সুশীল সমাজ: সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা

১৯৮৬ সালে ফিলিপাইনে মার্কোসবিরোধী ‘হলুদ বিপ্লব’ নাগরিক আন্দোলনের নতুন পর্যায়ের সংকেত দেয়। নব্বইয়ের দশকে অবশ্য পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন চমকপ্রদ ঘটনার কারণে সুশীল সমাজের সংজ্ঞা, প্রকাশ ও ভূমিকা নতুন রূপ নেয়, নতুন বিতর্কেরও জন্ম দেয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ থেকে নব্য গণতন্ত্রের যে প্রসার আমরা দেখতে পাই, সেখানে পূর্ব ও মধ্য ইউরোপের নবোদ্ভিন্ন সুশীল সমাজের ভূমিকা নজর কাড়ে বিশেষভাবে। ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতির কাঠামোগত বিপর্যয়ের মুখে ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল করো’, ‘আমরাই শতকরা ৯৯ ভাগ’—এসব স্লোগান নিয়ে যে জনবিস্ফোরণ লক্ষ করি, তারও নেতৃত্ব দেয় সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠন। হয়তো বাংলাদেশের গণজাগরণ মঞ্চের অভিজ্ঞতাকেও এই আলোকে দেখার সুযোগ আছে।
বলা বাহুল্য, এসব আঞ্চলিক ও জাতীয় অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে সুশীল সমাজের ভূমিকা স্থান, কাল ও পাত্রভেদে বৈচিত্র্যময়। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুশীল সমাজ গোষ্ঠীচিন্তা দ্বারা তাড়িত হয়ে রাষ্ট্রের একক প্রাধান্য বিস্তারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত ছিল। তাই দ্বন্দ্বের মূল জায়গাটা ছিল রাষ্ট্রের সঙ্গে বাজারের সম্পর্ক, রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সম্পর্ক। এই দ্বন্দ্বের চরিত্রটি গ্রামসির ‘দুই সমাজের’ তত্ত্ব দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব। কোনো কোনো ক্ষেত্রে (স্বল্পোন্নত দেশে) সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে সুশীল সমাজের সামাজিক পুঁজিবাজারের উদ্যোগও বাস্তব পরিস্থিতি ব্যাখ্যায় সহায়তা করে। লক্ষণীয়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সম্প্রদায় গ্রামসির চিন্তার বিপরীতে নব্য-টকভেলীয় ধারণাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে।

কার্টুন:তুলি
কার্টুন:তুলি

বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
আগের আলোচনা থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে ‘সুশীল সমাজ’ এক দিকে যেমন একটি প্রত্যয়, অপর দিকে একটি প্রক্রিয়া। প্রত্যয়টি সম্পর্কে গভীরতর উপলব্ধি প্রক্রিয়াটির গতিপথে বেগ এনেছে; অপর দিকে প্রক্রিয়ার অগ্রাভিমুখী যাত্রা প্রত্যয়টিকে আরও বাস্তবমুখী করেছে। সুশীল সমাজ তথা নাগরিক আন্দোলনের বহুমাত্রিকতা সহজবোধ্য হয়, যখন আমরা তার কর্মভিত্তিক প্রকাশকে বিবেচনায় নিই। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমিক সংঘসহ পেশাজীবীদের সংগঠন, নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বা গোষ্ঠীর লক্ষ্যে সমর্থনমূলক উদ্যোগ, বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত সম্প্রদায়গত উদ্যোগ, প্রচারমাধ্যম, জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্থা ইত্যাদি। রয়েছে নারী অধিকার, পরিবেশ সংরক্ষণ, ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার আন্দোলন।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজে কতগুলো প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত, তার কোনো হিসাব আমাদের জানা নেই। অনেক গবেষক এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের আয়তন নিরূপণ করেছেন, যা নিতান্তই একটি সংকীর্ণ প্রচেষ্টা। অনেকে আবার আরও সংকীর্ণ সংজ্ঞার ভিত্তিতে এনজিও ব্যুরোতে নিবন্ধিত বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকেই শুধু সুশীল সমাজ ভেবেছেন। তবে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সবচেয়ে দৃশ্যমান ও প্রভাবশালী অংশটি দুর্নীতিমুক্ত সুশাসনের জন্য সচেষ্ট, রাষ্ট্রীয় নীতি–পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক করে, মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকে। এরা মূলত উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিকামী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
সুশীল সমাজের বিবর্তন ও কিছু বিতর্ক
বাংলাদেশের সুশীল সমাজের গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকারের কথা প্রথমেই উল্লেখ করেছি। সে সময়টি ছিল বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের এক ক্রান্তিকাল, যেখানে রাজনৈতিক সমাজ আর সুশীল সমাজ অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘরে ফেরা সুশীল সমাজের এই অনন্য ব্যক্তিরা শরণার্থী পুনর্বাসন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যুক্ত হন। এই প্রবণতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো ব্র্যাক, যা আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। অপর উদাহরণ হলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, যেটি বিশ্বে গণমুখী চিকিৎসাসেবার একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এরপর আমরা লক্ষ করি, ওই সব সংগঠন ও ব্যক্তি জরুরি পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন কার্যক্রম থেকে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন তথা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ে তোলায় সচেষ্ট হয়। ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন সামাজিক শক্তি তখন ‘দেশ গড়ার’ আন্দোলন সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও শ্রমিকশ্রেণির পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। গ্রামীণ ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষমতায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই পরিবর্তনের চেষ্টায় অগ্রণী হয়। এই প্রবণতারই ধারাবাহিকতায় কিছু প্রতিষ্ঠান আইনি সহায়তা প্রদান তথা মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনে ব্রতী হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয় রাজনীতিতে যে পরিবর্তন আসে, তার ফলে সুশীল সমাজকে জনমানুষের অর্থনৈতিক দুর্গতি মোচনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিভিন্নভাবে যুক্ত হতে হয়। আপনাদের অনেকের হয়তো মনে আছে, স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে একতাবদ্ধ করতে ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে ৩১ জন বুদ্ধিজীবী যে যুক্ত বিবৃতি দিয়েছিলেন, তৎকালে তা কী সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রেখেছিল। পরবর্তীকালে সাংবিধানিক পথে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে তিন জোটের যে যুক্ত ঘোষণা আসে, তার রূপরেখাটিও কিন্তু একটি সুশীল সমাজের গোষ্ঠীর কাছ থেকেই আসে, যেখানে প্রয়াত ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। আর আশির দশকজুড়ে ‘ঢাকা অবরোধ’সহ রাজপথের আন্দোলনে সংস্কৃতিসেবীরা, পেশাজীবীরা ও ছাত্র-যুবকর্মীরা তো ছিলেনই। তাই ১৯৯১-এর পঞ্চম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে নবযাত্রা সূচিত হয়, তাকে মূর্ত রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সুশীল সমাজের ভূমিকা অবশ্যই স্মরণীয়, বিশেষ করে ছাত্র-শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কর্মী-পেশাজীবীদের ভূমিকা ছিল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আর সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করতে হয় স্বাধীনতাযুদ্ধের অসমাপ্ত দায়—পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধাপরাধী দোসরদের বিচারের দাবিতে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনের কথা। স্মতর্ব্য, গণ-আদালতের প্রত্যেক সদস্যই ছিলেন সুশীল সমাজের অংশ। তাই ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আজ যে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আমরা দেখি, তাকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সুশীল সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের অনেক ত্যাগ ও অবদান রয়েছে। আর এর মাঝে বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের দুর্দশা মোচনে বিভিন্ন উদ্যোগ তো ছিলই। ছিল একটি তথ্য অধিকার আইন পাসের এবং দুর্নীতি দমন কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন গঠনের সফল আন্দোলন। আরও ছিল সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী উদ্যোগ। ছিল তেল-গ্যাস-বন্দর রক্ষা কমিটির কার্যক্রম।

সাম্প্রতিক প্রবণতা
তত্ত্ব যতই পরিপক্ব হোক না কেন এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা যা-ই বলুক না কেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সংজ্ঞা নিয়ে জাতীয়ভাবে স্বচ্ছ ঐকমত্য এখনো লক্ষ করা যায় না। এখানে সুশীল সমাজ ও সুশীল সমাজের সংগঠন—এ দুটির মাঝে পার্থক্য করতে হবে। কারণ, সুশীল সমাজ সর্বদা কাঠামোগতভবে সংগঠিত না–ও হতে পারে। অনেক দেশেই বা অনেক পরিস্থিতিতে অনানুষ্ঠানিক স্বতঃস্ফূর্ত নাগরিক উদ্যোগ আন্দোলন পরিচালনা করে থাকে, যার প্রথাগত অর্থে কাঠামো, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ও কর্মপন্থা থাকে না, থাকে না স্বীকৃত নেতৃত্ব। সেই অর্থে সুশীল সমাজের অভিপ্রকাশে লক্ষ করা যায় তারল্য ও নমনীয়তা।
অনানুষ্ঠানিক নাগরিক উদ্যোগের চরম প্রকাশ হচ্ছে, ব্যক্তি নাগরিক যখন একাই নৈতিক অবস্থান থেকে কোনো অন্যায় বা বৈষম্যের প্রতিবাদ করে। একাই পোস্টার হাতে (কখনো বা পরিবার-বান্ধবদের নিয়ে) দাঁড়িয়ে যায় প্রেসক্লাবের সামনে অথবা শহীদ মিনারে। ২০১৪ সালের ৫ মে গুম-হত্যার বিরুদ্ধে সংসদ ভবনের সামনে নাগরিকেরা যে মানববন্ধন করেন, সেটা ছিল এ রকমই এক অনানুষ্ঠানিক উদ্যোগ। তবে নাগরিক হলেই সে সক্রিয়ভাবে সুশীল সমাজের অংশ হয় না। নাগরিক তখনই সমাজ হয়, যখন সে নির্দিষ্ট বিষয়ে তার অবস্থান ও মতামতকে প্রকাশ্যভাবে উপস্থাপন করে, সামান্য হলেও তার অবস্থানের জন্য ঝুঁকি নেয়। তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারের যুগে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ব্লগারদের আমরা সুশীল সমাজে নবতম অন্তর্ভুক্তি হিসেবে বিবেচনা করতে পারি।
সুশীল সমাজের এই ব্যাপকতর সংজ্ঞা তাকে চিহ্নিতকরণ ও দায় নির্দিষ্টকরণে বিপত্তি সৃষ্টি করে বলে অনেকে মনে করেন। সে ক্ষেত্রে যেটা উল্লেখ্য সেটা হলো, গোটা কয়েক ন্যূনতম বৈশিষ্ট্য আছে, যা দিয়ে সুশীল সমাজ ও তার অন্তর্ভুক্ত সংগঠনকে দ্রুত চেনা সম্ভব। প্রথমত, সে রাষ্ট্রের অংশ হতে পারবে না। এমনকি অর্থায়নসহ স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে এমন কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবে না সরকারের সঙ্গে। অবশ্য বেশ কিছু বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় সুশীল সমাজের এই বৈশিষ্ট্যটি অনেক সময় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়।
দ্বিতীয়ত, সুশীল সমাজ কোনো দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। এটার অর্থ এই নয় যে সুশীল সমাজের কোনো রাজনৈতিক চিন্তা বা মূল্যবোধ থাকবে না। বিষয়টি হচ্ছে, সুশীল সমাজের কোনো সক্রিয় ব্যক্তির রাজনৈতিক দলীয় সদস্যপদ থাকাটা সমস্যাজনক। এটা আরও সমস্যা সৃষ্টি করে, যখন সেই ব্যক্তি শাসক দলের কোনো দায়িত্বে থাকেন। এর ফলে সংগঠন বা আন্দোলনের স্বাধীন চিন্তা বা পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রটি সংকুচিত হয়ে যায়।
তৃতীয়ত, সুশীল সমাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট ও স্বচ্ছ হতে হবে। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে সুশীল সমাজ প্রকাশ্যভাবে, রাষ্ট্রের ঘোষিত নীতিমালার আওতায় তার ইচ্ছাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এটাই কাম্য। সেই জন্য সে প্রচার ও সমাবেশের মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি করবে, জনসম্পৃক্ততা বাড়াবে।
সাধারণভাবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সুশীল সমাজের তিনটি মৌলিক ও ন্যূনতম বৈশিষ্ট্য হলো: রাষ্ট্রবহির্ভূত সংগঠন, রাজনৈতিক দলের বাইরে অবস্থান এবং ঘোষিত কর্মসূচির পক্ষে প্রকাশ্য ও স্বচ্ছ কর্মকাণ্ড পরিচালনা।
সুশীল সমাজ তার মেধা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও শক্তি সমাজের কোন শ্রেণির পক্ষে ব্যবহার করে, তার ওপর নির্ভর করে তার চরিত্র—তারা যেমন সুরক্ষিত মূলধারার ক্ষমতাবানদের পক্ষে তদবির করতে পারে, আবার ক্ষমতাহীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্যও লড়াই করতে পারে—এই অবস্থানগত পার্থক্যই নির্ধারণ করে সুশীল সমাজের ঐতিহাসিক ভূমিকা।
(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ বুদ্বিজীবী স্মারক বক্তৃতা হিসেবে পঠিত।)
পরবর্তী পর্ব: বাংলাদেশের সুশীল সমাজ: বিতর্কসমূহ
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: বিশেষ ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।