় ছাপা হয়েছে। তিন লেখক দুই পক্ষে বিভক্ত: একজন স্তালিনের নিন্দা করেছেন; দুজন তাঁর প্রশংসা করেছেন। পৃথিবীজুড়ে স্তালিন সম্পর্কে তর্ক–বিতর্কের এটাই প্রধান প্রবণতা। এক পক্ষের কাছে স্তালিন ভয়ংকর এক দানবের নাম, তিনি কয়েক কোটি মানুষকে হত্যা করেছেন। অন্য পক্ষের কাছে স্তালিন এক মহান রাষ্ট্রনায়কের নাম, তিনি পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নকে খুব শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন, পুঁজিতান্ত্রিক শিবিরের বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক শিবির গড়ে তুলেছিলেন এবং সর্বোপরি সোভিয়েত ইউনিয়নকে পৃথিবীর দুই পরাশক্তির একটিতে পরিণত করেছিলেন। তাঁর প্রশংসাকারীদের আরও একটা বক্তব্য হলো, তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্যাসিবাদের পরাজয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন।

কিন্তু এসবই অতীতের বিষয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ইতিহাসের পাতায় স্থান নিয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদ আগের সেই আকর্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। আজ পৃথিবীর কোনো দেশে সোশ্যালিস্ট বা কমিউনিস্ট পার্টি বিপুলসংখ্যক মানুষকে আকর্ষণ করতে পারছে না। ১৯২০–এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৮০–এর দশকের শেষ পর্যন্ত গোটা পৃথিবীর বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের একটা বড় অংশে, বিশেষত লেখক, কবি, শিল্পীদের মধ্যে বামপন্থার প্রতি যে পক্ষপাত ছিল, আজ আর তা নেই।

সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলয় ও সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের পতনের মধ্য দিয়ে পুঁজিতন্ত্র–সাম্যবাদের লড়াইয়ের মধ্যকার সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে, পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে—এ রকম বক্তব্যসংবলিত একটা বই লিখেছিলেন জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন লেখক ফ্রান্সিস ফুকুইয়ামা (দ্য এন্ড অব হিস্টরি অ্যান্ড দ্য লাস্ট ম্যান, ১৯৯২)। ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের চূড়ান্ত বিলয়ের মধ্য দিয়ে পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার যে বিজয় ঘোষিত হয়েছে, তা চূড়ান্ত কি না—এ কথা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না; তবে এটা বলা যায় যে রাজনৈতিক দর্শন কিংবা ভাবাদর্শ হিসেবে সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদ পুঁজিতন্ত্রের সামনে শত্রু হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকার সামর্থ্যই অনেকটা হারিয়ে ফেলেছে।

এ রকম বৈশ্বিক রাজনৈতিক–ভাবাদর্শিক পরিবেশে ইয়োসেফ স্তালিনের সমস্ত প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলার কথা; তাঁর স্থান হওয়ার কথা মৃত ইতিহাসের জরাজীর্ণ পাতায়। কিন্তু তা কেন হলো না? কেন স্তালিন ক্রমেই আরও জীবন্ত হয়ে উঠছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে আমরা তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ার বিষয়টা একনজর দেখে নিতে পারি।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার আগে তাঁর জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছিল। ১৯৮৫ সালে মিখাইল গর্বাচভ দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘গ্লাসনস্ত–পিরিস্ত্রোইকা’ নামে যে সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেন, তার অন্যতম দিক ছিল স্তালিনের সময়ের ভুলত্রুটি–অন্যায়–অপরাধগুলো তুলে ধরা। ‘কুল্ত লিচনাস্তি’ (ব্যক্তিত্ব–পূজা) ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত, লিখিত ও প্রচারিত শব্দবন্ধগুলোর অন্যতম। এসবের ফলে স্তালিনের জনপ্রিয়তা কমতে কমতে ১৯৮৯ সালে ১২ শতাংশে নেমেছিল। (স্মতর্ব্য, ওই বছর বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়, অবসান ঘটে স্নায়ুযুদ্ধের।)

কিন্তু তারপর থেকে স্তালিনের জনপ্রিয়তা আবার বাড়তে শুরু করে। কার্নেগি এনডাউমেন্ট নামের এক বেসরকারি আমেরিকান সংস্থার একটা অফিস আছে মস্কোতে। তারা প্রতিবছর স্তালিনের জনপ্রিয়তা নিয়ে রাশিয়া, জর্জিয়া, আরমেনিয়া ও আজারবাইজানে (এই দেশগুলো সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রজাতন্ত্র ছিল) জনমত সমীক্ষা করে। তারা জানাচ্ছে, ১৯৮৯ থেকে স্তালিনের জনপ্রিয়তা ১২ শতাংশ থেকে বাড়তে বাড়তে ২০১২ সালে ৩৮ শতাংশে ওঠে। ২০১৯ সালের জরিপে তারা দেখতে পাচ্ছে, স্তালিনের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে ৭০ শতাংশে উঠেছে। সংস্থাটির মস্কো অফিসের বিশ্লেষকদের বক্তব্য হলো, এই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোতে ‘ডি–স্টালিনাইজেশন’ তৎপরতা ভালোভাবে চালানো হয়নি। তাঁরা বলতে চান, স্তালিনের ‘অপরাধ’গুলোর কথা জনগণের মধ্যে ভালোভাবে প্রচার করা হলে তাঁর জনপ্রিয়তা এভাবে বাড়ার কথা ছিল না।

আমরা দেখেছি, প্রচারণা–তৎপরতার দ্বারা স্তালিনের জনপ্রিয়তা কমানো, এমনকি তাঁর প্রতি বিদ্বেষ বাড়ানো সম্ভব হয়েছিল গর্বাচভের সোভিয়েত আমলে। তাহলে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও প্রচারণা–তৎপরতা কার্যকর হওয়ার কথা। বস্তুত সেটা হচ্ছে: পুতিনের রাশিয়ায় স্তালিনের জনপ্রিয়তা বাড়ার এটা একটা কারণ। পুতিন নিজের প্রয়োজনে স্তালিনের জবরদস্ত ভাবমূর্তি ব্যবহার করছেন। রুশ জনগণের মধ্যে তিনি এই আশঙ্কা ভালোভাবে জাগাতে পেরেছেন যে, স্তালিনের মতো ‘লৌহমানব’ ছাড়া রাশিয়াকে পশ্চিমাদের হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। ওয়ারশ জোট ভেঙে দেওয়ার পর থেকে রাশিয়াকে ঘিরে ন্যাটো জোটের ক্রমসম্প্রসারণ প্রক্রিয়া যেভাবে চলেছে, তার ফলে ‘পশ্চিম আমাদের বন্ধু নয়’—রুশদের এই সাধারণ ধারণা ‘পশ্চিম আমাদের শত্রু’—এই বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। এবং ভ্লাদিমির পুতিন নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে রুশদের এই মনোভাব বেশ ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে, চলমান পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেভাবে ধনী–গরিব বৈষম্য বাড়ছে এবং ৯৯ শতাংশের সম্পদ ১ শতাংশের হাতে পুঞ্জীভূত হওয়ার বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে যেসব প্রতিবাদ উচ্চারিত হচ্ছে, তাতে গরিব সংখ্যাগুরুর দিক থেকে একটা চাপ হয়তো পুঁজিবাদ টের পায়। ফলে সমতা বা সাম্যের স্বপ্ন দেখায় এমন ভাবাদর্শকে একদম ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেওয়া যায় না বলে তাদের মনে হতে পারে। আর সাম্যের স্বপ্নকে আঘাত করার সবচেয়ে বড় কৌশল তো স্তালিনের দানবীয় চেহারাটা বারবার সামনে আনা।

সংক্ষেপে যা বলার কথা, তা হলো, স্তালিনের যখন মৃত ইতিহাসের পাতায় গবেষক–বিশ্লেষকদের মনোযোগের বিষয় হিসেবে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ার কথা ছিল, তখন তাঁকে জীবন্ত বিতর্কের বিষয় মনে হচ্ছে এই কারণে যে, কোনো পক্ষেই স্তালিনের রাজনৈতিক ব্যবহার শেষ হয়নি। বরং নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে। তাঁকে নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমা দুনিয়ায় যেসব বইপত্র লেখা হচ্ছে, সেগুলোর লেখকেরা দাবি করছেন যে তাঁরা স্তালিন সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য ব্যবহার করছেন আর্কাইভে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে। রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ তাদের আর্কাইভগুলো গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে; অনেক নতুন নথিপত্র নাকি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, স্তালিন সম্পর্কে মূল্যায়নের সেই মোটা ধারাটা বদলাচ্ছে না। ইতিহাস গবেষক ও লেখকেরা সেই মোটা দুটি ধারাতেই এখনো বিভক্ত হয়ে আছেন। উভয় পক্ষ নিজ নিজ পূর্ব ধারণাকে তথ্য–উপাত্ত দিয়ে জোরালো করার কাজে আর্কাইভের নথিপত্র ব্যবহার করছেন নিজেদের পছন্দমতো ও প্রয়োজন অনুযায়ী। নিজের পূর্ব ধারণাকে সমর্থন করে না, এমন প্রামাণ্য নথির কোনো উল্লেখই তাঁরা করছেন না। পশ্চিমা বিশ্বে অরল্যান্ডো ফিগসের মতো লেখকেরা ‘স্তালিন নিষ্ঠুর দানব ছিলেন’ এই পুরোনো অভিযোগটাই আরও জোরালো করতে আর্কাইভের নথিপত্র এবং স্তালিনের নিগ্রহের শিকার ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজনের সাক্ষ্য ব্যবহার করছেন। আবার রাশিয়ায় সেসবকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন—এমন লোকেরও অভাব হচ্ছে না। আজকের রাশিয়ায় কয়েকজন ইতিহাস–গবেষককে টিভি মাধ্যমে বেশ দেখা যাচ্ছে, যাঁরা স্তালিন সম্পর্কে এমন তথ্য–প্রমাণের কথা বলছেন, যেগুলো সত্য হলে স্তালিনবিরোধী প্রচারণায় খুব বেশি অতিরঞ্জন হয়েছে বলে মনে হবে।

ইতিহাসের রাজনৈতিক ব্যবহার যত দিন প্রবলভাবে চলে, তত দিন ইতিহাস বোঝার কাজটা অসম্ভব থেকে যায়। স্তালিনের নিন্দা ও প্রশংসায় মগ্ন থেকে তাঁকে ও তাঁর গড়ে তোলা ব্যবস্থাটাকে ঠিকভাবে বোঝা যাবে না। তাঁর বলপ্রয়োগভিত্তিক ব্যবস্থায় যে অনেক নিষ্ঠুর কাজ হয়েছে, তা নথিপত্রেই প্রমাণিত। আবার এটাও সত্য যে তাঁর অতিকায় দানবীয় ভাবমূর্তি প্রচারের চেষ্টা অত্যন্ত প্রবল। এ দুয়ের কোনোটাই কাজের কথা নয়। যাঁরা অন্যায়, অবিচার, শোষণ, বৈষম্য থেকে মানবসমাজের মুক্তি প্রত্যাশা করেন এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের একটা পন্থা হিসেবে যাঁরা সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং এখনো যাঁরা মনে করেন এটাই আপাতত সর্বোত্তম পন্থা, তাঁদের এখন চেষ্টা করা উচিত সোভিয়েত ইউনিয়নে ৭০ বছর ধরে যে মহাপরীক্ষা চলেছিল (এর মধ্যে ৩০ বছরই নেতৃত্ব ছিল স্তালিনের হাতে), তার প্রকৃত স্বরূপটা কী ছিল, কী কী ভুল হয়েছিল, কেন হয়েছিল, ওই ব্যবস্থার মধ্যে স্তালিনের মতো নেতা তৈরি হওয়া এবং শীর্ষ ক্ষমতায় যাওয়া কীভাবে সম্ভব হয়েছিল। সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদ একটা পশ্চিম ইউরোপীয় ধারণা; কিন্তু সেসব কোনো দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব না হয়ে কেন ইউরোপের একদম পুব প্রান্তের রাশিয়ায় হয়েছিল? ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি–মার্চে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাশিয়ায় যে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল, কেন তা টিকল না?

কেন ও কীভাবে অক্টোবর বিপ্লব হতে পারল, এবং সেই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, তা কেন ও কীভাবে দীর্ঘ সাত দশক ধরে টিকে থাকতে পেরেছিল এবং কেনই–বা মাত্র তিন বছরের মধ্যে ভেঙে পড়েছিল?

এখন আমাদের প্রয়োজন এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা। মনে বিদ্বেষ বা ভক্তি রেখে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না। আর যে কথাটা বিশেষভাবে বলা দরকার, তা হলো, সাবেক রুশ সাম্রাজ্য, তার ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রভোস্লাভ ধর্ম, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য, সর্বোপরি রুশদের মনের বিশেষ গড়ন বিবেচনায় না নিলে অক্টোবর বিপ্লব, সোভিয়েত ব্যবস্থা ও স্তালিনকে বোঝা প্রায় অসম্ভব। রুশরা নিজেরাই বলে স্তালিন একটা ধাঁধা (জাগাদ্কা)।

মশিউল আলম: প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক
[email protected]