খালেদার গাড়িবহরে হামলা

দীর্ঘ অবরোধ-হরতালের কর্মসূচির পর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় গতকাল কারওয়ান বাজারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে
যে কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে, তা ন্যক্কারজনক ও অগ্রহণযোগ্য। দলের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে এর আগে গত রোববার নগরের বিভিন্ন স্থানে তিনি যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, তা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। নির্বাচনী প্রচারণার কাজে তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কালো পতাকা দেখানো বা বিক্ষোভের যে কর্মসূচি পালন করছেন, তা স্পষ্টতই উসকানিমূলক।
প্রচারে নেমে বিক্ষোভের মুখে খালেদা জিয়াআমরা এটা নিশ্চয়ই স্মরণে রাখব যে গাজীপুরে খালেদা জিয়াকে জনসভা করতে না দেওয়া, এরপর তাঁকে তাঁর কার্যালয় থেকে বের হতে না দেওয়া—এসব ঘটনাগুলো দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার পেছনে কাজ করেছিল। এর ফলাফল বা প্রতিক্রিয়া যে ভালো হয়নি এবং এ জন্য দেশকে যে চরম মূল্য দিতে হয়েছে, তা সবারই বিবেচনায় থাকা উচিত। নতুন কোনো উসকানি বা রাজনৈতিক হানাহানির পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সিটি নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করার যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে, তাকে সব মহলেরই কাজে লাগানো উচিত বলে আমরা মনে করি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর দলের প্রার্থীর পক্ষে যেখানে গণসংযোগের কর্মসূচি করবেন, সেখানে সরকারি দল–সমর্থকদের পাল্টা কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য।
আমরা আশা করব, সরকারি দল এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ থেকে সরে আসবে এবং দলের পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের এ ধরনের কর্মসূচি নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হবে। তা করতে ব্যর্থ হলে সিটি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, তা বাধাগ্রস্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে।