সড়ক-মহাসড়কে খানাখন্দ

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহর থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ নিজ নিজ গ্রাম ও মফস্বল শহরগুলোতে যান। যানবাহনে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের পাশাপাশি সড়ক-মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগ দেখা দেয়। আর রাস্তাঘাটের অবস্থা যদি খারাপ হয়, তাহলে দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঈদের ছুটিতে মানুষের বাড়ি যাওয়া শুরু হওয়ার যথেষ্ট আগেই আমরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
এবার ঘোর বর্ষায় এসেছে পবিত্র রমজান মাস। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দিন ধরে দেশজুড়ে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলে যে বাধাবিঘ্ন দেখা দিয়েছে, তা থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের একই সময়ে ঘরে ফেরা শুরু হলে কী মাত্রার ভোগান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
টানা বর্ষণে সড়ক-মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ততাই সময় থাকতেই সড়ক-মহাসড়কগুলো মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। খানাখন্দ সৃষ্টি হলে সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা দরকার, নইলে সেগুলো ক্রমেই আরও বড় হয়ে যায়। উপরন্তু, ঈদের ছুটি উপলক্ষে যখন যান চলাচলের মাত্রা বেড়ে যাবে, তখন সড়ক-মহাসড়কগুলোর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে। তার ফলে সংকট বাড়তে থাকে দুই দিক থেকে। একদিকে বাড়তি যান চলাচলের কারণে মেরামতির কাজ বাধাগ্রস্ত হবে, অন্যদিকে সদ্য বন্ধ করা খানাখন্দের ওপর দিয়ে যান চলাচল অব্যাহত থাকলে সেগুলো আবারও ভেঙে যাবে। এ রকম দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যেই দেখা গেছে। উপরন্তু, টানা ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে পুরো মেরামতকর্মই বিফলে যেতে পারে।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখনই সড়ক-মহাসড়কগুলোর ভাঙা জায়গা ও খানাখন্দ মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। বৃষ্টির কারণে কাজটি ব্যাহত হতে পারে, তবে আবহাওয়ার দিকে লক্ষ রেখে সুবিধাজনক সময়ে মেরামত করতে হবে, ফেলে রাখা চলবে না। মেরামতির গুণগত মান নিশ্চিত করা যেমন জরুরি, তেমনই সড়ক-মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাটি নিয়মিত ও স্থায়ী হওয়া উচিত।