শিক্ষক নিয়োগ

রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। উত্তীর্ণ হওয়া প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষকের মধ্যে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষক ইতিমধ্যে নিয়োগ পেয়েছেন। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেতে এখনো বাকি। সরকার গত ৯ জানুয়ারি জাতীয়করণ ঘোষণা করলেও বাকি প্রায় ৩০ হাজার প্যানেলভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ধোঁয়াশা। সরকারের মনোভাব দেখে মনে হয় বাকি প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ বৃথা যাবে। যদি তা-ই হয়, বাকি ৩০ হাজার শিক্ষকের কী হবে? সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা যে নিয়মে হয়, একই নিয়মে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। নিয়মকানুনের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ব্যবধান নেই। কাজেই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারীকরণ হলে নির্বাচিত প্যানেলভুক্ত শিক্ষকেরা সরকারীকরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার দাবিদার।

প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে অনেকের বয়স ৩০ বছর উত্তীর্ণ হয়েছে। যদি কোনো কারণে নির্বাচিত প্যানেলভুক্ত শিক্ষকেরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন তাহলে তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। বর্তমানে এসব শিক্ষক খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ বেকার জীবন তাঁদের কাছে দুর্বিষহ মনে হচ্ছে। এ ছাড়া এসব শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হলে বর্তমান সরকারের দেওয়া নির্বাচনী ওয়াদা, যেমন ‘ঘরে ঘরে চাকরির ব্যবস্থা’, কিছুটা হলেও পূরণ হবে। সরকার এ মাসেই রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারীকরণের গেজেট নোটিফিকেশন ঘোষণা করবে (সূত্র: প্রথম আলো)।

এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশের আগেই আমাদের
নিয়োগ দান করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

রমেন, রাজবাড়ী।