১ মার্চেই পাকিস্তানের মৃত্যুঘণ্টা বেজে যায়

১৯৭১ সালের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত রাখার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সভা শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিল। ছবি: রশীদ তালুকদার
১৯৭১ সালের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত রাখার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সভা শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিল। ছবি: রশীদ তালুকদার

আজ পয়লা মার্চ। দিনটি কেন শিরোনাম হবে, তার খুব বেশি ব্যাখ্যা দেওয়ার দরকার নেই। তবু তার শানে নজুল বর্ণনা করছি।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান শুরু হয়েছে একটি ‘প্রস্তাবনা’ দিয়ে। এর প্রথম বাক্যটি হলো, ‘আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখ স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করিয়াছি।’

যাঁরা সংবিধান লিখেছিলেন তাঁরা জানতেন, ২৬ মার্চ হঠাৎ করে আসেনি। এর একটি প্রেক্ষাপট আছে। কিন্তু প্রস্তাবনার এই অংশের কিছু শব্দ বদলে গিয়েছিল। প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর ‘দ্বিতীয় ফরমান’ অধ্যাদেশ জারি করে প্রস্তাবনার ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম’ অংশটুকু বদলে ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক যুদ্ধ’ বসিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে কথাগুলোর অন্তর্নিহিত সুর গিয়েছিল পাল্টে। এতে মনে হতো, ২৬ মার্চ হুট করে একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। ‘আসুন, আমরা যুদ্ধ শুরু করে দিই’—বিষয়টি তো এমন নয়। শুরুর আগে তো রাজনৈতিক-মানসিক প্রস্তুতি লাগে, রূপকল্পের দরকার হয়।

যাহোক, সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ওই অংশটুকু আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। ‘মুক্তি’ শব্দটি আবারও স্বমহিমায় ঠাঁই পেয়েছে।

এটি বলার অপেক্ষা রাখে না, সংবিধানের প্রথম বাক্যটির মধ্যে গভীর ব্যঞ্জনা আছে। দুটি বিষয় এখানে স্পষ্ট। এক. ২৬ মার্চের আছে একটি দীর্ঘ প্রস্তুতিপর্ব, আছে ধারাবাহিক সংগ্রামের ইতিহাস, একটি জাতিগোষ্ঠীর জেগে ওঠার গল্প। দুই. স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশের জনগণ, ‘আমরা’। জনগণ অবশ্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি। আমরা এখন ফ্ল্যাশব্যাক ওই সময়টিতে ফিরে যেতে পারি।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে পেয়েছিল একচেটিয়া জয় এবং সারা পাকিস্তানে পেয়েছিল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। নির্বাচনের ফলাফলে পাকিস্তানের দুই অংশে যে স্পষ্ট মেরুকরণ দেখা গেল, তারপর তাদের আর একসঙ্গে বসবাসের কোনো সুযোগ ছিল না।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন বাঙালি জনগোষ্ঠীর একমাত্র মুখপাত্র। নির্বাচনে পাওয়া এই ম্যান্ডেট তাঁকে করেছিল আরও আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী। তিনি ছয় দফার ভিত্তিতে পাকিস্তানের সংবিধান তৈরির ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানভিত্তিক শাসকগোষ্ঠীর চোখে ছয় দফা নিছক একটি ফেডারেল পদ্ধতির কাঠামো ছিল না। তাঁরা এটাকে পাকিস্তান ভাঙার একটি কনফেডারেশনের ছক হিসেবে দেখলেন এবং আতঙ্কিত হলেন। একাত্তর সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ঢাকায় শেখ মুজিবের সংলাপ সফল হয়নি, যদিও ওপরে ওপরে তাঁরা ছিলেন হাসিমুখে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধান নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। পাকিস্তান যে ভাঙছে এটা মুজিব, ইয়াহিয়া, ভুট্টো—তিনজনই বুঝতে পেরেছিলেন। প্রশ্ন ছিল, ভাঙার দায় নেবেন কে?

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত এড়িয়ে একটা ফয়সালা। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণ ও সামরিক বাহিনীর কাছে মুখ রক্ষার জন্য সংঘাতের পথে যাওয়া ছাড়া ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর কাছে কোনো বিকল্প ছিল না। শেখ মুজিবের দাবির মুখে ইয়াহিয়া ১৩ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দেন, ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে ৩ মার্চ। বাঙালির অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতে চলল। কিন্তু ইয়াহিয়া-ভুট্টো চক্র বাঙালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে নিয়ে ফেলেছে। পয়লা মার্চ বেলা একটায় রেডিওতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হলো। রেকর্ডকৃত ঘোষণাটি প্রেসিডেন্টের নামে পাঠ করা হলেও প্রেসিডেন্ট এতে কণ্ঠ দেননি। ঘোষণায় বলা হলো, ‘বিগত কয়েক সপ্তাহে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমাকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পরিবর্তে আমাদের কোনো কোনো নেতা অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন। এটি দুর্ভাগ্যজনক। পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক মোকাবিলা একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।...সংবিধান তৈরির ব্যাপারে যুক্তিসংগত সমঝোতায় পৌঁছার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের আরও কিছু সময় দেওয়া উচিত। এ সময় দেওয়ার পর আমি একান্তভাবে আশা করি যে তাঁরা একে কাজে লাগাবেন এবং সমস্যার একটা সমাধান বের করবেন।’

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরে বাংলাদেশের উপকূলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। তখন অবহেলার কারণে একধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি হয়েছিল। ঢাকায় মার্কিন কনস্যুলেটের প্রধান আর্চার ব্লাড ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো এক বার্তায় বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আগে পাকিস্তানের ঐক্য বজায় থাকার সম্ভাবনা ছিল ৫০:৫০।নির্বাচনেরপর এ সম্ভাবনা ঐক্যের বিরুদ্ধে ৭৫: ২৫ অনুপাতে হেলে পড়ে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর ঐক্যের সম্ভাবনা এখন ০: ১০০।’

তাজউদ্দীন আহমদকে সঙ্গে নিয়ে শেখ মুজিব রেডিওতে বেলা দুইটার সংবাদ বুলেটিনে অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা শুনলেন। অবশ্য ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে তথ্যটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি পূর্বাণী হোটেলে এলেন। সেখানে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা হচ্ছিল। শেখ মুজিব অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বললেন, ‘এটা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না।’ তিনি ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারা প্রদেশে হরতালের ডাক দিলেন।

ঢাকা ইতিমধ্যে ফুঁসে উঠেছিল। বেলা একটায় অধিবেশন স্থগিতের ঘোষণা শোনামাত্র জনতা পথে বেরিয়ে আসে। পূর্বাণী হোটেলের সামনে পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো হয়। জনতা স্বাধীনতা ঘোষণা করে দেয়। পতাকা পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানের মৃত্যুঘণ্টা বেজে যায়। এরপর যত্রতত্র পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো হতে থাকে।

ঢাকার নওয়াবপুর, জিন্নাহ অ্যাভিনিউ (এখন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় কাপড় ও ঘড়ির কয়েকটি দোকান, দুটি বন্দুকের দোকান এবং একটি মদের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। এটি ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণ-অভ্যুত্থান, যার চিরাচরিত অনুষঙ্গ হলো একধরনের ‘মব ভায়োলেন্স’, নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

ডাকসু ছিল ছাত্রলীগের কবজায়। ছাত্রলীগ ও ডাকসুর শীর্ষ নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি করলেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। রাতে ইকবাল হলের(এখন সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ২১৫ নম্বর কামরায় নতুন একটি পতাকা বানানো হয়। এই কামরায় থাকতেন ছাত্রলীগের সহসম্পাদক চিশতি শাহ্‌ হেলালুর রহমান (২৫ মার্চ রাতে নিহত)। পরদিন সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন প্রাঙ্গণে জনতার ঢল নামল। পোর্টিকোর ওপরে ছাত্রলীগের দশ-বারোজন নেতা। জগন্নাথ কলেজের ছাত্র নজরুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধে শহীদ) ইকবাল হল থেকে পতাকাটি নিয়ে এলেন। এটি পোর্টিকোর ওপর দাঁড়ানো ডাকসুর সহসভাপতি আ স ম আবদুর রবের হাতে দেওয়া হলো। তিনি পতাকাটি নেড়ে ঘোষণা দিলেন। এই হলো আমাদের জাতীয় পতাকা।

রাতেই লেখা হলো স্বাধীনতার প্রথম লিখিত ইশতেহার—জয় বাংলা: ইশতেহার নম্বর-১। ৩ মার্চ বেলা তিনটায় পল্টন ময়দানে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভায় ইশতেহারটি পাঠ করলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। সভা শেষে দপ্তর সম্পাদক এম এ রশিদ পাঠ করলেন প্রস্তাবাবলি। ৪ নম্বর প্রস্তাবে শেখ মুজিবকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণা করা হলো। ওই সভায় হঠাৎ করেই হাজির হয়েছিলেন মুজিব। তিনি মঞ্চে উঠে সংক্ষিপ্ত একটি ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘অহিংস-অসহযোগ’ আন্দোলন জারি থাকবে, যা বলার তা তিনি বলবেন ৭ মার্চের জনসভায়।

৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছিল। মুজিব ছিলেন একমাত্র বক্তা। তিনি ১৯ মিনিটের একটি জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি দুবার উচ্চারণ করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ভাষণে বলা কথার চেয়ে না-বলা কথা ছিল বেশি।

শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনার জন্য ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এলেন ১৫ মার্চ। ওই দিনই মুজিব জারি করলেন ৩৫টি বিধি, যাতে প্রশাসন ঠিকঠাক চলে। এর মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে তিনি বাংলাদেশের প্রশাসন নিজ হাতে নিয়ে নিলেন। ইয়াহিয়া ঢাকায় নিছক ‘অতিথি’।

একদিকে চলছিল ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠক, অন্যদিকে ছিল সংবিধান তৈরির প্রস্তুতি। আওয়ামী লীগের তৈরি খসড়া সংবিধানে পাকিস্তানের কাঠামোয় দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রস্তাব ছিল। শেখ মুজিব চেয়েছিলেন, তাঁর প্রস্তাবসংবলিত ‘কনফেডারেশন অব পাকিস্তান’-এর ঘোষণাটি প্রেসিডেন্ট যেন একটি সামরিক ফরমানের মাধ্যমে দেন। তাঁর ধারণা ছিল, ঘোষণাটি আসবে ২৫ মার্চ রাতে। কিন্তু তার আগেই ইয়াহিয়া ঢাকা ছেড়ে চলে যান রাওয়ালপিন্ডিতে তাঁর ডেরায়। নির্দেশ দিয়ে যান ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর। অপারেশনটি শুরু হয় ২৫ মার্চ মাঝরাতে। এটি ছিল একটি প্রচণ্ড ও নৃশংস আক্রমণ। ওই রাতে ঢাকায় কত মানুষ নিহত হয়েছে, তার হিসাব করা হয়নি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এবং পিলখানায় ইপিআরের বাঙালি সদস্যদের প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টেকেনি।

পাকিস্তানিরা যখন আক্রমণে নামছে, তখন যে যাঁর মতো করে বিভিন্ন জায়গায় খবর পাঠিয়েছেন। অনেক জায়গায় শেখ মুজিবের নামে বার্তা পৌঁছে গেছে যে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র প্রতিরোধ পর্ব। তবে বাঙালি সেনাদের প্রথম বিদ্রোহটি ঘটেছিল তার এক সপ্তাহ আগে। ১৯ মার্চ ঢাকায় অবস্থিত ৫৭ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবাব জয়দেবপুরে অবস্থিত দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দপ্তর পরিদর্শনে যান। ফেরার পথে রেলক্রসিংয়ে তাঁর গাড়িবহর জনতার অবরোধের মধ্যে পড়ে। জাহানজেব ২০ মিনিটের মধ্যে ব্যারিকেড সরানোর হুকুম দেন। বাঙালি সৈন্যরা জনতার ওপর গুলি চালাতে চায়নি। তারা মাটিতে ও শূন্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। মোট ৬৩টি গুলি ছোড়ার ফলে নিহত হন দুজন। পাঁচজন বাঙালি সৈন্য অস্ত্রসহ পালিয়ে যান। এটাই ছিল পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি সেনাদের প্রথম বিদ্রোহ।

২৫ মার্চ মাঝরাতে নিজ বাসায় গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু। তাঁকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় আটক করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইয়াহিয়া খান। শুরু হয় বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত পর্ব। [তথ্যসূত্র: মহিউদ্দিন আহমদ, আওয়ামী লীগ: যুদ্ধদিনের কথা ১৯৭১ এবং জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি, প্রথমা প্রকাশন]

মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক
[email protected]