ঝড়কবলিত এলাকায় থাকলে যা যা করতে হবে
আজ বুধবার সন্ধ্যায় বা রাতে বাংলাদেশের সুন্দরবনের কাছাকাছি অংশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান (প্রকৃত নাম ‘উম পুন’) স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। আগের চেয়ে এর তেজ কমে এলেও পণ্ডিতেরা এখনো আম্পানকে ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন’ বা মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় বলছেন। ঝড়ের সময় ও ঝড়ের পর করণীয় সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তার পরও মনে রাখতে হবে:
১. ঝড় শুরু হলে বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগের মেন সুইচ এবং গ্যাসের সংযোগের সুইচ বন্ধ করে দিন।
২. বাড়ির সব দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।
৩. ঝড়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হতে পারে বিদ্যুতের সরবরাহ। তাই আগে থেকেই মোবাইলে যথেষ্ট চার্জ দিয়ে রাখুন।
৪. বাড়িতে ধারালো কোনো জিনিস খোলা অবস্থায় থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ঝড়ের মধ্যে বাড়িতে কোনো ধারালো জিনিস উন্মুক্ত রাখবেন না।
৫. পোষা প্রাণীর বাঁধন খুলে দিন, যাতে বিপদ বুঝলে ওরাও নিরাপদ স্থানে যেতে পারে।
৬. ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যদি কোনোভাবে বাড়ির বাইরে থাকেন, তাহলে খোলা রাস্তায় বা গাছের নিচে দাঁড়াবেন না।
৭. বাড়ির বাইরে থাকলে ঝড় শুরু হলে দ্রুত আশ্রয় নিন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বা জীর্ণ পাকা বাড়ি এবং কাঁচা বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না। বিপদ বুঝে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয় বা পাকা বাড়ি খুঁজে নিন।
৮. ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার ধারালো অংশের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৯. ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার মধ্যেও সতর্ক থাকুন করোনাভাইরাস নিয়ে।
১০. মাস্ক পরতে এবং বারবার সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। মাস্ক না থাকলে গামছা, রুমাল, শাড়ির আঁচল বা ওড়না ব্যবহার করুন।
১১. যদি দুর্যোগের পরে কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্যান্য সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়, সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
১২. যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই চেষ্টা করুন নিরাপদ পানি পান করতে।