সিলেটে রবীন্দ্রনাথের আগমনের শতবর্ষের স্মৃতি ও সাহিত্য

সিলেট ভ্রমণের সময় লিখিত কবিতার হস্তলিপি। সিলেটে গোবিন্দ নারায়ণ সিংহের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সৌজন্য: শ্রীযুক্তা মালতি সিংহ মজুমদার।
সিলেট ভ্রমণের সময় লিখিত কবিতার হস্তলিপি। সিলেটে গোবিন্দ নারায়ণ সিংহের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সৌজন্য: শ্রীযুক্তা মালতি সিংহ মজুমদার।

১৯১৯ সালের জুন মাসে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘স্যার’ উপাধি ত্যাগ করার চার মাস পর অক্টোবর মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা থেকে শিলং আসেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার একটি আমন্ত্রণ পান এবং তার জন্য শিলংয়ে কিছুটা প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন। এদিকে রবীন্দ্রনাথ শিলং এসেছেন শুনে সিলেটের ব্রাহ্মসমাজের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দনারায়ণ সিংহ মজুমদার, ‘আঞ্জুমানে ইসলাম’, শ্রিহট্ট মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন সিলেট আসার অনুরোধ জানিয়ে কবির কাছে তারবার্তা পাঠায়। সিলেট এম সি কলেজের এক শিক্ষকের পাঠানো তারবার্তা ছিল, ‘Sylhet desires India’s greatest son to honour her by his visit’. (ভারতের বরপুত্র শ্রীহট্ট ভ্রমণ করে তাকে গৌরবান্বিত করুন)। কবির অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি। তিনি সিলেটেই আসার সিদ্ধান্ত নিলেন।

শিলং তখন আসামের রাজধানী, কিন্তু আসামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর সিলেট। তখনো সিলেট-শিলং সড়ক তৈরি হয়নি। তাই শিলং থেকে সিলেট আসতে হলে চেরাপুঞ্জি ও থারিয়াঘাট হয়ে আসতে হতো । শিলং থেকে চেরাপুঞ্জি পর্যন্ত গাড়িতে এসে খাসিয়া পাহাড়ের নিচে নামতে হতো হেঁটে বা খাসিয়া শ্রমিকের মাথার সঙ্গে ফেটিবাঁধা বেতের চেয়ার ‘থাপা’য় বসে। মানুষের পিঠে চড়ে এই দুর্গম পথযাত্রা রবীন্দ্রনাথের পছন্দ হয়নি। তিনি ট্রেনে আসাম-বেঙ্গল রেলে গৌহাটি-লামডিং-বদরপুর-কুলাউড়া হয়ে বহু ঘুরপথে ৫ নভেম্বর ‘শ্রীহট্ট বাজার’ রেলস্টেশনে পৌঁছান। সঙ্গে পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী।

সিলেট রেলস্টেশনে বিশাল এক জনতা আতশবাজি পুড়িয়ে, তুমুল হর্ষধ্বনিসহ কবিকে অভ্যর্থনা জানায়। সুরমা নদীর উত্তর তীরে মূল শহর কিন্তু রেলস্টেশন দক্ষিণ তীরে। তখনো এই নদীর ওপর ‘কিনব্রিজ’ তৈরি হয়নি। তাই কবিকে নৌকায় নদী পার করা হয়। নৌকা যখন তীরে ভিড়ছিল, তখন নদীর তীরে দাঁড়ানো হাজারো মানুষের কণ্ঠে ধ্বনি ছিল, ‘রবীন্দ্রনাথ কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’, ‘আল্লাহ আকবর’!

নদী পার হওয়ার পর চাঁদনিঘাটে কবি ঘোড়ায় টানা পুষ্পসজ্জিত ফিটন গাড়িতে ওঠেন। গাড়িতে তাঁর পাশে বসেন সিলেটের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মৌলভি আবদুল করিম। তিনি কবির পূর্বপরিচিত ছিলেন। তাঁর লেখা ‘Islam’s Contribution in Science and Civilization’ বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

তা গাড়ি চলতে না চলতেই সেখানে জড়ো হওয়া ছাত্ররা ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে নিজেরাই কবির গাড়ি টেনে নিয়ে যান। রবীন্দ্রনাথ প্রথমে বুঝতে পারেননি কী ঘটছে। কিন্তু পরে বুঝতে পেরে আপত্তি জানান। কিন্তু তখন কে কথা শোনে!

ঘোড়া ছেড়ে দিয়ে ছাত্রদের এই গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়ার কাহিনি আমি প্রথম শুনি আমার কৈশোরে, আমার আশি-ছুঁই-ছুঁই পিতৃব্যের কাছে। ১৯১৯ সালে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র থাকার সময় কবির গাড়ি-টানা তরুণদের দলে তিনিও ছিলেন। একজন কবির প্রতি জাতি-ধর্মনির্বিশেষে তাঁর দেশের মানুষের আবেগময় শ্রদ্ধা প্রকাশের এই বর্ণনা সেই কিশোর বয়সেই আমাকে রোমাঞ্চিত, আবেগাপ্লুত করেছিল।


রবীন্দ্রনাথের সিলেট আগমন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্বে মুসলমানদের একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন আঞ্জুমানে ইসলামিয়ার সিলেট জেলার সভাপতি খান বাহাদুর সৈয়দ আবদুল মজিদ (কাপ্তান মিয়া)। রতনমনি লোকনাথ টাউন হলের বাইরে ৬ নভেম্বর সকালে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় কবির পরিচয় তুলে ধরে তিনি উর্দু ভাষায় বক্তৃতা করেন! রবীন্দ্রনাথও একটু সংশয়ে ছিলেন, আসামের এই শহরের লোকজন বাংলা বুঝবে কি না। তাই তিনি জানতে চেয়েছিলেন তিনি কোন ভাষায় বক্তৃতা দেবেন। তাঁকে বাংলাতেই বলতে অনুরোধ করা হয়।

কবি তিন দিন সিলেটে ছিলেন। ছিলেন শহরের নয়া সড়কে টিলার ওপর অবস্থিত প্রেসবাইটেরিয়ান পাদরি টমাস সাহেবের বাংলোয়। এ সময় তিনি তিনটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ব্রাহ্মমন্দিরে উপাসনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন, শহরের পূর্ব প্রান্তে মণিপুরিপল্লিতে যান, কিছু বিশিষ্ট ব্রাহ্ম ও হিন্দুর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন।

তখন সিলেট শহরে খান বাহাদুর সৈয়দ আবদুল মজিদ কিংবা মৌলভি আবদুল করিম অথবা এঁদের মতো উচ্চশিক্ষিত ও বিদগ্ধ ব্যক্তি ছাড়াও কয়েকজন দাপুটে সম্ভ্রান্ত মুসলমান জমিদার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ সিলেট আসার সময় তাঁরা ঘোড়ায় চড়ে গিয়েছিলেন কবিকে অভ্যর্থনা জানাতে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে কোনো মুসলমানের বাড়িতে নিমন্ত্রিত হতে দেখছি না, যদিও ব্রাহ্ম রবীন্দ্রনাথের মুসলমানের অন্নে অরুচি ছিল না। এতে বোঝা যায়, সে সময়ের হিন্দু-মুসমানদের মধ্যে হৃদ্যতার সম্পর্ক থাকলেও সামাজিক সম্পর্কে একটা অদৃশ্য দেয়াল ছিল।


কারুকাজময় বস্ত্র বুননে মণিপুরীদের দক্ষতা দেখে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হন। তাই তিনি মাছিমপুরে মণিপুরিপল্লি দেখতে যান। সেখানে মণিপুরি বালকেরা তাঁকে রাখাল নৃত্য দেখায়। রাতে পাদরি টমাসের বাংলোয় এসে মণিপুরি বালিকারা তাঁর জন্য মণিপুরি নৃত্য পরিবেশন করে। এই মণিপুরি নৃত্য কবি খুবই পছন্দ করেন।

শান্তিনিকেতনে ফেরার পর তিনি শান্তিনিকেতনে মণিপুরি নৃত্যচর্চা শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ত্রিপুরার একজন মণিপুরি নৃত্যশিল্পী বুদ্ধিমন্ত সিংহের খোলের বোলের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের বালকদের মণিপুরি নৃত্যশিক্ষা শুরু হয়। আসলে সেটি ছিল নৃত্য ও ব্যায়ামের এক সম্মিলিত রূপ। রবীন্দ্রনাথ সিলেটে মণিপুরি নৃত্যে দেখেছিলেন ‘graceful best form of physical exercise’. সম্ভবত এ কারণে এই নৃত্যের মাধ্যমে ব্যায়ামের ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। তবে নানা কারণে এই ব্যায়াম-নৃত্য বেশি দিন চলেনি।

পরবর্তীকালে ত্রিপুরার আরেকজন মণিপুরি নৃত্যশিল্পী নবকুমার সিংহকে মণিপুরি নাচ শেখানোর জন্য শান্তিনিকেতনে নিয়োগ করা হয়। ১৯২৬ সালে মণিপুরি ধারার নৃত্যসহযোগে ‘নটির পূজা’ নাটক অভিনীত হওয়ার মাধ্যমে রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীকালে আরও বিভিন্ন নৃত্যধারা যোগ হয়ে ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘শ্যামা’, ‘চণ্ডালিকা’র মতো অসাধারণ নৃত্যনাট্যগুলো তৈরি হয়। ‘চিত্রাঙ্গদা’র পটভূমি মণিপুর হওয়ায় এতে কেবল মণিপুরি সুর ও তালই ব্যবহৃত হয়নি, অভিনয় করার জন্যও আসাম থেকে একজন মণিপুরী নৃত্যশিল্পীকেও আনা হয়। ১৯৩৫ সালে শান্তিনিকেতনে মণিপুরি নৃত্যের শিক্ষক হন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরি নৃত্যশিক্ষক নীলেশ্বর মুখার্জি। তিনি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ‘চিত্রাঙ্গদা’সহ নানা নৃত্যনাট্যে অভিনয় করেন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শান্তিনিকেতনের ছাত্রী থাকার সময় নীলেশ্বর মুখার্জির ছাত্রী ছিলেন।


রবীন্দ্রনাথ যখন সিলেট আসেন জমিদার কবি হাসন রাজা তখনো জীবিত এবং বর্তমান সময়ের তুলনায় নিতান্তই অপরিচিত। এ সময়ের ১২ বছর আগেই তাঁর গানের বই ‘হাছন উদাস’ বেরিয়েছিল। সিলেট সফরের সময় ‘হাছন উদাস’-এর একটি কপি রবীন্দ্রনাথের হাতে আসে। ৬ বছর পর ১৯২৫ সালে ভারতীয় দর্শন সমতির সভাপতির অভিভাষণে এই ‘হাছন উদাস’ এর একটি গান উদ্ধৃত করে রবীন্দ্রনাথ বলেন,
‘পূর্ববঙ্গের এক গ্রাম্য কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্ত্ব পাই সেটি এই যে, ব্যক্তিস্বরূপের সহিত সম্বন্ধসূত্রেই বিশ্ব সত্য। তিনি গাহিলেন-
“মম আঁখি হইতে পয়দা আসমান জমিন
শরীরে করিল পয়দা শক্ত আর নরম
আর পয়দা করিয়াছে ঠান্ডা আর গরম
নাকে পয়দা করিয়াছে খুসবয় বদবয়।”
এই সাধক কবি দেখিতেছেন যে, শাশ্বত পুরুষ তাঁহারই ভিতর হইতে বাহির হইয়া তাঁহার নয়নপথে আবির্ভূত হইলেন......।’
১৯৩০ সালে 'The Religion of Man' শিরোনামে অক্সফোর্ডে দেওয়া ‘হিবার্ট লেকচার’-এ রবীন্দ্রনাথ একই বিষয়ের পুনরুল্লেখ করেন।

রবীন্দ্রনাথের এই স্বীকৃতি হাসন রাজাকে সিলেটের শিক্ষিত সমাজে এবং পরবর্তীকালে সারা বাংলায় পরিচিত ও স্বীকৃত হতে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। হাসন রাজার গানে দর্শনের যে তত্ত্বের কথা রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, বেশ কয়েক বছর পর রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আমি’ কবিতায় আমরা দর্শনের একই তত্ত্বের পরিচয় পাই-

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হলো সবুজ,
চুনি উঠল রাঙা হয়ে।
আমি চোখ মেললুম আকাশে,
জ্বলে উঠল আলো
পুবে পশ্চিমে।
গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম “সুন্দর”,
সুন্দর হলো সে।’


রবীন্দ্রনাথ সিলেট মুরারীচাঁদ কলেজের ছাত্রদের উদ্দেশে একটি বক্তৃতা করেছিলেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘আকাঙ্ক্ষা’। সেই বক্তৃতা কিশোর সৈয়দ মুজতবা আলীকে নাড়া দেয়। কিছুদিন পর তিনি কাউকে না জানিয়ে কবিকে একটা চিঠি লিখেন। চিঠিতে মুজতবার প্রশ্ন ছিল, ‘আকাঙ্ক্ষাকে উচ্চ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার?’ সিলেট থেকে ফেরার পথে রবীন্দ্রনাথ তখন আগরতলায় ছিলেন। কিছুদিন পর আগরতলা থেকে কবির নিজ হাতে লেখা চিঠির জবাব এল। রবীন্দ্রনাথের এই চিঠির জন্যই মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনে পড়তে যান।

১৯২১ সালে সৈয়দ মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনে যাওয়ার পর একদিন রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ও আরও কয়েক বালককে ‘সোনার তরী’ আবৃত্তি করতে বলেন। সবার আবৃত্তি শেষ হলে রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেন, ‘আলীর আবৃত্তিই সবচেয়ে ভালো, শুধু একটু কমলা লেবুর গন্ধ।’ সেই থেকে সিলেটিদের শুদ্ধ বাংলা বলার সময় যে সিলেটি টান থাকে তার নাম হয়েছে ‘কমলালেবুর গন্ধ’!

উচ্চারণে কমলালেবুর গন্ধ পছন্দ না হলেও সিলেটের ‘কমলা মধু’ রবীন্দ্রনাথের বিলক্ষণ পছন্দ ছিল। মৌমাছি কমলা ফুলের মধু নিয়ে যে মধু তৈরি করে তা-ই কমলা মধু। একবার মুজতবা আলী শান্তিনিকেতন থেকে সিলেট আসার আগে রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাঁর জন্য কিছু আনবেন কি না। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন কমলা মধুর কথা।

৭.
রবীন্দ্রনাথের সিলেট ভ্রমণের স্মারক গ্রন্থ, ১৯৪১ সালে প্রকাশিত, ‘কবি প্রণাম’-এ সিলেট সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের স্বহস্তে লিখিত এবং ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ স্বাক্ষরিত, কিন্তু তারিখবিহীন এই কবিতাটি পাওয়া যায় :
‘মমতাবিহীন কালস্রোতে
বাঙলার রাষ্ট্রসীমা হোতে
নির্বাসিতা তুমি
সুন্দরী শ্রীভূমি।
ভারতী আপন পুণ্যহাতে
বাঙালীর হৃদয়ের সাথে
বাণীমাল্য দিয়া
বাঁধে তব হিয়া।
সে বাঁধনে চিরদিন তরে তব কাছে
বাঙলার আশীর্বাদ গাঁথা হয়ে আছে।’
বহুল উদ্ধৃত এই কবিতাটি কীভাবে পাওয়া গেল, এ বিষয়ে ‘কবি প্রণাম’-এ কিছু বলা হয়নি। যদিও কেউ কেউ প্রমাণ ছাড়াই বলেছেন, এটি রবীন্দ্রনাথের সিলেট ভ্রমণের সময় লেখা! রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে বাঙালি হিন্দু-মুসলমান অধ্যুষিত সিলেট জেলা আসামের অন্তর্ভুক্ত থাকার বিষয় নিয়ে প্রায়ই কথাবার্তা হতো। সম্ভবত এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৩২ সালের পর কোনো একসময় এটি লেখা। কারণ রবীন্দ্রনাথ এখানে স্বাক্ষরের আগে ‘শ্রী’ লিখেননি। ১৯৩২ সাল পর্যন্ত তিনি নাম লিখতেন ‘শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’।

পাদটীকা: রবীন্দ্রনাথ শিলং থেকে পাহাড় বেয়ে সিলেট না এলেও এই যাত্রাটি সম্ভবত তার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর মনে হয়েছিল। তাই হয়তো তার ‘শেষের কবিতা’র নায়ক অমিত রায় শিলং থেকে পাহাড় বেয়ে নেমে হেঁটে সিলেট-শিলচরের ভেতর দিয়ে যেখানে খুশি চলে যেতে চেয়েছিল!

চৌধুরী মুফাদ আহমদ: প্রাবন্ধিক।
[email protected]

তথ্যসূত্র:
১। কবি প্রণাম - ১৯৪১ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত
২। রবীন্দ্র জীবনী (৩য় খণ্ড) প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
৩। আমাদের কালের কথা - সৈয়দ মুর্তাজা আলী
৪। আত্মকথা - সৈয়দ মোস্তফা আলী।
৫। মণিপুরি শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার এবং রবীন্দ্রনাথ -কুঙ্গ থাঙ । অন্য আলো, সিলেটে রবীন্দ্রনাথের আগমনের শতবর্ষ