ট্রাম্পহীন বিশ্বের দিকে যাত্রা?

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ শতাংশ ভোটারকে ট্রাম্পের ভোটব্যাংক মনে করা হতো এত দিন। সঙ্গে এও মনে হতো, জো বাইডেনের পেছনে পুরো ডেমোক্র্যাট শিবির এককাতারে দাঁড়াবে না। জানুয়ারিতেও মনে হচ্ছিল ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন ঠেকানো অসম্ভব। কিন্তু তিনটি অবস্থাই বদলাচ্ছে। দেশটির সাংবাদিকদের কথা, ‘আগামীকাল ভোট হলে ট্রাম্প জিতবেন না।’ তবে সঙ্গে এও বলা হচ্ছে, হার ঠেকাতে ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্টামণ্ডলী সব ‘ডার্টি ট্রিক্স’ই ব্যবহার করবেন। ফলে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত তাঁর সুযোগ থাকছে। এমনকি নির্বাচনের পরও ফলাফল বিপক্ষে গেলে সেটা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আইনি যুদ্ধে নামতে পারেন তিনি! গত ২২ জুন টুইটারে তেমন ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তাঁর সাবেক আইনজীবী মিশেল কোহেনও বহু আগে সতর্ক করেছেন, ক্ষমতার পরবর্তী পালাবদল অস্বাভাবিক রূপ নিতে পারে।

বাইডেনের পক্ষে ঢেউ?
নিউইয়র্ক টাইমসের মতো কাগজ যুক্ত আছে—এমন জরিপে বাইডেনকে বেশ এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ রকম বিভিন্ন জরিপ হচ্ছে এখন দেশটিতে হামেশা। কয়েক জরিপের গড় করে দেখা গেল, বাইডেন অন্তত ৯ পয়েন্ট পেছনে ফেলেছেন রিপাবলিকান ট্রাম্পকে। বাইডেনের পক্ষে প্রায় ৫১ ভাগ জনসমর্থন দেখা যাচ্ছে সর্বশেষ। গত ৩০ দিনে এটা অন্তত ৫ ভাগ বেড়েছে। রিচার্ড নিক্সন (১৯৭২) এবং রোনাল্ড রিগ্যানের (১৯৮৪) বেলায় কেবল জরিপে ৫০ ভাগের বেশি সমর্থন মিলেছিল। করোনার আগে বাইডেনের পক্ষে এ রকম সমর্থন ছিল কল্পনাতীত। তবে কি করোনাতেই ট্রাম্পের কপাল পুড়ছে? হ্যাঁ, কিছুটা।

মারি ঠেকাতে যেসব শাসক বেশি ব্যর্থ, ট্রাম্পকে সেই তালিকায় রাখা হচ্ছে প্রথম থেকে। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে দেশটিকে এক নম্বর অবস্থানে রেখে দিয়েছেন তিনি মাসের পর মাস। দেশ নিয়ে আমেরিকানদের গর্ব চুরমার করেছেন।

বাইডেনের পক্ষে চলতি ঢেউয়ের পেছনে আরও কারণ আছে। সাদাদের একাংশের সাংস্কৃতিক উগ্রতা, কালোদের ওপর পুলিশি বর্বরতা, প্রতিবাদকারীদের নিপীড়নে ট্রাম্পের উসকানি এবং বিশেষভাবে অর্থনীতির বেহাল দশায় ট্রাম্পের বিকল্প খুঁজছে মানুষ।

পাঁচ মাস আগেও দেশটিতে বেকারির হার পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল। মজুরি হারও বাড়ছিল। এখন ‘পরিস্থিতি পাল্টে গেছে’ বললেও কম বলা হবে। কোভিড-১৯–এর আক্রমণে তিন কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে। টুইটারে ট্রাম্পের উত্তেজক গোলাগুলি অর্থনীতির অবক্ষয় থামাতে পারছে না।

শাসক দল মন্দায় শাস্তি পায়!
অতি সাম্প্রতিক জরিপগুলোয় ট্রাম্পের সমর্থক সংখ্যা ৪০–এর নিচে নামার নজির আছে। কিন্তু এও এক ঐতিহাসিক সত্য—দ্বিতীয়বার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হারের চেয়ে বিজয়ের রেকর্ড বেশি। গত ২৮ বছর এ রকম কেউ হারেনি। আবার এটাও মানতে হবে—‘মন্দা’য় পুনর্নির্বাচনের দৃষ্টান্ত বিরল। শাসক দলকেই মন্দায় শাস্তি পেতে হয়।

আসন্ন নভেম্বরে কোনটা সত্য হবে, সেটা এখন কেবল অনুমান করা যায় মাত্র। সমর্থক ভিত্তি ৪০ থেকে ৩৫-এ এলে ট্রাম্পকে অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে হবে। সে রকম আলামত এখনো নেই। তবে সম্ভাবনা আছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ‘ওয়াশিংটন মান্থলি’ ২৯ জুন এমন প্রতিবেদনও ছেপেছে: ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রার্থিতা নাও চাইতে পারেন! একই রকম ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্পের প্রিয় ‘ফক্স নিউজ’ও।

সর্বশেষ বিভিন্ন জরিপের গড়ে দেখা গেল, ৫৬ ভাগ মতামত প্রদানকারী বলছিল, ট্রাম্পকে চায় না তারা। এ অবস্থায় বর্তমান প্রেসিডেন্টের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন করে দিয়েছে কোভিড-১৯ এবং বর্ণহিংসাবিরোধী মিছিল-সমাবেশ। বিশ্বসম্পদের ৩০ ভাগ হিস্যা থাকার পরও সংক্রমণ কমানো যায়নি দেশটিতে। প্রেসিডেন্ট কমাতে চেয়েছেন বলেও আন্তরিক মনে হয়নি কখনো। ‘সুপার পাওয়ার’-এর সমন্বয়হীন করুণ হাল বিশ্ববাসীকেও অবাক করেছে। ইতিমধ্যে সোয়া লাখ মানুষ মরে গেছে সেখানে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ছুঁইছুঁই। শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে আমেরিকানদের দুর্ভাবনায় প্রেসিডেন্ট কোনো আশ্রয় হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। সঙ্গে বাড়ছে বেকারি। অর্থনীতি খারাপ হচ্ছে। চারদিকে বিরক্তি। এমনকি সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের ক্ষুদ্র একাংশও। ২০১৭ সালে হারিকেন মারিয়ার ছোবলের পরও প্রশাসক হিসেবে ট্রাম্পকে ব্যর্থ মনে হয়েছিল। সেই স্মৃতিও তাড়া করছে নির্বাচনকালে কিছু কিছু অঞ্চলে।

তিনটি ভিডিও ইতিহাস খুঁড়ে বেদনা জাগাল
প্রধান দুই দলের সমর্থকদের বাইরেও আমেরিকায় একদল জনতা আছে ভোটের হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভোট এলেই এ রকম অনুমান-অযোগ্য ভোটার অঞ্চলগুলোর দিকে ঝানু সাংবাদিকদের নজর থাকে। যার মধ্যে আছে কলোরাডো, ফ্লোরিডা, আইওয়া, মিশিগান, নেভাদা ইত্যাদি। এসব অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা যেদিকে ছোটেন, বিজয় সেদিকেই থাকে। ইদানীংকার জরিপে দেখা যাচ্ছে, এই মানুষেরা ট্রাম্পের কথাবার্তায় আস্থাহীনতায় ভুগছেন। প্রেসিডেন্ট কখন কী বলবেন আর করবেন, তা আন্দাজ করা কঠিন। এমনকি তিনি ভুল বার্তাও দেন বলে বিশ্বাস করার কারণ ঘটেছে। দেশের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর প্রতি এ রকম আস্থাহীনতায় তাঁকে ভোট দেওয়া কঠিন। এসব মিলেই ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশগুলোয় উপস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে কম। অধিক বয়সী সাদা ভোটারদের মধ্যে বাইডেনের সমর্থন বাড়ছে—ট্রাম্পের জন্য এটাও বড় দুঃসংবাদ। এরা এত দিন তাঁর সমর্থকভিত্তি হিসেবেই ছিল।

গত ২৫ মে পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছোট ছোট তিনটি ভিডিও এবং তারপর থেকে কালোদের আন্দোলন সমাজকে ইতিহাসসুদ্ধ নাড়া দিয়েছে। শ্বেতাঙ্গ-শ্রেষ্ঠত্বের অহংকারকে বেশ উদোম করে দিয়েছে দেশটির বর্ণবাদী অতীত ও বর্তমান। পুরো ঘটনায় প্রেসিডেন্টকে দুঃখিত মনে হয়নি। আগামী চার মাস ট্রাম্পকে তাই একধরনের দার্শনিক হীনম্মন্যতার সঙ্গেও লড়তে হবে।

কিন্তু ট্রাম্প হাল ছাড়ার মানুষ নন!
ট্রাম্পের জন্য অন্তত তিনটি ভালো খবর আছে এখন। প্রথমটি হলো, ভোট হতে এখনো চার মাস বাকি। জনমত পাল্টাতে এটা বেশ লম্বা সময়। জরিপের ফলাফলে ডেমোক্র্যাট শিবির তাই বেশি উৎসাহিত নয়; বরং ভয়েই আছে তারা। ট্রাম্প যে নির্বাচনী প্রকৌশলবিদ্যার অনেক নোংরা খেলা খেলবেন, সে জন্য সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত। যদিও কেউই সে খেলার বিষয়বস্তু জানে না।

ট্রাম্প আরেকটি জায়গায় ভাগ্যবান। রিপাবলিকানরা তাঁকে নিয়ে অনেকাংশে এককাট্টা। কালোদের সংঘবদ্ধতা ও সংগ্রামকে ট্রাম্প দেখছেন সাদাদের মধ্যে তাঁকে আঁকড়ে থাকার অনিবার্যতা হিসেবে। আরও আশার দিক, এখনো অনেক ভোটার আছে সিদ্ধান্তহীনতায়। এদের কাছে টানার অবকাশ তো থাকছেই। আর রইল বাইডেনের কোনো ভুল থেকে ফায়দা তোলার সুযোগ। বাইডেনের বয়সও ট্রাম্পের জন্য প্রচারের ইস্যু হতে পারে। ৭৮ বছরে আমেরিকায় কারও প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ড নেই এখনো। সেই কার্ড ট্রাম্প এখনো খেলেননি অবশ্য। আপাতত বাইডেনকে ‘লুটপাটকারীদের প্রার্থী’ হিসেবেই তুলে ধরছে ট্রাম্পশিবির। ইঙ্গিতটি স্পষ্ট। ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে বাইডেনকে একাকার করে দেওয়া হচ্ছে। এতে সাদাদের সহানুভূতি বাড়তে পারে ট্রাম্পের দিকে।

কিন্তু নির্বাচনী পণ্য হিসেবে এই ‘বর্ণঘৃণা’ ট্রাম্প অনেক বিক্রি করেছেন। তাঁকে এখন নতুন পণ্য বাজারে আনতে হবে। সেটা হতে পারে করোনাকালে ভোটদানের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি, ডেমোক্র্যাটদের প্রতি ভোটারদের মন বিষিয়ে তোলার মতো আতশবাজিমূলক কোনো সাংবাদ, কিংবা হতে পারে কোনো বিদেশি শক্তির সঙ্গে ছদ্ম সংঘাত বাধানো। চীন, ইরান, ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়া—মিসাইলের যেকোনো ‘টার্গেট’ই জাতীয়তাবাদী ভোটারদের চাঙা করতে পারে। তবে আসন্ন মাসগুলোয় অর্থনীতিতে যদি কোনো সুবাতাস বয়ে যায়, সেটা হতে পারে ট্রাম্পের জন্য পুনরুত্থানের সত্যিকারের এক সুযোগ। কোভিড-১৯ কি সেই সুযোগ দেবে?

বিশ্বজুড়ে অপেক্ষা শুরু
জরিপের ফল আর ভোটের ফল যে সব সময় এক হয় না, সেটা দুনিয়াজুড়ে সত্য। যুক্তরাষ্ট্রেই ২০১৬ সালেও হিলারি সব জরিপে ভালো অবস্থায় ছিলেন। নির্বাচনের পূর্বক্ষণেও তিনি ৩ দশমিক ৮ পয়েন্ট এগিয়েছিলেন। একই রকম ঘটেছিল ১৯৯২-এ, ১৯৮০ সালে। ১৯৮৮ সালে জর্জ বুশ রীতিমতো ১৭ পয়েন্ট পেছনে থেকেও দেশটির ৪১তম প্রেসিডেন্ট হন। তা চেয়ে বড় কথা, যে নির্বাচনে ট্রাম্প আছেন, সেখানে কোনো জরিপই শেষ কথা হতে পারেন না। তারপরও আঁচ-অনুমান শুরু হয়েছে, ট্রাম্পহীন বিশ্বের প্রতিক্রিয়া কী হবে? আমেরিকা যদি সত্যি সত্যি নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে চায়, তাহলে বিশ্বজুড়ে কার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে?

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ চীন ও রাশিয়ার প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া বিপরীতমুখী। পুতিন ট্রাম্পকেই পছন্দ করছেন। হিলারির নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের প্রতিশোধ নিতে ডেমোক্র্যাটরা মুখিয়ে আছেন। তাঁদের রুখতে পুতিন সবকিছুই করবেন, সেটা নিশ্চিত। অনেক ভোটার এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগে যুক্ত হয়েছে চীনের প্রভাব বিস্তারের শঙ্কাও। সাদাচোখে মনে হচ্ছে, চীন চাইছে ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায়। বাণিজ্যযুদ্ধে বেশ কোণঠাসা বোধ করছে তারা ট্রাম্পের কালে। বাইডেন এলে নতুন করে আলাপ-আলোচনার সুযোগ মিলতে পারে তাদের জন্য। কিন্তু এর মাঝেই খবর বের হলো ট্রাম্প সি চিন পিংয়ের কাছে এমন কিছু পদক্ষেপ আশা করছেন, যা নির্বাচনে তাঁর পক্ষে যায়। এই অভিযোগ তুলেছেন খোদ তাঁর এককালীন প্রভাশালী উপদেষ্টা জন বোল্টন। এ রকম কিছু ঘটলে নির্বাচন জটিল এক রসায়নে পরিণত হবে।

চীন-রাশিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ইউরোপেও অত্যধিক মনোযোগ পাচ্ছে এবার। পুরো অঞ্চল ট্রাম্পকে নিয়ে অসুখী। আন্তমহাদেশীয় পুরোনো মৈত্রীকে একেবারে তলানিতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, ইরানকে নিয়ে দর–কষাকষিসহ কোনো বিষয়েই ওয়াশিংটন এবং ইইউ একমত হতে পারছিল না বিগত বছরগুলোয়। পার্থক্যগুলো হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনেক মৌলিক ও আদর্শিক।

এসব মিলেই মনে হচ্ছে, আমেরিকার বাইরে ভোট হলে কেবল পুতিন আর নেতানিয়াহুর ভোটই ট্রাম্পের জন্য নিশ্চিত। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোয় এমন বন্য অনুমানও দেখা গেছে, বিশ্বের কোথাও নতুন কোনো আগ্রাসন চালাতে সহায়তা করেও পুতিন ট্রাম্পকে নভেম্বরের নির্বাচনে সহায়তা করতে পারেন। কিন্তু এসব ট্রাম্পকে শেষরক্ষা করতে নাও পারে।

জীবন ও জীবিকা মার্কিন ভোটারদের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করবে বলে মনে হচ্ছে এবার। ট্রাম্প এ দুটো রক্ষায় নিজ দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি সঠিকভাবে। এ পথেই বিশ্বনেতৃত্বও ক্রমে অধরা হয়ে পড়ছে দেশটির জন্য। চীন ও পুতিন বৈশ্বিক নেতৃত্বের এই শূন্যতাকে নিজ নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। আমেরিকায় অনেকের জন্যই এটা অসহনীয়। ট্রাম্পের আমলে চীন বাণিজ্যিকভাবে অসুবিধায় পড়লেও বৈশ্বিক নেতৃত্বশূন্যতায় নিজেকে ভালো অবস্থানে বসাতে পেরেছে। গত চার বছর যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিবিদেরা নিজেদের স্বঘোষিত উদার গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তির কথা জোর গলায় অন্য দেশে তেমন বলতেই পারেননি। আরও চার বছরের জন্য একই প্রশাসনের পুনর্নির্বাচন কফিনে পেরেকের শব্দের মতো শোনাবে।

আলতাফ পারভেজ: গবেষক