গণতন্ত্র: পতনের শেষ কোথায়?

পতনেরও শেষ থাকে, কিন্তু গণতন্ত্রের পতনের যেন শেষ নেই। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সবচেয়ে সাম্প্রতিক সূচক বলছে, গণতন্ত্রের মান আরও নিচে নেমেছে। গত ২২ জানুয়ারি তারা ২০১৯ সালের গণতন্ত্রের অবস্থা কী ছিল, তা নিয়ে একটি বার্ষিক সূচক প্রকাশ করেছে। ২০১৮ সালে বিশ্ব গণতন্ত্রের গড় স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৪৮। ২০১৯ সালে তা নেমে ৫ দশমিক ৪৪ হয়েছে। ১৬৭টি দেশকে গণতন্ত্রের এই হিসাব-নিকাশের মধ্যে রাখা হয়েছিল। ইআইইউ ২০০৬ সাল থেকে গণতন্ত্রের সূচক প্রকাশ করা শুরু করেছে। সেই তখন থেকে ধারাবাহিকভাবে নামতে নামতে গণতন্ত্রের শরীর-স্বাস্থ্য এখন সবচেয়ে শোচনীয়।

টানা ১৪ বছর ধরে যদি কোথাও ক্ষয় ঘটতে থাকে, তবে তার টিকে থাকাই দায়। কিন্তু ঠিক দিন-ক্ষণ ধরে তো আর গণতন্ত্র বা কোনো ব্যবস্থার বিলোপ বা মৃত্যু ঘটে না। ফলে ধুঁকতে ধুঁকতে হলেও গণতন্ত্র টিকে আছে। কিন্তু ক্ষয়ের এই ধারা যদি চলতেই থাকে, তবে এর শেষ পরিণতি কী? ক্ষয়ের শেষ পরিণতি তো নিঃশেষ। গণতন্ত্র কি শেষ পর্যন্ত মারা পড়বে নাকি ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ আছে?

ল্যারি ডায়মন্ড যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। গণতন্ত্র নিয়ে তিনি অন্তত ডজনখানেক বই লেখা অথবা সম্পাদনার কাজ করেছেন। গণতন্ত্র বিষয়ে তাঁকে একজন অথরিটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। গণতন্ত্র নিয়ে তাঁর সম্প্রতি প্রকাশিত ও আলোচিত বইয়ের শিরোনাম, ইল উইন্ডস: সেইভিং ডেমোক্রেসি ফ্রম রাশিয়ান রেজ, চায়নিজ অ্যাম্বিশন, অ্যান্ড আমেরিকান কমপ্ল্যাসেন্সি। (Ill Winds: Saving democracy from Russian rage, Chinese ambition, And American complacency) বইটিতে বিশ্বের ‘গণতান্ত্রিক মন্দা’ দশায় উদ্বিগ্ন ডায়মন্ড লিখেছেন, ‘আমরা ক্রান্তিকালে রয়েছি, এমন বলা খুব ক্লিশে শোনায়। কিন্তু এটাই বাস্তবতা।’ তিনি মনে করেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাঁর আশঙ্কা, ‘আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে হারাতে পারি।’

গণতন্ত্রকে হারানোর ভয় কেন?
নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে ল্যারি ডায়মন্ড তাঁর বইয়ে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র দুই দিক থেকেই হুমকির মুখে। একদিকে দেশের ভেতরে গণতন্ত্রের ক্ষয় হচ্ছে, আর বাইরে থেকে গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হিসেবে হাজির আছে চীন ও রাশিয়া।

ডায়মন্ড লিখেছেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের ওপর ক্রমাগত আক্রমণের ঘটনা ঘটছে, যা গণতান্ত্রিক সমাজের সামাজিক শৃঙ্খলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জনগণ মনে করতে শুরু করেছে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাদের চাহিদাগুলোকে পূরণ করতে পারছে না। ফলে গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা কমছে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন চীন ও রাশিয়ার মতো কর্তৃত্ববাদী শক্তিগুলো নতুন নতুন প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে গণতান্ত্রিক সমাজগুলোর মধ্যে প্রবেশ করছে। এবং এর মধ্য দিয়ে তারা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর ভেতরে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। চীন ও রাশিয়ার এ ধরনের হস্তক্ষেপের ফলে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে উদারনৈতিকদের প্রভাব কমে আসছে।

সাধারণভাবেই এটা দেখা যাচ্ছে যে বিশ্বের সব অঞ্চলেই রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে গণতন্ত্র কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। স্বৈরশাসকেরা তাঁদের কর্তৃত্ব জোরদার করছে আর গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো হয়ে পড়ছে রক্ষণাত্মক। প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি ও স্বাধীন চিন্তা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। উন্নত গণতন্ত্রে মেরুকরণ বাড়ছে, বাড়ছে অসহিষ্ণুতা। উদীয়মান গণতান্ত্রিক দেশগুলো দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে। নির্বাচনী ব্যবস্থায় কারসাজিসহ নানা প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীনেরা ক্ষমতা ধরে রাখছে। ফলে সরকারগুলো ভুগছে বৈধতার সংকটে। একই সঙ্গে বিশ্বরাজনীতির নানা প্রভাব ও বাইরের বিভিন্ন হুমকিও এসব দেশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে কর্তৃত্ববাদী নেতারা নিজ দেশে যেমন নিপীড়ন বাড়াচ্ছেন, তেমনি বিশ্বরাজনীতিতেও আগ্রাসী হয়ে উঠছেন। তাঁরা নিজেরা এটা ভালোভাবেই বুঝে গেছেন যে হাওয়া তাঁদের পক্ষে রয়েছে। ফলে সবকিছু মিলিয়ে গণতন্ত্র তার কার্যকারিতা হারাতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রের বিপরীতে এমন উল্টোমুখী স্রোতই ল্যারি ডায়মন্ডের উদ্বেগের কারণ। গণতন্ত্রকে ‘হারিয়ে ফেলার’ ভয়ও সে কারণেই।

হাওয়া এখন কর্তৃত্ববাদের পক্ষে
বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় কর্তৃত্ববাদ নতুন চল হিসেবে হাজির হয়েছে। বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক দেশ ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদের দিকে ঝুঁকছে। হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা, মিসর, ফিলিপাইন—এমন অনেক দেশের নাম বলা যাবে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এসব দেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে।

সারা দুনিয়াতেই কর্তৃত্ববাদের প্রতি সমর্থন ধারাবাহিকভাবে ও জোরালোভাবে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৮ ভাগ মানুষ এখন দেশটিতে সামরিক শাসনের পক্ষে। ১৯৯৫ সালে মাত্র ৮ ভাগ লোকের এর প্রতি সমর্থন ছিল। অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চরমপন্থী দলগুলোর ভোটের অংশীদারত্ব বাড়ছে। পশ্চিম ইউরোপে ডানপন্থীরা শক্তিশালী হচ্ছে।

শীতল যুদ্ধের অবসানের পর যে গণতন্ত্রের ব্যাপারে আশাবাদের জন্ম নিয়েছিল, কর্তৃত্ববাদের উত্থান তাকে হতাশায় পরিণত করেছে। এই কর্তৃত্ববাদ শুধু নিজেদের দেশেই তাদের কর্তৃত্ব জোরদার করছে না। বরং বিশ্বজুড়ে উদারনৈতিক রাজনৈতিক বিশ্বব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলছে। নতুন প্রযুক্তি ও নতুন অর্থনৈতিক বাস্তবতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা নিজেদের জনগণের ওপর নজরদারি কঠোর করতে পারছে। আগে যা কল্পনাই করা যেত না। শুধু তা-ই নয়, এই প্রযুক্তি তাঁরা সমমনা দেশগুলোতে রপ্তানি করছে। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হানা দিতে ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারছে।

বড় হুমকি চীন ও রাশিয়া?
ল্যারি ডায়মন্ড তাঁর বইয়ে গণতন্ত্রের বর্তমান দুর্দশার পেছনে চীন ও রাশিয়ার ভূমিকার কথা জোরের সঙ্গে বলেছেন। এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য দেশ দুটি কত বড় বিপদ হিসেবে হাজির আছে, তা তুলে ধরেছেন। আমরা দেখছি, চীন পুঁজিবাদ ও কর্তৃত্ববাদ মিলিয়ে শাসনব্যবস্থার একটি মডেল দাঁড় করিয়েছে এবং এই মডেলটিকে একটি ব্র্যান্ডে পরিণত করতে পেরেছে। পুরোনো সোভিয়েত মডেলের চেয়ে এই মডেল যে বেশি টেকসই ও গতিশীল, সেটা অনেকটাই প্রমাণিত। চীন যেহেতু অর্থনৈতিকভাবে সফল একটি দেশ, তাই বাণিজ্যিক অংশীদার অন্যান্য দেশের ওপর সহজেই কর্তৃত্ব করতে পারছে।

মস্কো ও বেইজিংয়ের ভূরাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা এবং বর্তমান অনুকূল পরিস্থিতি দুই দেশকে একই পথ ও লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শীতল যুদ্ধের সময়ের কমিউনিস্টরা তাদের আদর্শ দেশে দেশে ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী ছিল। সেই আদর্শের বিষয়টি এখন আর নেই। কিন্তু নিজেদের প্রভাব বিস্তারের যে চেষ্টা দেশ দুটি করে যাচ্ছে, তাকে কোনোভাবেই আগের চেয়ে কম বলা যাবে না। এই দেশ দুটির শাসকেরা ক্ষমতার ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার চেষ্টা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার এ বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা দেশের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব করতে গিয়ে গণতান্ত্রিক নিয়ম-নীতি, প্রতিষ্ঠান ও আচার-আচরণকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে।

চীন রাশিয়ার অর্থের জোর
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের চাওয়া সম্ভবত গণতন্ত্র ও উদারনৈতিক আদর্শের ব্যাপারে পশ্চিমের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেওয়া। আর চীনের চেষ্টার মূলে আছে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে তাদের কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্বের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা। এসব কাজে দেশ দুটি অর্থ ঢেলে যাচ্ছে। পশ্চিমের খোলামেলা নীতির সুযোগ রাশিয়া নিয়েছে এবং নিচ্ছে। লন্ডন ও নিউইয়র্কের অনেক ল ফার্ম ও আবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে রাশিয়া অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলতে পেরেছে। দেদার অর্থ ঢেলে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক এলিটদের কিনে ফেলেছেন। ডায়মন্ড লিখেছেন, ক্লিপটোক্রেসি হচ্ছে ক্যানসারের মতো, যা আমাদের গণতন্ত্রের মূল অঙ্গগুলোকে খেয়ে ফেলছে।

চীন কাজটি করছে আরও সূক্ষ্মভাবে। কিন্তু তাদের প্রভাব আরও ব্যাপক। ডায়মন্ড মনে করেন, চীন পশ্চিমা ধারার গণতন্ত্রকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে। বাইরের দুনিয়ায় প্রপাগান্ডা চালানোর জন্য বেইজিং এখন বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র যে অর্থ খরচ করে, এটা তার পাঁচ গুণ। চীনের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা বাজেট এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড়। সব কটি মহাদেশ মিলিয়ে বিশ্বে কনফুসিয়াস সেন্টারের সংখ্যা এখন ৫২৫। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এখন বিশ্বের চতুর্থ সংবাদ সংস্থা। বিশ্বে এর ব্যুরোর সংখ্যা এখন ১৮০। সবকিছু ছাড়িয়ে রয়েছে ট্রিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। আজকের ডলারের মূল্যমানে বিচার করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল পরিকল্পনার ১০ গুণ।

আকর্ষণীয়, মুগ্ধ ও প্রলুব্ধ করার যে শক্তির ওপর পশ্চিমা গণতন্ত্র দাঁড়িয়ে আছে এবং যার ওপর ভিত্তি করে পশ্চিম শাসন করত, সেখানে ধস নেমেছে। ডায়মন্ডের ভাষায় পশ্চিমা গণতন্ত্রের এই শক্তি হচ্ছে ‘সফট পাওয়ার’। এর বিপরীতে ধারালো শক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে চীন ও রাশিয়া। অর্থ, দুর্নীতি ও ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে তারা পশ্চিমা গণতন্ত্রের আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে দিচ্ছে।

ট্রাম্পের দায়
গণতন্ত্রের মান যে নামছে, তার উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের বিজয়কে তুলে ধরা হয়। এখানে জরুরি প্রশ্নটি হচ্ছে, গণতন্ত্র দুর্বল হওয়ার কারণে ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছেন নাকি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় গণতন্ত্রের মান নেমেছে। এর দুটিই আসলে সত্য। গণতন্ত্রের বিশ্ব সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের মান এক দশক ধরেই নামছিল। ২০০৮ সালে ওবামা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গণতন্ত্রের সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল ১৮ নম্বরে। ওবামা যখন ক্ষমতা ছাড়েন তখন যুক্তরাষ্ট্র ২০ নম্বরে নেমে গেছে। ট্রাম্পের জমানায় তা আরও নেমেছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২৫ নম্বরে। ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প আবার জিততে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র কোথায় নামবে, কে জানে!

দায়িত্ব নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেই?
এই অবস্থা সামাল দেওয়ার পথ কী? অথবা ‘গণতন্ত্রকে হারানোর’ ঝুঁকি মোকাবিলার কোনো পথ আছে কি? ডায়মন্ড মনে করেন, ঠিক যুদ্ধ ঘোষণার মতো না হলেও বিশ্ব গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ডায়মন্ডের বইটির একটি রিভিউ করেছেন ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এর ন্যাশনাল এডিটর এডওয়ার্ড লুস। ডায়মন্ডের এই মন্তব্যের সূত্র ধরে তিনি তাঁর লেখা শেষ করেছেন এভাবে—‘হায়! এমন কিছুর জন্য আমাদের নতুন একটি প্রশাসনের অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট স্বৈরশাসকদের জন্য বিশ্বকে নিরাপদ করার কাজে খুবই ব্যস্ত আছেন।’

চীন ও রাশিয়া মাঠে আছে। ট্রাম্প আগামী নির্বাচনেও জিতবেন—এখন পর্যন্ত ভবিষ্যদ্বাণী সে রকমই। গণতন্ত্রের আরও পতন কেউ ঠেকাতে পারবে বলে মনে হয় না।

এ কে এম জাকারিয়া: প্রথম আলোর উপসম্পাদক
[email protected]