কম মৃত্যুহার ও বাংলাদেশের অবস্থান

বিশ্বের চার ভাগের এক ভাগ মানুষের বসতি দক্ষিণ এশিয়ায়। উচ্চ জনঘনত্বের কারণে অঞ্চলটিতে মহামারি যতটা প্রাণঘাতী হবে বলে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, পরিসংখ্যান বলছে দুর্যোগ ততটা ঘটেনি। অবশ্য দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যেও বড় ধরনের বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে। ভুটান সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জীবনহানি শূন্যের ঘরে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছে। নেপাল ও শ্রীলঙ্কাও সেদিক থেকে কিছুটা সফল। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সংক্রমণ ক্রমেই জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা ইউরোপ ও আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। এ রকম জটিল ও বিচিত্র বাস্তবতায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড–১৯ সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি ও মৃত্যুর হার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক সন্দেহ, প্রশ্ন ও ব্যাখ্যা আলোচিত হচ্ছে। মহামারির কাল পেরোনোর পরই হয়তো এর পুরো চিত্রটা বোঝা যাবে এবং তার যথাযথ মূল্যায়ন সম্ভব হবে। কিন্তু প্রায় চার মাস পরও যখন বাংলাদেশে সরকারি পরিসংখ্যানে এটা ঊর্ধ্বমুখী না নিম্নমুখী তা বোঝা যায় না, তখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে ফারাকগুলো অন্তত বোঝা দরকার। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দেশে হতাশাজনক কিছু ঘটলেই বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় নিয়োজিত মধ্যবিত্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগান্ডার কথা বলেন। মূলত ব্যর্থতা, অপশাসন বা শাসনহীনতার পরিণতি বোঝাতে নেতিসূচক অর্থেই তাঁরা উগান্ডার কথা বলেন। সেই উগান্ডায় কোভিড–১৯–এ মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য; মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৭৫ এবং শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়েছে আড়াই লাখ। সাড়ে চার কোটি জনসংখ্যার দেশে শনাক্তকরণ পরীক্ষার হার প্রতি ১০ লাখে ৫ হাজার ৪৫৯ জন। অন্যদের হেয় করার মানসিকতার জন্য এখন কি আমরা কিছুটা লজ্জিত হব? 

অতি ছোঁয়াচে ভাইরাস থেকে জীবন বাঁচাতে উগান্ডার এই সাফল্য কীভাবে সম্ভব হলো? বিবিসির রেডিও ফোরের এই প্রশ্নের উত্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক ড. মাতিসিদিসো মোয়েটি বলেন, দেশটি ইবোলা মহামারির শিক্ষা কাজে লাগিয়েছে। সংক্রমণ রোধের জন্য কারফিউ দিতেও পিছপা হয়নি। সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি রোগী শনাক্তকরণ, বিচ্ছিন্ন করা ও রোগীর সংস্পর্শে আসা সবাইকে খুঁজে বের করায় যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেছে। তিনি আরও বলেন, উগান্ডার জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ তরুণ। ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি। বয়স এই রোগের ঝুঁকির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি পেয়েছে।

ইউরোপ-আমেরিকায় মৃত্যুহার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ তাদের বয়স্ক বা প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিড–১৯–এ মৃত এক-তৃতীয়াংশের বেশি প্রবীণনিবাসের বাসিন্দা। শরীরে অন্যান্য রোগ বয়স্কদের মধ্যেই বেশি থাকে এবং সে কারণেও ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে মৃত্যুহার বেশি। ইউরোপ-আমেরিকার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত হওয়া সত্ত্বেও বয়স্কদের জীবন রক্ষায় তেমন একটা সাফল্য আসেনি। সংক্রমণের ভয়াবহতাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে অনীহার মূল্য যে কত চড়া, তা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সংক্রমণ শুরুর তিন মাস পর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পও মাস্ক পরাকে ‘দেশপ্রেমিকের কাজ’ বলে মেনে নিয়েছেন।

প্রাচ্যের দেশগুলো, বিশেষ করে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও সংক্রমণ ও মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে আমাদের চেয়েও কম। ওয়ার্ল্ডোমিটারসে ২০ জুলাইয়ের হিসাব বলছে, উগান্ডার মতো ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও লাওসেও মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। আক্রান্ত যথাক্রমে ৪০৮, ২২৩ ও ১৯ জন। মিয়ানমারে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের, আক্রান্ত ৩১২ জন। বিপুলসংখ্যক পর্যটকের যাওয়া-আসার জন্য উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা থাইল্যান্ডে মারা গেছেন ৫৮ জন আর আক্রান্ত ৩ হাজার ২৬০। ১৮ জুলাইয়ের সরকারি হিসাবে সাত সপ্তাহ সেখানে কোনো স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেনি। থাই সরকারের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. তাউইসিন ভিসানুইয়োথিনের ব্যাখ্যা হচ্ছে সংক্রমণের তীব্রতা থেকে রেহাই পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ সাংস্কৃতিক (থাইল্যান্ডস ডুয়িং থিংস রাইটস হোয়েন ইট কামস টু কনটেইনিং কোভিড–১৯, সিটিএন নিউজ, ১৮ জুলাই ২০২০)। তিনি বলছেন শুধু থাইল্যান্ড নয়, চীনের ইউনান প্রদেশ থেকে উৎসারিত মেকং নদীর তীরবর্তী সব কটি দেশ—ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এই ধাক্কা এড়াতে পেরেছে তাদের সংস্কৃতির কারণে।

ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জিনগত গঠন–প্রকৃতি একই রকম হওয়ার কারণে তাদের মৃত্যুহার কম, এমন একটি তত্ত্বও চালু আছে। তবে থাই স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র বলছেন জিনগত প্রকৃতি কোনো ভূমিকা রেখে থাকলেও এর পেছনে প্রধান ভূমিকা সাংস্কৃতিক। তাঁর ব্যাখ্যায় তাঁরা যেহেতু সামাজিক সাক্ষাতের সময় করমর্দন বা কোলাকুলি করেন না, দুই হাত জোড় করে আধা-প্রণামের মতো করে কুশল বিনিময় করেন, সেহেতু ছোঁয়াচে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তাঁদের অনেক কম। তবে পাশ্চাত্যের সংবাদমাধ্যমগুলোতে মিয়ানমার (সংঘাতপীড়িত অঞ্চলে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার না থাকার কারণে) ছাড়া ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরুতেই দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই বলা হচ্ছে। এসব ব্যবস্থার মধ্যে আছে আন্তসীমান্ত চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, রোগ শনাক্তকরণ ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে (টেস্ট অ্যান্ড ট্রেস) সঙ্গনিরোধের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা। 

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটানে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য এবং রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষার হারে এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী একজন পেশাদার চিকিৎসক হওয়ায় সেখানে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলার বিষয়টির অগ্রাধিকার পাওয়াই স্বাভাবিক। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তাদের সাফল্যের এটাও একটা কারণ হতে পারে। নেপাল ও শ্রীলঙ্কাতেও সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কম হওয়ার পেছনে মহামারির শুরুতেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণই প্রধান কারণ। শ্রীলঙ্কা এমনকি কারফিউ দেওয়ার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধান্বিত হয়নি।

এশিয়ার এসব প্রতিবেশীর থেকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চিত্র একেবারেই আলাদা। দীর্ঘ দুই দশকের সংঘাতের পুরোপুরি অবসান না হওয়ায় আফগানিস্তানকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখাই ভালো। কিন্তু উপমহাদেশের বাকি তিনটি জনবহুল দেশে সংক্রমণের চিত্র প্রায় একই রকম। এই তিন দেশেই জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তরুণ, যার গড় বয়স ২৭ বছরের মতো। কিন্তু সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে তরুণদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কতটা সফল হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে। এই তিন দেশেই সংক্রমণের বিস্তার বন্ধে লকডাউন দেওয়ার ক্ষেত্রে অদ্ভুত রকমের খাপছাড়া পদক্ষেপ, যখন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব ছিল তখন দ্বিধাগ্রস্ততা, রোগ শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব এবং মনোযোগ না দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করায় ব্যর্থতা এবং আগাম অর্থনীতি সচল করার সিদ্ধান্ত সংকটকে আরও গভীর ও জটিল করে তুলেছে। 

শুরুতে অবশ্য সংক্রমণের হার কম থাকার বেশ কিছু ব্যাখ্যা আলোচিত হয়েছে। এর মধ্যে জনগোষ্ঠী অপেক্ষাকৃত তরুণ হওয়ার বিষয়টি ছাড়াও উষ্ণ আবহাওয়া, বিশেষত গ্রীষ্মের খরতাপে ভাইরাসটি টিকবে না বলেও বলা হয়েছিল। এসব ব্যাখ্যার যথার্থতা যাচাইয়ের জন্য কুয়ান্টা ম্যাগাজিন গত মাসে জনস্বাস্থ্য ও সংক্রমণ বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১৫ জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর বিক্রম প্যাটেলের কথায় মধ্য গ্রীষ্মের দাবদাহের মধ্যে মুম্বাই, চেন্নাই ও নয়াদিল্লির সংক্রমণ হারে তা প্রমাণ হয়ে গেছে। উপমহাদেশে অন্য কয়েকটি মরণব্যাধির ঝুঁকি মোকাবিলায় যে বিসিজি টিকার প্রচলন ছিল, সেই টিকার সুবিধা পাওয়ার কথাও অনেকে বলেছিলেন। কিন্তু গত এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তিনটি গবেষণায় সে রকম কোনো প্রমাণ মেলেনি। আরেকটি তত্ত্ব হচ্ছে উপমহাদেশে কোভিড–১৯ ভাইরাসের প্রকৃতি বদলে গিয়ে তার ক্ষতিকর ক্ষমতা অনেকটাই মিইয়ে এসেছে। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ম্যাথমেটিক্যাল জেনোমিকসের পরিচালক রাউল রাবাদান বলেছেন সংক্রমণ বা তার তীব্রতার সঙ্গে ভাইরাসের কোনো ধরনের রূপান্তর বা মিউটেশনের যোগসূত্র থাকার কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান। মাস দুয়েক ধরে কথাটি আমরা দেশীয় বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও শুনে আসছি। শনাক্তকরণ পরীক্ষার স্বল্পতা এবং বিশৃঙ্খলা বাংলাদেশে যে কী ধরনের জটিলতা তৈরি করেছে, তা বিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন। বাংলাদেশে এই পরীক্ষার হার হচ্ছে প্রতিবেশীদের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে আক্রান্তের হার শনাক্তকরণ পরীক্ষার বিপরীতে প্রায় ২৫ শতাংশ। তা ছাড়া একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজারের বেশি করে পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্মরণ করলেই এই জটিলতার সামান্য কিছু আন্দাজ মেলে।

মৃত্যুর পরিসংখ্যান (২ হাজার ৭০৯ জন) আরও অস্পষ্ট। সব হাসপাতালের, বিশেষত বেসরকারিগুলোর হিসাব এবং যাঁরা বাড়িতে মারা যাচ্ছেন, তাঁদের হিসাব সরকারি হিসাবে আদৌ যোগ হচ্ছে কি না, তা বলা মুশকিল। কোভিড–১৯–এ মৃত্যুর সংখ্যা দক্ষিণ এশিয়ায় সরকারি পরিসংখ্যানে কেন কম? বিশেষজ্ঞরা এর অন্যতম একটি ব্যাখ্যা হিসেবে বলছেন, এই অঞ্চলে সরকারিভাবে মৃত্যু নথিবদ্ধ করার ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। ইউনিসেফের ২০১৮ সালের এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্ম রেকর্ডভুক্ত করার হার দক্ষিণ এশিয়ায় মাত্র ৬০ শতাংশ। মৃত্যু নথিবদ্ধ করার হার তার চেয়ে আরও কম। ওই রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মৃত্যুই রেকর্ড করা হয়নি। ভারতে এই হার ছিল ২৯ শতাংশ। গত ছয় বছরে পরিস্থিতির বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে ধরে নেওয়া হলেও তা ৬০ বা ৭০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। হাসপাতালগুলোতে রোগীরা যাচ্ছেন না এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্ধেকের বেশি শয্যা খালি থাকার যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর অনেক সংখ্যাই যে সরকারি হিসাবের বাইরে থেকে যাবে, সেই সম্ভাবনা প্রবল। এর সঙ্গে উপসর্গযুক্ত মৃত্যুর সংখ্যা যোগ করার প্রয়োজনীয়তাও বিবেচনার দাবি রাখে।

বিশেষজ্ঞরা আরও একটি আশঙ্কার কথা বলেছেন। তাঁদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল থেকে যতটা দেরিতে শুরু হয়েছে, সেই সময়ের ফারাকটা হয়তো আরও বেশি। যার মানে হচ্ছে কথিত এক্সপোনেনশিয়াল স্প্রেড এখনো শুরু হয়নি, যেকোনো সময়েই তা শুরু হবে। ভারতের গত কয়েক দিনের সংক্রমণ হার বৃদ্ধিতে সে রকম আলামত মিলছে। বাংলাদেশে শনাক্তকরণ পরীক্ষা সংকোচনের কারণে হয়তো বিষয়টা এখনো ততটা স্পষ্ট নয়।

কামাল আহমেদ সাংবাদিক