সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা কম

এম এ ফয়েজ।
এম এ ফয়েজ।

এম এ ফয়েজ মেডিসিনের অধ্যাপক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্বও পালন করেছেন। নভেল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি, সামর্থ্য ও দুর্বলতা বিষয়ে তিনি প্রথম আলোর মুখোমুখি হন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান

প্রথম আলো: নভেল করোনাভাইরাস রোধে সরকারের প্রস্তুতির কথা শুনছি; কিন্তু ধরুন ভাইরাস ঢুকে পড়ল, সেটা মোকাবিলায় বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?

এম এ ফয়েজ: আমাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘সন্দেহজনক নভেল করোনাভাইরাস’ সংক্রমণে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাবিষয়ক ঘোষিত নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। সার্স ও মার্সের প্রকোপের পরে এ ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত পাঁচটি কর্মকৌশলের নীতিমালা নির্দিষ্ট করা হয়েছে: দ্রুত শনাক্তকরণ ও উৎস নিয়ন্ত্রণ, সব রোগীর জন্য মানসম্মত আদর্শ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রয়োগ, সন্দেহজনক রোগীর জন্য পরীক্ষামূলক অতিরিক্ত প্রতিরোধব্যবস্থা সম্পাদন, প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশগত ও প্রকৌশলগত প্রতিরোধ।

 প্রথম আলো: এগুলো তো সরকার করবে। ব্যক্তিগতভাবে নাগরিকেরা কী করবে?

এম এ ফয়েজ: ওই নীতিমালাতেই নাগরিকের করণীয় নির্দিষ্ট আছে। শ্বসনসংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি উৎসাহিত করা প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কাশি বা হাঁচির সময় নাক-মুখ টিস্যু বা গোটানো কনুই দিয়ে ঢেকে রাখুন, হাঁচি–কাশি রোধ করার চেষ্টা করুন, শ্বসনসংক্রান্ত রসের সংস্পর্শের পর স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হাত ধুয়ে নিন। যথাযথভাবে হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম আলো: ভাইরাস বারবার হানা দিচ্ছে। এ ধরনের ভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসায় আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামো কতটা শক্তিশালী?

এম এ ফয়েজ: সংক্রামক ব্যাধি ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত ও নিষ্ঠাবান চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও বিভাগ থাকা দরকার। বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বর্তমানে যেটুকু যেখানে আছে, তাকে আরও শক্তিশালী করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। দেশে ১১০টির বেশি সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আছে। এখানে সীমিতভাবে সংক্রামক ব্যাধি বিষয়ে পড়ানো হয়, কিন্তু তাদের সংযুক্ত হাসপাতালে সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসার বিভাগ বা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা অপ্রতুল বা নেই বললেই চলে। প্রকৃতপক্ষে সংক্রামক ব্যাধিগুলো যথাযথভাবে শনাক্তকরণ এবং তার চিকিৎসায় সেভাবে কোনো বিশেষায়িত বিভাগ নেই, এমনকি বিএসএমএমইউতেও নেই।

প্রথম আলো: গত এক দশকে কিছুই কি গড়ে ওঠেনি?

এম এ ফয়েজ: অপ্রিয় হলেও এটা সত্য যে সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসাব্যবস্থায় আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতিতে কিছুটা দুর্বলতা রয়ে গেছে।

প্রথম আলো: স্বাধীনতার পরে কখনোই কি কোনো চেষ্টা বা উদ্যোগ নেওয়া হয়নি? স্বাধীনতার আগে কি ছিল?

এম এ ফয়েজ: বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে বর্তমান সরকার ফৌজদারহাটে বাংলাদেশের সংক্রামক ব্যাধিবিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিআইটিআইডি প্রতিষ্ঠা করে। পাকিস্তান আমলে যে সময়টায় কলেরা, চিকেন পক্স, স্মল পক্সসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটত, তখনকার পাঁচটি সরকারি মেডিকেল কলেজে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছিল। সেগুলোকেই বলতে পারেন সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসাব্যবস্থার পূর্বসূরি। তবে পাকিস্তান আমলে মহাখালীতে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন ছিল। সেটাই ছিল তৎকালে একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যা‍ ১৯৭২ সালে বন্ধ হয়ে যায়। সেই চত্বরেই ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ আছে।

প্রথম আলো: করোনাভাইরাস সংকট উতরানো গেলে হয়তো আমরা সব ভুলে যাব। এই বিষয়ে ইতিহাসটা আমরা আরেকটু জানতে চাই।

এম এ ফয়েজ: প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক নুরুল ইসলাম তাঁর ‘হিস্ট্রি অব আইপিজিএমআর’–এর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিএসএমএমইউ) ইতিহাস লিখে গেছেন। এ থেকে জানা যায়, ওই সময় ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মহাখালীতে বন্ধ করার একটা কারণ ছিল। পরিকল্পনা ছিল যে সংক্রামক ব্যাধিবিষয়ক বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমসহ সব ধরনের বিশেষায়িত চিকিৎসাব্যবস্থা আইপিজিএমআরে করা হবে, কিন্তু নানা কারণে তা আর কখনো গড়ে ওঠেনি। সে কারণে সংক্রামক ব্যাধি শনাক্তকরণ এবং বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা বিষয়ে একটি শূন্যতা তৈরি হয়, যার জের কিছুটা চলমান। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করেছেন। কারণ, তিনি ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) উদ্বোধন করেন। এখানেই সংক্রামক ব্যাধির জন্য বিশেষায়িত গবেষণাগার রয়েছে।

প্রথম আলো: এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক এম এ হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বুধবার আমাদের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ওই সংস্থার হাসপাতাল অংশ কার্যত আরও চার বছর পরে চালু হয়। ৩০ লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ টাকা গবেষণা খাতে। লোকবল সাকল্যে ১১ জন। এমনকি ছোট গবেষণাগারটি ফ্রান্সের অনুদান।

এম এ ফয়েজ: সে কারণেই বলেছি, এটি সংক্রামক ব্যাধিবিষয়ক দেশের একমাত্র বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট, এর উন্নয়নের বিরাট সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি চিকিৎসাসেবার অন্যান্য দিকে নজর দেন, তাহলে দেখবেন বিরাট উন্নতি ঘটেছে। একমাত্র মেডিসিনে ১৬ ধরনের স্বতন্ত্র বিভাগ বা ফ্যাসিলিটিজ (যেমন হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, স্নায়ু ইত্যাদি) দেখবেন, কিন্তু অনেক ধরনের সংক্রামক ব্যাধি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা এবং বারবার নতুন ধরনের সংক্রামক ব্যাধির আবির্ভাব ঘটছে। অথচ এসবের মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়। করোনাভাইরাস একটি গ্রুপের নাম। সার্স ও মার্সও ছিল করোনা। এবারেরটি ২০১৯-নভেল করোনাভাইরাস। এর কবল থেকে আমরা হয়তো রেহাই পাব, কিন্তু এ ধরনের নতুন সংক্রামক রোগ থাকবে, আরও আসতে পারে।

প্রথম আলো: ফৌজদারহাটে ২০১৭ সালে মিজেল–আক্রান্ত শতাধিক, ২০১৮ সালে হালিশহরের হেপাটাইটিস আক্রান্ত ৭৬ জন, সম্প্রতি পৌনে তিন শ ডেঙ্গু রোগী, খাদ্য বিষক্রিয়ার শিকার ২৮ পুলিশ চিকিৎসা পেল; কিন্তু তাদের ত্রিতল ভবনটি ১০ তলা করার প্রস্তাব দীর্ঘদিন ঝুলে রয়েছে।

এম এ ফয়েজ: আমি মনে করি, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে সুষম বা সামঞ্জস্যপূর্ণ করা প্রয়োজন। যেখানে এত দিন কম মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে বেশি মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবাণুঘটিত রোগের ল্যাবরেটরি পরীক্ষার ব্যবস্থাসহ পৃথক সংক্রামক ব্যাধি বিভাগ খোলা প্রয়োজন। যেমন মেডিকেল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থাকলেও সেটা মূলত বিষয়ে পড়ানোর জন্য, জীবাণুঘটিত রোগের ল্যাবরেটরি পরীক্ষার জন্য নয়।

প্রথম আলো: মেডিকেল কলেজগুলোর পাঠ্যক্রমে সংক্রামক ব্যাধির বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পায়?

এম এ ফয়েজ: আমি মনে করি, যতটুকু যা বর্তমানে পড়ানো হয়, তা যথেষ্ট নয়। সিলেবাসে ও বাস্তব প্রশিক্ষণে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: ফৌজদারহাট থেকে অধ্যাপক হাসান তথ্য দিলেন যে গত এক দশকে সাতটি নতুন সংক্রামক ব্যাধি বাংলাদেশে এসেছে। তো চিকিৎসকেরা কীভাবে যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছেন?

এম এ ফয়েজ: কিছুটা অনুমানের ভিত্তিতে। কারণ, মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব টেস্টের ব্যবস্থা ও ফল তো আমাদের হাতে সব সময় থাকে না। মেডিসিনের চিকিৎসক হিসেবে বলতে পারি, সংক্রামক ব্যাধি আলাদা একটি বিশেষায়িত বিষয় হিসেবে দেখা প্রয়োজন। নইলে সংক্রামক ব্যাধিগুলোর, ডেঙ্গু বা করোনার মতো দুর্যোগে অনুমাননির্ভর চিকিৎসা প্রদানের চলতি ধারা থেকে আমরা বের হতে পারব না।

প্রথম আলো: গত এক দশকে স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের যেসব দাবি উঠেছে, আপনারা বিশেষজ্ঞরা যাঁরা তুলেছেন, তার প্রতি সরকারের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

এম এ ফয়েজ: এই বিষয়ে কখনো সুনির্দিষ্ট ও সুচিন্তিত দাবি তোলা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এটা আমাদের স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি নির্ধারণে একটা বড় দুর্বলতা। সুতরাং এখন করোনাভাইরাস নিয়ে যে বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এখন সরকারের এই বিষয়ে বিশেষ নজর ও আগ্রহ রয়েছে। বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে সংক্রামক ব্যাধি নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল ও স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করার পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের সব থেকে যেটা বেশি উপলব্ধিতে নিতে হবে, সেটা হলো ভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণুবিরোধী সামর্থ্য বাড়াতে হবে। এটা থাকা বাঞ্ছনীয়। মনে রাখতে হবে, পক্স কিংবা ডায়রিয়ার মতো সংক্রমণের শিকার আগে গরিবেরাই হতো। এখন কিন্তু সেটা নয়। আরও মনে রাখতে হবে, সংক্রামক ব্যাধি কখনো শেষ হবে না। এর হুমকি সব সময় থেকে যাবে। আবার নতুন একটা ভাইরাস যে আসবে না, সেটা কেউ বলতে পারে না। ৫০টির অধিক জীবাণুর আপনি নাম পাবেন, যেগুলো নিয়ন্ত্রণ দুরূহ। সুতরাং বাংলাদেশের প্রয়োজন হবে অত্যাধুনিক এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে রোগ শনাক্ত করার ব্যবস্থা রাখা। সংক্রামক রোগ নির্ণয় করতে হলে জীবাণু শনাক্ত করতে হবে। আর সে জন্য মাইক্রোবায়োলজিস্টদের কর্মক্ষেত্র বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিরোধে এগিয়েছি, কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা সংক্রামক রোগ নির্ণয়ে ও চিকিৎসায় কিছুটা পিছিয়ে আছি। আমরা কিন্তু কেবল সর্বজনীন চিকিৎসাসেবা নয়, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) গুণগত চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলেছি। তাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে সংক্রামক ব্যাধি অধ্যয়ন, নির্ণয় ও চিকিৎসা তিনটিই পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: উহানে কেন নভেল করোনার বিস্তার ঘটল বলে আপনি মনে করেন? করোনা নাম দিয়ে তিনটি ভাইরাস এল?

এম এ ফয়েজ: উহানে বেচাকেনা হয় জীবিত বন্য প্রাণী। সার্স ও মার্সের মতো এটাও প্রাণী থেকে আসছে বলে ধারণা। নভেল করোনাভাইরাসের জিনগত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, আশি ভাগই বাদুড়ের করোনাভাইরাসের সঙ্গে মিলে যায়। তাই সন্দেহ করা হয়, বাদুড়ই উৎস হতে পারে। তবে মানুষ ও বাদুড়ের মাঝখানে অন্য প্রাণীও থাকতে পারে। উল্লিখিত তিনটি ছাড়াও করোনা নাম দিয়ে আরও চারটি ভাইরাস আছে, সেগুলো সাধারণত ফ্লু করে। সার্সে ১০ ভাগ ও মার্সে ৩৫ ভাগ রোগী মারা গিয়েছিল। সার্সের পরে ২০১৯-নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারি হলো। এখন পর্যন্ত এ নতুন রোগে মৃত্যুর হার শতকরা ২ ভাগ।

প্রথম আলো: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের অধ্যাপক রোবেদ আমিন বললেন, বিশ্বের সর্বত্র সংক্রামক ব্যাধি থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইনফেকশাস ডিজিজ স্পেশালিস্টরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, কিন্তু আপনিসহ মাত্র পাঁচ–ছয়জন আছেন, যাঁরা অতীতের মতো এবারও সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ থাকা অর্থে ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়ে প্রকৃত কোনো স্পেশালিস্ট নেই। আপনি একমত?

এম এ ফয়েজ: আমি মোটামুটি একমত। আমার জানামতে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ওপরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ছয়জন এমডি ও একজন ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়ে মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে এফসিপিএস করেছেন। বাংলাদেশের কোনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিংবা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়ে কোনো শিক্ষক বা কনসালট্যান্টের পদ নেই।

প্রথম আলো: সোয়াইন ফ্লু বা বার্ড ফ্লুর সময়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন সরকারকে একটি গাইডলাইন করে দিয়েছিল। অধ্যাপক রোবেদই জানালেন, তিনি আপনার পরামর্শক্রমেই দিনরাত খেটে ওই সময়ে খসড়া তৈরি করেছিলেন। এবারও করোনার পরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনিই যুক্ত থেকে একটি ইনটেরিম গাইডেন্স করেছেন। সেই বিষয়ে আপনার কী মত?

এম এ ফয়েজ: আমি এটি দেখেছি এবং সেটিকে নির্ভরযোগ্য বলেই মনে করি। তবে সংক্রমণ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

এম এ ফয়েজ: ধন্যবাদ।