সাভারকর নয়, আম্বেদকরই ভারতের প্রকৃত প্রেরণা

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের এমন তীব্রতা মোদি সরকার আশা করেনি। ছবি: রয়টার্স
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের এমন তীব্রতা মোদি সরকার আশা করেনি। ছবি: রয়টার্স

১৯৪৮, ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির এক বছর পর, প্রকাশিত দ্য অরিজিনস অব টোটালিটারিয়ানিজম গ্রন্থে হানাহ আরেন্ড আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, মতাদর্শ বা আইডিওলজি ও সন্ত্রাসের মধ্যে একটি নিকট সম্পর্ক রয়েছে। আজকের ভারতের দিকে তাকিয়ে তাঁর সে কথার সত্যতা নতুন করে প্রমাণিত হচ্ছে।

স্বৈরাচার মূলত একটি মতাদর্শ, যা প্রতিষ্ঠায় শাসকগোষ্ঠীর হাতিয়ার হলো একদিকে সন্ত্রাস, অন্যদিকে প্রচার বা প্রপাগান্ডা। এই প্রচার-প্রচারণার ফলে নাগরিক গোষ্ঠী সত্য-মিথ্যার প্রভেদ নির্ণয়ের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যেকোনো বিচারে যা ডাহা মিথ্যা, প্রপাগান্ডার শক্তিতে তা–ও একমাত্র সত্য হয়ে ওঠে। চল্লিশের দশকে আরেন্ড যখন এভাবে স্বৈরতন্ত্রের চরিত্র বিশ্লেষণ করছিলেন, তাঁর মাথায় ভারত-পাকিস্তান ছিল না, ছিল হিটলারের জার্মানি ও স্তালিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন। ইহুদি হওয়ার কারণে তাঁকে নিজ দেশ জার্মানি ছাড়তে হয়। এক যুগের বেশি সময় নিয়ে রচিত এই গ্রন্থে আরেন্ড জানালেন, স্বৈরাচার এক নতুন শাসনব্যবস্থা, যেখানে সব নিয়মনীতি ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলে এমন এক শাসনব্যবস্থার পত্তন করা হয়, যেখানে রাজনৈতিক দলের স্থান গ্রহণ করে গণ–আন্দোলন বা মাস মুভমেন্ট, শ্রেণির স্থান নেয় জনতা, সামরিক বাহিনীর বদলে পুলিশ হয়ে ওঠে শক্তির উৎস। ‘সত্য ঘটনা নয়, এমনকি বানানো ঘটনাও নয়, জনতার জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো যে শাসনব্যবস্থার অংশ হিসেবে তারা নিজেকে বিবেচনা করে, তার দৃঢ়তা।’

ভারত তার ইতিহাসের প্রথম ৬০ বছর ব্যয় করেছে নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ, বহুজাতিক ও বহুদলীয় জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠায়। আর শেষ ১৫ বছর ব্যয় হয়েছে গান্ধী-নেহরুর সেই মতাদর্শ বাতিল করে তার স্থানে এমন এক মতাদর্শ নির্মাণ, যার কেন্দ্রে রয়েছে ধর্মভিত্তিক নতুন আদর্শ। আর সেই আদর্শ প্রতিষ্ঠায় এখন ব্যবহৃত হচ্ছে সেই দুই পুরোনো হাতিয়ার—সন্ত্রাস ও প্রচার।

‘হিন্দু ভারত’ কার্যত একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প, যার শুরু হিন্দু মহাসভার নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের হাত ধরে। তাঁর স্বপ্ন ছিল এক ‘অখণ্ড ভারতের’, যেখানে থাকবে ‘এক ভগবান, এক রাষ্ট্র, এক লক্ষ্য, এক জাত, এক জীবন, এক ভাষা।’ আজ যাকে আমরা হিন্দুত্ব বলি, তার কেন্দ্রে রয়েছে এই অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন। এ হবে এমন এক ভারত, যা একই সঙ্গে জন্মভূমি ও পুণ্যভূমি, যার শাসনতন্ত্র লিখিত হবে ‘মনুস্মৃতি’র ভিত্তিতে। ভারতীয় হিন্দুদের চোখে বেদের পর সবচেয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এই মনুস্মৃতি। সাভারকর ঘোষণা করেছিলেন, মনুস্মৃতিই হলো ভারতের হিন্দুদের জন্য আইন, যা আগে ছিল, ভবিষ্যতেও হবে। পরিহাসের বিষয় হলো, মনুস্মৃতি অনুসারে হিন্দুদের বর্ণভিত্তিক জাতিভেদ অভ্রান্ত, তার ভাষ্যে অস্পৃশ্য শূদ্রদের একটাই কাজ, আর তা হলো উচ্চবর্ণীয় হিন্দুদের সেবা। মেয়েদের অবস্থাও তথৈবচ। ‘মেয়েরা, তা শিশু বয়সেই হোক অথবা বার্ধক্য; স্বাধীনভাবে কিছুই করবে না’—এই ছিল মনুস্মৃতির নির্দেশ।

গান্ধী ও নেহরু উভয়েই এই বর্ণভিত্তিক পুরুষ-নিয়ন্ত্রিত অনগ্রসর অখণ্ড ভারতের পরিবর্তে বহুজাতিক, বহুধর্মীয় সম-অধিকারভোগী বৈচিত্র্যময় ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘এক ভগবান এক রাষ্ট্র’ নীতির বদলে নেহরু ভারতীয় শাসনতন্ত্রে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ নীতি অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছিলেন। বি আর আম্বেদকর, যঁার নেতৃত্বে সেই শাসনতন্ত্র লিখিত হয়, তিনিও নাগরিকত্বের সঙ্গে ধর্মীয় পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তির বিরোধী ছিলেন। যাকে আমরা এখন ধর্মনিরপেক্ষতা বলি, আম্বেদকর তাকে বলেছিলেন ‘কমপোজিট কালচার’ বা বহু ধর্মভিত্তিক সংস্কৃতি। ধর্মভিত্তিক ভারতের বিরোধিতা করে তিনি বলেছিলেন, যদি কোনো দিন এই দেশে ‘হিন্দুরাজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটি হবে এক মহাবিপর্যয়।

সেই বিপর্যয় এখন ভারতের দ্বারপ্রান্তে। নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য নেহরু-গান্ধী-আম্বেদকর নয়, সাভারকরের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। অখণ্ড ভারতের এই স্বপ্নদ্রষ্টাকে ‘ভারতরত্ন’ খেতাব দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। গত নির্বাচনের ইশতেহারে বিজেপি লিখিতভাবে সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নাগরিক প্রতিবাদের কারণে সে কাজটি এখনো করে ওঠেননি মোদি। গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী বলেছেন, সাভারকরকে ভারতরত্ন পদক দেওয়ার অর্থ শুধু গান্ধীর নয়, স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রতিটি শহীদের স্মৃতির প্রতি চপেটাঘাত। ধর্মই যে তাদের চোখে একমাত্র ন্যায়সংগত আদর্শ—মোদি ও বিজেপি সে কথা কখনোই গোপন করেনি। মোদি যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি একাধারে জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক। ‘আমি হিন্দু হয়ে জন্মেছি এবং আমি দেশপ্রেমিক। এতে দোষের কী আছে?’ এই আপাতনিরীহ ঘোষণার মোদ্দা বার্তা হলো, ভারতের নাগরিকদের পরিচয় নির্ণীত হবে সে কোন ধর্ম পালন করে, তার ভিত্তিতে। আরও স্পষ্ট করে বললে, ভারত হবে হিন্দু রাষ্ট্র, যেখানে শুধু হিন্দুরাই ক্ষমতার ভোগীদার হবে, বাকি সবাই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক।

১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান। মোদি এখন সে পথেই হাঁটছেন, শশী থারুরের কথায়, তাঁর লক্ষ্য এক ‘হিন্দু পাকিস্তান’ নির্মাণ। কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত এলাকার মর্যাদা রদ ছিল সে প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি পদক্ষেপ। বাবরি মসজিদের স্থলে মন্দির নির্মাণ পরবর্তী পদক্ষেপ। এখন বহুধর্মীয় ভারতের কফিনে তিনি আরও একটি পেরেক ঠুকলেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস করে। এ আইন অনুসারে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নিগৃহীত সংখ্যালঘুদের স্বল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টানদের জন্য এই আইন প্রযোজ্য হলেও নিগৃহীত মুসলিম সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে এ আইন প্রযুক্ত হবে না। আইনটি আপাতভাবে নিরীহ, প্রতিবেশী বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে হিন্দুরা বৈষম্যের শিকার। তারা নিজ দেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এখন ‘মানবিক দায়িত্ববোধ’ থেকে ভারত সরকার তাদের শুধু আশ্রয় নয়, পূর্ণ নাগরিকত্বও দিতে আগ্রহী। লক্ষ করেছি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অনেকেই আইনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। কারণটি বোঝা কঠিন নয়, কিন্তু এই আইন যে আদতে গভীরভাবে সাম্প্রদায়িক, যে সাম্প্রদায়িকতার শিকার তাঁরা নিজে, সে সত্যটি অনুধাবনে ব্যর্থ হলে তাঁদের নৈতিক সততা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

এ কথা ঠিক, বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলিম তাদের সংখ্যালঘু প্রতিবেশীর সুরক্ষায় সফল হয়নি। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রে যখন ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা করার মাধ্যমে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হয়, তখন খুব কম মানুষই প্রতিবাদ করেছে। আর সংবিধানে রাষ্ট্রধর্মের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ। আশার কথা, ভারতে ঘটেছে ঠিক উল্টো। সংখ্যালঘু মুসলিমরা তো বটেই, সব ধর্মের মানুষই এ আইনের বিরোধিতা করেছে। এই প্রতিবাদের কারণে গত এক দশকে এই প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক বিপাকে পড়েছে মোদি সরকার।

মোদি দাবি করেছেন, নাগরিকত্ব আইনের লক্ষ্য মুসলিমরা নয়। কথাটা যে সত্যি নয়, তা স্পষ্ট হয় যখন মোদি সরকারের প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক তালিকার (ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব সিটিজেনস) উদ্যোগকে মিলিয়ে দেখি। এ উদ্যোগের লক্ষ্য ভারতের সব নাগরিকের একটি তালিকা তৈরি। সরকারি বক্তব্য অনুসারে, এই তালিকার মাধ্যমে ‘অবৈধ বহিরাগত’দের চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কার সম্ভব হবে। অবৈধ বহিরাগত বলতে মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিমদেরই বোঝানো হয়েছে। কারণ, মুসলিম ছাড়া অন্য সব ধর্মাবলম্বীর নাগরিকত্ব সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে নিশ্চিত করা হয়েছে। মোদির নিকটতম রাজনৈতিক মিত্র, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ খোলামেলাভাবেই বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা প্রত্যেক অবৈধ মুসলিমকে ঠেঙিয়ে বিদায় করা হবে। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি সারকার এক এক ঘুসপাথিয়ে কো চুন চুন কর মাতদাতা সুচি সে হাঠানে কা কাম কারেগি।’ ইতিমধ্যে আসামে এই পঞ্জি বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মাধ্যমে সেখানে ১৯ লাখ ভারতীয় নাগরিককে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোদি সরকার অবশ্য নিজের মানবিক চরিত্রের প্রমাণ হিসেবে সবাইকে আশ্বস্ত করেছে, ভয়ের কিছু নেই, তালিকার বাইরে যারা থাকবে, তাদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে’ রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

ভারতের মুসলিমরা সংগত কারণেই এই দুই আইন নিয়ে শঙ্কিত। প্রথমত, এখন তাদের ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের পরীক্ষা দিতে হবে, যদিও সহজ বাস্তবতা হচ্ছে বিপুলসংখ্যক ভারতীয়ের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কোনো নথিপত্র নেই। কে কবে জন্মসনদ সংগ্রহ করে তা সযত্নে তুলে রেখেছে? নথিপত্র নেই, অতএব তুমি বহিরাগত। ফলে ভারতের এক বিপুলসংখ্যক মুসলিম নাগরিক নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। তার চেয়েও বড় কথা, শুধু মুসলিম, এ কারণে তাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হবে, আর তার ভিত্তিতে শুধু নাগরিকত্ব নয়, সব সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রশ্নে তাদের অধিকার নির্ধারিত হবে। ঠিক একইভাবে ইহুদিদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল জার্মানিতে।

হানাহ আরেন্ড আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, শুধু ইহুদি হওয়ার কারণে লাখ লাখ জার্মান নাগরিককে ঠেলে পাঠানো হয়েছিল ‘কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে’, সেখান থেকে গ্যাস চেম্বারে।১৯৩৩ থেকে ১৯৩৫ সালের মধ্যে নাৎসি সরকার একাধিক আইন পাস করে, যার মাধ্যমে শুধু ইহুদি হওয়ার কারণে পূর্ব ইউরোপ থেকে আসা অসংখ্য জার্মান নাগরিককে বহিরাগত ঘোষণা করা হয়। এ আইনগুলো যৌথভাবে ‘ন্যুরেমবার্গ আইন’ নামে পরিচিত। এমন একটি আইনের নাম ছিল ‘জার্মান রক্ত ও সম্মান সংরক্ষণ আইন’, যার অধীনে ইহুদিদের কোনো আর্য জার্মানের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়। ‘রাইখ নাগরিকত্ব আইন’ নামের আরেকটি আইনের অধীনে ইহুদিদের সব রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। কোনো কোনো পেশায় তাদের চাকরির অধিকারও রদ করা হয়।

ভারতে মোদি সরকার মুখে বলছে না বটে, কিন্তু কার্যত একই ধরনের আইনের অনুকরণ করছে তারা। সাভারকর ঠিক এমন ‘এক ভগবান, এক জাতির’ হিন্দুরাজের কথাই ভেবেছিলেন। বিস্ময়ের কী আছে, মোদি সরকার তাঁকে ভারতরত্ন হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

আশার কথা, ভারতের এক উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ অখণ্ড হিন্দুরাজের স্বপ্নে শামিল হতে প্রস্তুত নয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, তাতে শুধু মুসলিমরা নয়, ভারতের সব ধর্মের মানুষই যুক্ত হয়েছে। নয়টি রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা নাগরিকত্ব আইন অথবা নাগরিক তালিকার কোনোটারই বাস্তবায়ন করবে না। প্রতিবাদের এমন তীব্রতা মোদি সরকার আশা করেনি। পুলিশ নামিয়ে, গুলি চালিয়ে নাগরিক প্রতিবাদ ঠেকানোর চেষ্টা চলছে বটে, কিন্তু প্রতিবাদের আগুন কেবল বেড়েই চলেছে।

ভারতের মানুষ সাভারকর নয়, আম্বেদকরকেই তাদের প্রেরণা হিসেবে বেছে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক ভারতের জন্য সেটি আশার খবর।

হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক